বাংলা নিউজ
Sunday, March 16, 2025
Home Blog Page 9

মির্জাপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালিত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্ম দিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন মির্জাপুর বাইপাস রোডের উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. আব্দুর রউফ মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রােেখন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক এমপি মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক ডি এম শওকত আকবর, সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম শফিকুল ইসলাম ফরিদ, মো. আলম মৃধা, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও পৌরসভার কাউন্সিলর মো. আলী আযম সিদ্দিকী এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম মহসীন প্রমুখ। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মদিন ও তার শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

মির্জাপুরে রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে বিক্ষোভ মিটিং ক্লাস বর্জন. সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল জোরদার

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল হাসানকে পরিকল্পিত ভাবে অবরুদ্ধ এবং পদত্যাগের জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া কে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। প্রধান শিক্ষককে পুর্নবহালের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ, ক্লাস বর্জন এবং অভিযুক্ত অফিস সহকারী আবুল কালামের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভৈধ পদত্যাগপত্র বাতিল, সভাপতি ও আবুর কালামকে অপসারন এবং শিক্ষাব্যবস্থা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তাদরে আন্দোলন চলবে বলে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী এবং মির্জাপুর থানা পুলিশ টহল জোরদার করেছেন। এর আগে গত বুধবার শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা মিলে বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে। প্রধান শিক্ষককে হত্যার হুমকি দিয়ে পদত্যাগের জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। খবর পেয়ে কোটা সংস্কার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসানকে উদ্ধার করেছে। পরিবার ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি ইউএনও, শিক্ষা অফিসার ও মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসানসহ শতাদিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, রাজাবাড়ি কলেজ এবং রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়কে সভাপতি মিয়াজ উদ্দিন পরিবারতন্ত্র বানিয়েছেন। সরকারি বিধি লঙ্গন করে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের পরিবারের লোকজনকে কমিটি এবং শিক্ষক ও অফিসে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া সিনিয়র শিক্ষকদের বাদ দিয়ে তার পছন্দের জুনিয়র শিক্ষক এহসান আহমেদ বাতেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন। স্কুল-কলেজের পাশেই গড়ে তুলেছেন কিন্ডার গার্টেন। শিক্ষার নামে এখানেও হচ্ছে বাণিজ্য। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তিনি শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানী করেন বলে শিক্ষক-কর্মচারীগন অভিযোগ করেন। সম্প্রতিরাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন, সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ এবং বিদ্যালয়ের জমি জাল দলিল করে সভাপতি নিজের নামে নেন মিয়াজ উদ্দিন। গতকাল বুধবার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিয়াজ উদ্দিন, বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক আবুল কালাম, পারভেজ, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুর রহমান ও মোনায়েম খান মনুসহ তাদের পক্ষের লোকজন বিদ্যালয়ে জোর পুর্বক প্রবেশ করে শিক্ষকদের লাঞ্চিত করে ও শিক্ষার্থীদের ভয়ভিতি দেখিয়ে শ্রেনীকক্ষ থেকে বের আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে একটি কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় শিক্ষক জমির উদ্দিনের মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। সভাপতি মিয়াজ উদ্দিন, অফিস সহকারী আবুর কালামসহ তাদরে সহযোগিরা বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হাতে লাঠিসোঠা ও ধারালো দেশীয় অস্্র নিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে পদত্যাগের জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার, সেনা ক্যাম্প, পুলিশ ও উপজেলা কোটা সংস্কার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের জানান। খবর পেয়ে কোটা সংস্কার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের আহবায়ক রুবায়েত হাসান ও নেতৃবৃন্দ বিদ্যালয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরে নিয়ে আসেন। জীবনের নিরাপত্তা, ন্যায় বিচার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার, সেনা ক্যাম্প এবং মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষককে পুনবহাল ও সভাপতি মিয়াজ উদ্দিনকে বহিষ্কারের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। বিক্ষোভ করে সমাবেশ করলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে। এ সময় অভিযুক্ত অফিস সহকারী আবুর কালামের উপর হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক।সাকারী বাহিনীর সদস্যগন বিদ্যালয় এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মিয়াজ উদ্দিন এবং অফিস সহায়ক আবুল কালাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থী, এলাকাবাসি ও শিক্ষকদের বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধকে কেন্দ্র করে এই এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রধান শিক্ষকের কারনে বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। বিভিন্ন অভিযোগ তারা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো. সালাউদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম বলেন, রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাকে নিরাপত্তাসহ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনাস্তল পরিদর্শন করেছেন।

