মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মির্জাপুর থেকে মাদক নির্মুল করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে চলছে এই অভিযান। পুলিশের চিরুনী অভিযানে অনেক মাদক কারবারীরা এখন এলাকা ছাড়তে শুরু করেছে। চাঞ্চল্যকর মার্ডার মামলার রহস্য উৎঘাটন এবং আসামী গ্রেফতার হয়েছে। চুরি, ছিনতাই এবং ডাকাতি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার হয়েছে। মির্জাপুর থানা পুলিশ বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার এবং কয়েক শতাধিক মাদক কারবারীকে গ্রেফতারের পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জেল পরিমানা করেছেন। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) জানিয়েছেন মাদক নির্মুল না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে। মাদকের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কোন অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না। এছাড়া চাঞ্চল্যকর অধিকাংশ মার্ডার মামলার রহস্য উৎঘাটনসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন স্পপ্ট মাদকের আখড়ায় পরিনত হয়ে আসছিল। মির্জাপুর পৌরসভা, মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, ভাতগ্রাম, ভাওড়া, বহুরিয়া, লতিফপুর, গোড়াই, আজগানা, তরফপুর ও বাঁশতৈল ইউনিয়নের শতাধিক স্পপ্ট উল্লেখযোগ্য। পাঁচজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং এলাকাবাসির মধ্যে পাঁচজন ভুক্তভোগি অভিযোগ করেন, মাদক কারবারীদের হাতে যেন এলাকাবাসি জিম্মি। মাদকের টাকার জন্য উঠতি বয়সী যুব সমাজ নানা অপরাধে জড়িয়ে পরছে।
এদিকে মির্জাপুর থানার বর্তমান ওসি যোগদানের পর মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স ঘোষনা দিয়ে সাঁড়াশি অভিযানে নামেন। গত তিন চার মাসের ব্যবধানে মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নে অভিযানে কয়েক শতাধিক মাদক কারবারীকে গ্রেফতারের পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জেল দিয়েছেন। এ সময় বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। এছাড়া চাঞ্চল্যকর মার্ডার মামলার রহস্য উৎঘাটন এবং আসামী গ্রেফতার হয়েছে। চুরি ছিনতাই এবং ডাকাতি মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতার হয়েছে। সম্প্রতি পৌরসভার পুষ্টকামুরী ডাক বাংলো এবং পুষ্টকামুরী সওদাগড়পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৫ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জেল দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য মাদক কারবারীরা হচ্ছে শাহাজাদা, সেলিম, পিন্টু, শফিক, হিরু, রুবেল, মজনু, সৌরভ, সেলিম, আহাম্মদ, শফিকুল, খিজির, মোজ্জল, আন্নাছ, জামিল, সাগর, রুৎফর, রবিন শেখ, রুবেল, আবু জব্বার, নাসির, শরীফ, শিপন, জুলহাস, জীবন, লিটন ও রবিউল।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, ১৪ ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি এরাকা এবং পুষ্টকামুরী ডাক বাংলো, সাহাপাড়া, বাইমহাটি, মির্জাপুর বাজার, পুষ্টকামুরী সওদাগর পাড়া, গারাইল ও বাওয়ারকুমারজানি গ্রামের কিছু অংশসহ পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের অর্ধশত সম্পট মাদক পল্লী হিসেবে পরিচিত ছিল। মাদক নির্মুলে ৩০-৩৫ জন পুলিশ সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমানের নির্দেশনা ও পরামর্শে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং ওসি (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে বিভিন্ন মাদক পল্লীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিভিন্ন ধরনের মাদকসহ কয়েক শতাধিককে গ্রেফতার করা হয়। মোবাইল কোর্টের বিচারক মাদক কারবারীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। মাদকের বিরুদ্ধে তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মির্জাপুরে আইন-শৃঙ্খলা অতিতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক ভাল রয়েছে।
এ ব্যাপারে মোবাইল কোর্টের বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রে মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, এলাকাকে মাদক মুক্ত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছেন। মাদক কারবারীদের গ্রেফতারের পর সরকারী বিধিমোতাবেক তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করে জেল হাজতে পাঠানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এলাকা থেকে মাদক নির্মুল না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, মাদক এবং ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কোন আপোষ হবে না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মির্জাপুরে সাঁড়াশি অভিযানে এলাকা ছাড়ছে মাদক কারবারীরা, চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উৎঘাটন আসামী গ্রেফতার
মির্জাপুরে একাব্বর হোসেন এমপির প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী আগামীকাল
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর সংসদীয় আসনের টানা চার বারের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. একাব্বর হোসেনের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী আগামীকাল বুধবার। তিনি মির্জাপুর উপজেলা ্আওয়ামীলীগের দীর্ঘ দিনের সভাপতি ছিলেন। গত বছর ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানী ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে তিনি মারা যান। প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তার নিজ গ্রাম টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুষ্টকামুরী গ্রামে কোরআনখানি, দোয়ামাহফিল এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ নানা কর্মসুচী গ্রহন করেছেন বলে তার পুত্র উপজেলা আওয়ামীলীগের সাদারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত জানিয়েছেন।।
আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শারীফ মাহমুদ জানান, একাব্বর হোসেন ১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই মির্জাপুর উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম মৃত মো. ওয়াজ উদ্দিন মিয়া এবং মাতার নাম রোজিনা বেগম। দুই ভাই ও ৬ বোনের তিনি চাতুর্থ সন্তান। তার স্ত্রী ঝরনা হোসনে, এক পুত্র ব্যারিষ্টার মো. তাহরীম হোসেন সীমান্ত ও দুই কন্যা বড় মেয়ে একতা ও ছোট মেয়ে ঈশিতা রয়েছে। একাব্বর হোসেন ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র। এসএসসি পাশ করার পর তিনি ঢাকা সরকারি তিতুমির কলেজে ভর্তি হন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার অগ্রনী ভুমিকা। ১৯৭৩ সালে সরকারি তিতুমির কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। এইচএসসি পাশের পর তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মহসীন হলের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এবং ১৯৭৮ সালে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১১ নং সেক্টর যুদ্ধ করেন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা বিআরডিরি চেয়ারম্যান, ১৯৯০ সালে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অষ্টম মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মির্জাপুরে বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। একজন সাধা মনের মানুষ এবং তার বিপুল জনপ্রিয়তার কারনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোয়ন পেয়ে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। টানা চার বারের এমপি হওয়ায় তিনি মির্জাপুর উপজেলাকে উন্নয়নের এক রোড মডেল হিসেবে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, বিদ্যুৎ, গ্যাস, শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল স্থাপন করে দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তার অক্লান্ত চেষ্টায় মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠন সুসংগঠিত ছিল।
এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যান্ত আস্থাভাজন। তার মৃত্যুতে মির্জাপুরবাসির জন্য অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে। প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তার পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তিনি যুগ যুগ আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
মির্জাপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষে নানা আয়োজনে
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
”দূর্ঘটনা দূর্যোগ হ্রাস করি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ি” এই প্রতিপাদ্যে আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মির্জাপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আয়োজনে উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অফিস প্রাঙ্গনে উদ্ধোধনীসহ আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান।