 

মির্জাপুরে কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী তিন সম্ময়ককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ছাত্রলীগ নেতাদের

মীল আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্ময়ককে ধারালো দেশীয় অস্্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। গুরুতর অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসি হামলাকারী ছাত্রলীগের তিন নেতা সীমান্ত ও আপনসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধীরা ছাত্ররা ছাত্রলীগ নেতা কাওসার আহমেদ জিএমকে ধাওয়া করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে মির্জাপুর উপজেলা সদরের থানা সংলগ্ন শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শিদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্ময়ক মোজাহিদ, ইমন সিদ্দিকী ও জাকির হোসেনসহ কয়েকজন ছাত্র কলেজ থেকে বের হয়ে বাজারের দিকে আসছিল। পুর্বপরিকল্পনা করে ছাত্রলীগ নেতা সীমান্ত ও আপনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন অস্্রধারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী মোজাহিদ, ইমন সিদ্দিকী ও জাকিরকে দেশীয় ধারালো অস্্র দিয়ে কুপিয়ে ও ণাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় শহরে আতংক ছড়িয়ে পরে। আশাপাশের লোকজনও শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করেপ্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। এছাড়া ছাত্রলীগ নেতা সীমান্ত ও আপনসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পালিয়ে যায় মুল পরিকল্পনাকারী জিএম কাওসার আহমেদ। ভর্তিকৃতদের অবস।থার অবনতি হলে ইমন সিদ্দিকী ও মোজাহিদকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ঘাটাইল ও ঢাকার সিএমএস হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প সুত্র জানিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনা সাধারণ শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অপর সমন্ময়কদের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনীর সদস্যগন শহরের বিভিন্ন রাস্তায় টহল দিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনার পর কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্ময়কদের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা থানা হেফাজতে রয়েছে। মামলা রেকর্ড হওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস।তা নেওয় াহবে।
এদিকে কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্ময়কদের উপর যারা বর্বর হামলা চালিয়েছে তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে সাবেক সাংসদ ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী।

মির্জাপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশ

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। আজ বুধবার উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠন উপজেলা সদর ও গোড়াই শিল্পাঞ্চলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সদরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ্রবিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম শফিকুল ইসলাম ফরিদ, আলম মৃধা, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আজম সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মহসীন প্রমুখ। এছাড়া শহীদ মিনার এলাকার বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক ও ঢাবির মহসিন হলের সাবেক জিএস মো. সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. হযরত আলী মিঞা এবং গোড়াই শিল্পাঞ্চলে থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহআলম, গোড়াই ইউনিয়নর বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা নুর মোহাম্মদ এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদ সামবেশ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারকে দেশে এনে গ্রেফতারসহ ফাঁসি এবং আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানানো হয়েছে।

মির্জাপুরে রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ ব্যাপক ভাংচুর

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল হাসানকে পরিকল্পিত ভাবে অবরুদ্ধ করে তাকে অপসারনের দাবীতে শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা মিলে বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে। প্রধান শিক্ষককে হত্যার হুমকি দিয়ে পদত্যাগের জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক। খবর পেয়ে কোটা সংস্কার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসানকে উদ্ধার করেছে। পরিবার ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি ইউএনও, শিক্ষা অফিসার ও মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার বিকেলে রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন, সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ এবং বিদ্যালয়ের জমি জাল দলিল করে সভাপতি নিজের নামে নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিয়াজ উদ্দিন, বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক আবুল কালাম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান ও মোনায়েম খান মনুসহ তাদের পক্ষের লোকজন আজ বুধবার বিদ্যালয়ে জোর পুর্বক প্রবেশ করে শিক্ষকদের লাঞ্চিত করে ও শিক্ষার্থীদের ভয়ভিতি দেখিয়ে শ্রেনীকক্ষ থেকে বের আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে একটি কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় শিক্ষক জমির উদ্দিনের মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হাতে লাঠিসোঠা ও ধারালো দেশীয় অস্্র নিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে পদত্যাগের জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার, সেনা ক্যাম্প, পুলিশ ও উপজেলা কোটা সংস্কার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের জানান। খবর পেয়ে কোটা সংস্কার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের আহবায়ক রুবায়েত হাসান ও নেতৃবৃন্দ বিদ্যালয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরে নিয়ে আসেন। জীবনের নিরাপত্তা, ন্যায় বিচার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার, সেনা ক্যাম্প এবং মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মিয়াজ উদ্দিন এবং অফিস সহায়ক আবুল কালামের সঙ্গে বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থী, এলাকাবাসি ও শিক্ষকদের বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধকে কেন্দ্র করে এই এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে ইউএনও শেখ নুরুল আলম, শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে সার্বিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তাসহ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পুলিশের কার্যক্রম শুরু