মির্জাপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জের প্রতিনিধি এস আই মো. সোহেল মিয়া, এ´প্লোর গার্মেন্টেসের জেনারেল ম্যানেজার মো. কদ্দুস উল আলম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনি´ মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেণ। অনুষ্ঠান শেষে আগুন নিয়ন্ত্রন, সড়ক দূর্ঘটনা, বিপদগ্রস্থ মানুষকে রক্ষাসহ বিষয়ে বিভিন্ন কলাকৌশল অতিথিদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।
মির্জাপুরে মাস্টার চাবি ও তিন মোটর সাইকেলসহ চোর চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
মাস্টার চাবি ও তিন মোটর সাইকেলসহ আন্তজেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া রেল ক্রসিংয়ের আনিসা জল কুটির সংলগ্ন অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদরে গ্রেফতার করে। চোর চক্রের সদস্যরা হচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের মতিন মিয়ার ছেলে ওসমান গনি(২৮), একই জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি চরভাটরা গ্রামের সুধির মনির ছেলে তোষার মনি (২৩), পাবনা জেলার আমিনবাড়ি থানার টাংবাড়ি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে জাহিদ হোসেন (৩২) এবং টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার শুভুল্যা গ্রামের লালু মৃধার ছেলে রতন মৃধা (৩৮)।
আজ সোমবার মির্জাপুর এসআই (উপপরিদর্শক) মো. আবুল বাশার জানান, গতকাল রবিবার (১৩ নভেম্বর) অভিযান চালিয়ে তিনটি চোরাই মোটর সাইকেল নিয়ে পালানোর সময় তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদরে নিকট থেকে একটি মাস্টার চাবি, লাল রং মিশ্রিত ১৫০ সিসির একটি ্এ্যাপাসি মোটর সাইকেল, ছাই রংয়ের একটি ১০০ সিসির প্লাটিনা ও লাল কাল রংয়ের একটি ১৩৫ সিসির ডিসকভার মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন জেলা ও থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং তারা আন্তজেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের সক্রীয় সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছেন। তাদের দলের সদস্যদের গ্রেফতারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, নিয়মিত মামলার পর আন্তজেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের সদস্যদের অধিক তদন্তের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।
মির্জাপুরে মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে শোকে মায়ের আত্নহত্যা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
কলেজ ছাত্রী একমাত্র মেয়ে পূজা বণিকের মৃত্যুর খবর শুনে কীটনাশক (হেক্্রাসল) পান করে কলেজ ছাত্রীর মা বাসনা রানী বণিক (৫০) আত্নহত্যা করেছেন। মায়ের আত্নহত্যা ও মেয়ের মৃত্যুর পর পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ শুক্রবার (১১ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে। মা মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকা শোকে স্তব্দ হয়ে গেছে।
প্রতিবেশী অনিন্দ্র পাল জানান, কলেজ ছাত্রীর নাম পুজা বণিক (১৮)। তার পিতার নাম প্রাণ তোষ বণিক। কলেজ ছাত্রী পুজা বণিক ছিল ঐ পরিবারের একমাত্র সন্তান এবং মেধাবী ছাত্রী। দীর্ঘ দিন ধরে কিডনি জনিত রোগে অসুস্থ্য ছিল। পরিবারের অসচ্ছলতার কারনে ঠিকমত চিকিৎসা নিতে পারেনি। কন্যাকে বাঁচাতে অসহায় পরিবারটি জমিসহ বাড়ির ভিটেমাটি পর্যন্ত বিক্রি করেছেন।
পুজা বণিকের সহপাঠী কলেজ ছাত্রী মুনিয়া, শিলা, তানিয়া ও ইয়াসমিন কান্না জড়িত কন্ঠে জানায়, তারা ছিল খাদেম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। পুজা বণিক ছিল তাদের মধ্যে মেধাবী ছাত্রী। এসএসসি পাশের পর মির্জাপুর সরকারী কলেজে ভর্তি হয়েছিল। আগামী ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল পুজার। পরীক্ষার দেওয়ার পুর্বেই পুজা অকালে চলে যাওয়ায় তারাও ভেঙ্গে পরেছে। তারা এটা মেনে নিতে পারছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে পুজা বণিক মারা যায়। মেয়ের লাশ বাড়িতে আনার পর আজ শুক্রবার সকালে তার মা বাসনা রানী বণিক মেয়ের মৃত্যুর শোকে নিজেও কীটনাশক পান করে আত্নহত্যার চেষ্টা করেন। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার মারা যান। বিকেলে মা মেয়েকে একই স্মশানে দাহ্য করা হয়েছে।
মির্জাপুর থানার ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, আইনী প্রক্রিয়া শেষে কলেজ কলেজ ছাত্রীর মায়ের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিক টুটুলকে সংবর্ধনা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
মোহনা টেলিভিশনের মির্জাপুর প্রতিনিধি থেকে কর্মদক্ষতায় পদন্মতি পেয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় মীর আনোয়ার হোসেন টুটুলকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মোহনা টেলিভিশনের দর্শক ফোরামের উদ্যোগে স্থানীয় সাংবাদিকগন গতকাল বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল দৈনিক ইত্তেফাকের মির্জাপুর উপজেলা সংবাদদাতা হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত।
মোহনা টেলিভিশন দর্শক ফোরামের সভাপতি হোসনী যুবাইরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক শাহ সৈকত মুন্নার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মো. নাজমুল ইসলাম, মো. খায়রুল করিম পাপন, মো. রায়হান সরকার রবিন, মো. সাজ্জাত হোসেন, শামীম সুমন, মোশারফ হোসেন, মোজাম্মেল হক, উত্তম বণিক, খন্দকার হুমায়ুন কবীর মো. আতোয়ার রহমান খান সাদত ও অধ্যক্ষ ইমাম হোসেন মো. ফারুক প্রমুখ।
এদিকে মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল পদন্মতি পেয়ে মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদয়ি স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি, সাবেক এমপি মো. আবুর কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, এসিল্যান্ড মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি এড, মো. জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকেরুল মাওলা, প্রেস ক্লাব মির্জাপুরের সভাপতি নিরঞ্জন পাল, সাধারন সম্পাদক সোহেল মোহসীন শিপন, মির্জাপুর সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি মো. মাজারুল ইসলাম শিপলু, সাধারন সম্পাদক জুবায়ের হোসেন, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব মির্জাপুর শাখার সভাপতি মীর মইন হোসেন রাজিব, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ পারভেজসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মির্জাপুরে সাটিয়াচড়া শিবনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সাটিয়াচড়া শিবনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানউন্নয়নে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে এ মা মসাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিল্পপতি শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক মো. রাফিউর রহমান ইউসুফজাই সানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার, আওয়ামীলীগ নেতা মো. মাকসুদুর রহমান খান ইউসুফজাই রেমন ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রমুখ
মির্জাপুরে উৎসব মুখর পরিবেশ ও নানা আয়োজনে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উৎসব মুখর পরিবেশ ও নানা আয়োজনে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শুরু হয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নানা পেশার লোকজনের সমাগমে মেলা প্রাঙ্গন ছিল অন্য রকম পরিবেশ। মেলা প্রাঙ্গনকে সাজানো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসসহ ভিন্ন সাজে। এ উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা, কুইজ প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিআইসিসির পরিচালক ও টাঙ্গাইল জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাট্রিজের সভাপতি এবং ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি। সকালে উপজেলা পরিষদ চত্তরে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালি শেষে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্ধোধন করেন প্রধান অতিথি খান আহমেদ শুভ এমপি। এরপর এমপিসহ অতিথিবৃন্দ এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার শিফা, এমপির একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিকসহ গনমাধ্যমকর্মীগন।
মির্জাপুরে মাদকাসক্ত পুত্রকে পুলিশে দিলেন অসহায় পিতা, এক বছরের সাজা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাদকাসক্ত আমিনুর রহমান (৪০) পুত্রকে পুলিশে দিয়েছেন অসহায় পিতা পলান মিয়া। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক তাকে এক বছরের সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) মাদকাসক্ত আমিনুরের অসহায় পিতা পলান মিয়া জানান, তারপুত্র আমিনুর দীর্ঘ দিন ধরে মাদকাসক্ত। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে নেশা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্ত কোন লাভ হচ্ছে না। মাদক সেবী ও মাদক বিক্রেতাদের পাল্লায় পরে মাতকের টাকার জন্য দিন দিন পুত্র পিতা-মাতাসহ পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে আসছে। মাদকাসক্ত পুত্রের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য বিষয়টি তিনি বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাকাওয়াত হোসেনকে জানান।