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় মির্জাপুর থানায় পুলিশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। পুলিশের পোষাক (ইউনিফর্ম) পরে পুলিশ বাহিনীর সদস্যগন সেবা কার্যক্রম শুরু করায় এলাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সাধারণ জনগন থানায় এসে সাধারণ ডায়রীসহ সকল ধরনের মামলাও করতে পারছেন বলে পুলিশ সদস্যগন জানিয়েছেন। এর আগে গত শুক্রবার দূবৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া গোড়াই হাইওয়ে থানা এবং মির্জাপুর থানা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাধিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সামীহুর রহমান তারেক এবং ৯৮ কম্পোজিট বিগ্রেডের কমান্ডার বিগ্রেড শফিউল আজমসহ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন। এ সময় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়সারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আব্দুস সবুর পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরফুদ্দিন আহমেদ, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম। মির্জাপুর থানা পরিদর্শনের পর কর্মকর্তাগন থানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আজ মঙ্গলবার মির্জাপুর থানা ঘুরে দেখা গেছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যগন পুলিশের পোষাক পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণ লোকজন এসে নির্বিগ্নে তাদের কাজ করে ফিরে যাচ্ছেন। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত মো. সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, কোটা সংস্কার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে সারা দেশে থানায় হামলা ভাংচুর এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করা হয়। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সহিংসতা এড়াতে মির্জাপুর থানার কার্যক্রম বন্ধ হয়েছিল। পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তাসহ তাদের ১১ দফা দাবী বাস্তবায়নে আন্দোলন করে আসছিল পুলিশ বাহিনী। নবাগত আইজিপি মহোদয় ও আন্তবর্তীকালিন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্দ উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার (অব.) এম সাকাওয়াত হোসেন স্যার আমাদের দাবী মেনে নিয়েছেন। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমরা আজ থেকে থানায় সকল কার্যক্রম শুরু করেছি।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. আব্দুস সবুর পিপিএম বলেন, নবাগত আইজিপি মো. মইনুল ইসলাম স্যার এবং অন্তবর্তীকালিন সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার (অব.) এম সাকাওয়াত হোসেন স্যার পুলিশের দাবী পুরণ করায় মির্জাপুর থানাসহ টাঙ্গাইল জেলার ১২ থানায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশ বাহিনী জনগনের সেবায় নতুন উদ্যম নিয়ে কাজ করছেন।

মির্জাপুরে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশ

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
সারা দেশে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বাড়িঘরে হামলাসহ লুটপাটের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। আজ রবিবার (১১ আগস্ট) উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ এবং উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদসহ সনাতন ধর্মের বিভিন্ন সংগঠন এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে কয়েক সহস্রাধিক সনাতন ধর্মের নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। মিছিল থেকে শ্লোগান দেওয়া হয় তুকি কে আমি কে বাঙ্গালী বাঙ্গালী, জেগে উঠো হিন্দু জনতা, এ লড়াই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই, এ লড়াই ধর্ম রক্ষার লড়াই, এ লড়াই বেঁচে থাকার লড়াই।
বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলটি বাইমহাটি কালি মন্দির থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে পুরাতন বাস স্টেশনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু উত্তম কুমার সেন লালু, সাধারণ সম্পাদক বাবু নিরঞ্জন পাল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু বিকাশ গোষ্মামী, সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রমথেস গোষ্মামী সংকর, বিপ্লব সাহা, উত্তম কুমার সাহা, স্বপন মন্ডল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে সনাতন ধর্মের লোকজনের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট বন্ধ না করা হলে কঠোর কর্মসুচী দেওয়া হবে বলে প্রশাসনকে হুশিয়ারী করা হয়েছে।