এ ব্যাপারে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাকাওয়াত হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার অভিযান চালিয়ে মাদকসহ আমিনুরকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আমিনুর ইসলাম বুলবুলের আদালতে হাজির করেন। পরে বিচারক সরকারী আইন মোতাবেক মাদকাসক্ত আমিনুরকে এক বছরের সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও আদালতের বিচারক মো. আমিনুর ইসলাম বুলবুল বলেন, মাদকাসক্ত আমিনুরকে এক বছরের সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
অবশেষে বদলী হলেন মির্জাপুরের রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর সেই শামীমা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
অবশেষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিনে শিক্ষকদের দক্ষতা অর্জনে পরিচালিত রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসিতে) ২০ বছর ধরে একই কর্মস্থলে কর্মরত থাকা সেই ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তারকে বদলী করা হয়েছে। আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) টাঙ্গাইল জেলা পিটিআইয়ের সুপার (চলতি দায়িত্ব) অমল চন্দ্র সরকার স্বাক্ষরিত বদলির আদেশে মির্জাপুর রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তারকে নাগরপুর উপজেলায় রিসোর্স সেন্টারে বদলী করেছেন। তার পুর্বের কর্মস্থল মির্জাপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে নতুন করে ডাটা এন্টি অপারেটর পদে নিয়োগ দিয়েছেন নাগরপুরের রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর মীর রাজ্জাকুজ্জামানকে। আজ সোমবার মির্জাপুর রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর (প্রশিক্ষক) ড. মো. আব্দুর রহিম ইত্তেফাকের এই প্রতিনিধির নিকট বদলীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ২০ বছর ধরে মির্জাপুরে রিসোর্স সেন্টারে ডাটা এন্টি অপারেটর পদে একই কর্মস্থলে চাকুরী করায় প্রায় ১২শ শিক্ষক তার হাতে জিম্মি এবং তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে।
জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার (ইউআরসি) ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার ২০০২ সালে মির্জাপুর অফিসে যোগদান করেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলায় হলেও ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিনে শিক্ষকদের দক্ষতা অর্জনে পরিচালিত মির্জাপুরে রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসিতে) একই পদে কর্মরত প্রায় দুই যুগ। তদারকি না থাকায় এ রিসোর্স সেন্টারে অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সব কিছু নিয়ন্ত্রন করেন ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার ও প্রশিক্ষক ড. মো. আব্দুর রহিম। অসহায় ও নিরীহ শিক্ষক অভিযোগ করেন, মন্ত্রনালয় থেকে পদন্মতি বা বদলীর ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ক্ষমতার দাফট আর অর্থের লোভে ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার কখনো বদলী হননি। অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ বেশ কিছু কর্মকর্তা এবং শিক্ষক নেতার সঙ্গে সিন্ডিকেট করে বছরের পর বছর তিনি একই কর্মস্থ’লে ছিলেন। মির্জাপুর উপজেলার প্রায় ১২শ শিক্ষকদের জিম্মি করে প্রশিক্ষনের নামে তিনি বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। তার চাহিদা মত টাকা না দিলে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ থেকে বাদ দেওয়া হতো। এদিকে ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তারের বদলীর খবর শুনে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে অসহায় ও ভুক্তভোগি শিক্ষকগন জানিয়েছেন। অনেকেই মিষ্টি মুখও করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) মির্জাপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর (প্রশিক্ষক) ড. মো. আব্দুর রহিম বলেন, ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার দীর্ঘ দিন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে কর্মরত থাকায় তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় টাঙ্গাইল জেলা পিটিআইয়ের সুপার (চলতি দায়িত্ব) অমল চন্দ্র সরকার মহোদয় শামীমাকে বদলী করে নাগরপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে ন্যাস্ত করেছেন। মির্জাপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে নতুন ডাটা এন্টি অপারেটর হিসেবে যোগদান করেছেন নাগরপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর মীর রাজ্জাকুজ্জামান।