মির্জাপুরে বাজার মনিটরিং ও ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে স্কাউটসসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাজার মনিটরিং ও রাতায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কাউটসসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে মির্জাপুর উপজেলা সদরের কাঁচা বাজারে বাজার মনিটরিং এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বংশাই রোডের বাইপাস এলাকা, থানা রোড, কালিবাড়ি রোড, মসজিদ রোড ও কুমুদিনী হাসপাতাল রোডসহ মির্জাপুর পুরাতন বাস স্টেশন এলাকায় নিরলস ভাবে তারা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে। বাজার মনিটরিং এবং প্রখর রোদের মধ্যে রাস্তায় দাড়িয়ে স্কাউটস ও শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করায় অভিভাবকসহ পথচারীরা খুঁশি হয়ে তাদের পানি জোসসহ শুকনো খাবার তুলে দিচ্ছে।
দুপুরে মির্জাপুর পুরাতন বাস স্টেশন এলাকার গোল চত্তরে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনকারী স্কাউটস ও শিক্ষার্থীরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে রিকসা চালক, মোটর সাইকেল আরোহী, পথচারী এবং সেনা সদস্যদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, কোন ব্যবসায়ী যাতে জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে না পারে সে জন্য বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং সাধারণ জনগনকে সচেতন করতে নিজেদের উদ্যোগেই তারা দায়িত্ব পালন করছে। যতদিন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরে না আসবে এবং দেশে অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি বন্ধ না হবে ততদিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করে যাবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম এবং সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন, স্কাউটস এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের আমরা স্বাগত জানাই। জনগনকে সচেতন করতে তারা যে উদ্যোগ নিয়েছে এটা সত্যিই প্রশংসার দাবী। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। তবেই দেশ আরও এগিয়ে যাবে।

গোড়াই হাইওয়ে থানা পরিদর্শনে সেনাবাহিনীর ১৯ পদাধিক ডিভিশনের জিওসিসহ পুলিশ সুপার-ডিসি

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
দূবৃত্তদের দেওয়া পুড়ে যাওয়া টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই হাইওয়ে থানা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাধিক ডিভিশনের জিওমি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সামীহুর রহমান তারেক এবং ৯৮ কম্পোজিট বিগ্রেডের কমান্ডার বিগ্রেড শফিউল আজমসহ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন। আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে কর্মকর্তাগন গোড়াই হাইওয়ে থানা পুরিদর্শন করেন। এ সময় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়সারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আব্দুস সবুর পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরফুদ্দিন আহমেদ, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম ও গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি আদিল মাহমুদ।
গত ৪ আগস্ট কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে ৫০০শ থেকে ৬০০শ অস্্রধারী দূবৃত্ত হামলা চালিয়ে গোড়াই হাইওয়ে থানা ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করে এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসিসহ ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আজ পর্যন্ত পুলিশ শুন্য গোড়াই হাইওয়ে থানা। কবে এই থানার কার্যক্রম শুরু হবে তা অনিশ্চিত রয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে আজ শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগনসহ টাঙ্গাইলের ডিসি-এসপি এবং উপজেলা প্রশাসন। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাইওয়ে থানা সংস্কারসহ যানবাহন প্রদান এবং হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে থানার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেন।
অপর দিকে গোড়াই হাইওয়ে থানা পরিদর্শনের পর জিওসিসহ ডিসি-এসপি মির্জাপুর থানা পরিদর্শনে আসেন। থানা পরির্দনের পর মির্জাপুর থানা অডিটোরিয়ামে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা এবং তাদরে ১১ দাবী দাবী বাস্তবায়নসহ সকল দাবী পুরনের আশা¦স দিয়ে তাদের কাজে যোগদানের নির্দেশ প্রদান করেন। পরে সুধীজনের সঙ্গে থানা চত্বরে মতবিনিময় সভায় আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য সকলের সহযোগিতা চান। এ সময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর-নাগরপুর সার্কেল) এস এম মনসুর মুসা, মির্জাপুর থানার ভাপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সালাউদ্দিন, সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, এড. আব্দুর রউফ মিয়া, খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, মো. হযরত আলী মিঞা, ডি এম শফিকুল ইসলাম ফরিদ, সাবেক ভিপি আবু আহগমেদ, আবুর কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুরে উন্নয়ন বঞ্চিত দেওহাটা বৃহৎ পশুর হাট ও বাজার

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার শত বছরের পুরনো দেওহাটা পশুর হাট ও বাজারের উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। রাস্তা-ঘাটের খুবই করুন অবস্থা। বছর বছর সরকারি রাজস্ব বাড়লেও উন্নয়ন হয়নি হাট ও বাজারের। চলাচলের ক্ষেত্রে এই বাজারের ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই কোমর পানিতে ডুবে থাকে গরুর হাট।
আজ বৃহস্পতিবার দেওহাটা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে প্রতিটি রাস্তা কাঁদা-পানিতে সয়লাভ এবং পশুর হাটে জলাবদ্ধতা হয়ে চলাচলের অনুপযোগি। ভুক্তভোগি ১৫-২০ জন ব্যবসায়ী এবং হাট ও বাজারে আসা অন্তত ২০ জন এলাকাবাসি জানান, মির্জাপুর পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে শত বছরের পুরনো দেওহাটা পশুর হাট ও বাজারটি অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন। হাট ও বাজারটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় প্রতি দিন হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম হয়। এখানে প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বিশাল একটি পশর হাট বসে। বাজার বসে নিয়মিত প্রতি দিন। একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে গরুর হাট ডুবে যায়। গরুর হাটে টাঙ্গাইল, ভুয়াপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুর, কুষ্টিয়া, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ এবং ঢাকা জেলার বেপারিরা গরুর জন্য আসে। এছাড়া বসে নিয়মিত কাঠের হাট। পৌরসভা এবং উপজেলার গোড়াই, বহুরিয়া, লতিফপুর, তরফপুর, আজগানা এবং ভাওড়া ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন। হাটের পাশেই রয়েছে পৌরসভা ও গোড়াই ইউনিয়ন দুটি ভুমি অফিস, ১০ নম্বর গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদ, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি পুলিশ ফাঁড়ি, বেশ কয়েকটি মসজিদ-মাদ্রাসা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। প্রতি বছর সরকার এই হাট থেকে ৪০-৫০ লাখ টাকা ইজারা দিয়ে রাজস্ব পেয়ে আসছেন। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়লেও গুরুত্বপুর্ন এই হাটের রাস্তা-ঘাটের কোন উন্নয়নের ছোয়া পড়েনি। কাঠ বাজার, মাছ বাজার, গরুর হাট, ভুমি অফিস রোড, ইউনিয়ন পরিষদ রোড সারা বছর কাঁদা-পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চলাচল অনুপযোগি থাকে। আবার স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বিভিন্ন রাস্তার পাশ দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
এ ব্যাপারে দেওহাটা বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী ও হাটের ইজাদার এবং ১০ নং গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. কামরুজ্জামান (জামান মেম্বার) বলেন, প্রতি বছর এই হাটের সরকারি রাজস্ব আয় বাড়ানো হয়। চলতি বছরও এই হাট থেকে ৫৫ লাখ টাকার রাজস্ব নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। হাটের উন্নয়ন বলতেই কিছুই হচ্ছে না। রাস্তায় কাঁদা পানি জমে করুন দশা। রাস্তার উন্নয়ন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা, সাধারন মানুষের পায়ে হেঁটে চলাই দুষ্কর। একটু বৃষ্টি হলেই কাঠের বাজার ও গরুর হাট পানিতে তলিয়ে যায়। চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগের শেষ নেই। একই অভিযোগ করেছেন সমিল শ্রমিকের সদস্য মো. ইয়াকুব আলী, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মো. সুলতান উদ্দিনসহ একাধিক ব্যক্তি। দেওহাটা হাটের রাস্তা-ঘাট এবং গরুর হাট দ্রুত উন্নয়নের জন্য এলাকাবাসি ও হাটের ব্যবসায়ীরা স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক, উপজেরা পরিষদেও চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ১০ নং গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ (পশ্চিম) এর সভাপতি আলহাজ¦ হুমায়ুন কবীর বলেন, দেওহাটা হাট-বাজারটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে হওয়ায় এর গুরুত্ব অনেক বেশী। এখানে সপ্তাহে মঙ্গলবার বিশাল পশুর হাট বসে। মহাসড়কটি থেকে হাট নিচু হওয়ায় বছরের অধিকাংশ সময় পানি জমে থাকে। মাটি ভরাটের জন্য যে পরিমান ার্থ প্রয়োজন ইউনিয়ন পরিষদে সে পরিমান অর্থ নেই। অর্থ সংকটের কারনে হাটের উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম বলেন, দেওহাটা হাট ও বাজারটি পুরনো এবং অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন। এই হাট থেকে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমান রাজস্ব পেয়ে আসছে। হাটের রাস্তা-ঘাটের খুবই দুরবস্থা। রাস্তা থেকে হাটটি নিচু। মাটি ভরাটের ব্যবস্তা করতে হবে। দীর্ঘ দিন সংস্কার কাজ না হওয়ায় রাস্তা দিয়ে চলাচল অনুপযোগি হয়ে পরেছে। হাট ও রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের জন্য প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।