বাংলা নিউজ
Friday, March 21, 2025
Home Blog Page 29

মির্জাপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমপি শুভকে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও প্রতারক বলায় এলাকায় তোলপার

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু সাংসদ খান আহমেদ শুভ এমপিকে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও প্রতারক বলায় রাজিৈনত মহলে ব্যাপক তোলপার শুরু হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের এই বক্তব্য টক অবদা মির্জাপুরে পরিনত হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলেও ঘোষনা দিয়েছেন।গত তিন দিন ধরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের এই বক্তব্য সামাজিক যোগ যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হচ্ছে। গত উপনির্বাচনে বিজয়ী সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আহমেদ শুভ এমপিকে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও প্রতারক বলে মন্তব্য করেছেন মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের তিন বার এবং গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ বারের চেয়ারম্যান প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্ট। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী ও বহিরাগত খান আহমেদ শুভকে নৌকার প্রতীক দিয়ে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুরে আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন দিলে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগনকে সঙ্গে নিয়ে তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার (২২নভেম্বর) মির্জাপুর উপজেলার সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সেঙ্গ কথা বলে এমপি-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে দ্বন্ধের বিস্তারিত জানা গেছে।
অনুসন্ধানে ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একজন নিবেদিত প্রান আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান নেতা এবং আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এমপি-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে দ্বন্ধের মুল কারন হচ্ছে আওয়ামীলীগের উপজেলা শাখা কমিটি গঠন নিয়ে। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও এমপি খান আহমেদ শুভ ও তার অনুসারীরা পরিকল্পিত ভাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুকে কমিটি থেকে বাদ দিয়েছেন। এর পর থেকেই তাদরে ম,ধ্যে দ্বদ্ধ শুরু হয়। গত রবিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের লতিফপুর বড়চালা গ্রামে দুই দিনব্যাপী বাউল সংগীত উৎসব অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমপি শুভকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা। এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, টাঙ্গাইল হঠাও, মির্জাপুর বাঁচাও। এটাই আমাদের শ্লোগান। তিনি আরও বলেন, এমপি শুভ এলাকায় থাকেন না। তার বাবাকে নিয়ে তিনি টাঙ্গাইলে অবস্থান করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চার বারের এমপি প্রয়াত একাব্বর হোসেনের মৃত্যুর পর মিথ্যা প্রলোভন ও টাকার বিনিময়ে মির্জাপুরে উপনির্বাচনে এমপি হন। তিনি এমপি হওয়ার পর তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন। জনগনের সার্থে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। আগামী নির্বাচনে পাহাড়ী এলাকা থেকে তিনি প্রার্থী হলে পুরো পাহাড়ী এলাকার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। উপজেলার গোড়াই, আজগানা, বাঁশতৈল, তরফপুর ও লতিফপুর হচ্ছে লাল মাটির পাহাড়ী এলাকা। এই এলাকা থেকে তিনিই প্রথম নির্বাচন করবেন বলে ঘোষনা দেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় লাল মাটির সন্তান হিসেবে তাকে নির্বাচিত করতে পাহাড় বাসীকে এক হওয়ার আহবান জানান । তিনি বলেন, খান আহমেদ শুভ এমপি বাদে অন্য যে কেউ মনোনয়ন পেলে তিনি সতন্ত্র প্রার্থী হবেন না এটাও ঘোষনা দেন।
এ ব্যাপারে আজ বুধবার বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু এ বিষয়ে বলেন, এমপি শুভ একজন বহিরাগত, দাঙ্গাবাজ ও সন্ত্রাসী। এরাকার জনগনের সঙ্গে তার কোন সম্প্রক্তা নেই। জাকাতের অনুদানের টাকা নিজের নাম ব্যবহার করে জনগনকে ধোকা দিয়ে কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন মনোনয়ন পাওয়ার জন্য। দ্বাদশ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ খান আহমেদ শুভকে দলীয় মনোনয়ন দিলে তিনি এমপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। ইতিমধ্যে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজের নামে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। দুই এক দেিনর মদ্যে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু একজন প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা ও আট বারের চেয়ারম্যান। তার সঙ্গে আমার কোন ব্যক্তিগত দ্বন্ধ নেই। তিনি আমার ও মির্জাপুরবাসির একজন অভিভাবক। আমি তাকে সম্মান করি। আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক এই আসনের প্রথম গণপরিষদ সদস্য ছিলেন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা, আমার দাদা ও বাবার বাড়ির উপজেলার ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার যোগ্যতায় ও বাবার পরিচয়ে উপনির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। দুই বছরের সময়কালে আমি সততার সঙ্গে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এমন কোন কাজ করিনি যে কারণে আমাকে কেউ সন্ত্রাসী বলতে পারবে। দলের কাছে পুনরায় মনোনয়ন চেয়েছি। মনোয়ন দিলে নির্বাচন করবো। না দিলে যাকে মনোনয়ন দিবে তার হয়ে কাজ করবো। স্বতন্ত্র নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, কে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে, না করবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ভিন্ন আঙ্গিকে। বিএনপি নির্বাচনে এলে এক ধরনের নির্বাচন আর বিএনপি নির্বাচনে না এলে অন্য ধরনের নির্বাচন হবে। কাজেই দল যে ভাবে নির্দেশনা দিবে সেই ভাবেই নির্বাচন হবে। কেউ যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।

মির্জাপুরে ৪৮ ঘন্টায় চাঞ্চল্যকর পোষাক শ্রমিক নার্গিস খুনের রহস্য উৎঘাটন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
পোষাক শ্রমিক চাঞ্চল্যকর নার্গিস কাওসার সাদিয়া (৪৩) খুনের রহস্য ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে উৎঘাটন করেছেন পুলিশ। খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুই ঘাতককে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর এই খুনের রহস্য উৎঘাটন হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এটিএম জহিরুল হক আজ বুধবার রাতে নিশ্চিত করেছেন। পাওনা টাকা চাওয়ায় তিন ভাই মিলে পোষাক কারখানার শ্রমিক নার্গিস কাওসার সাদিয়াকে নির্মম ভাবে খুন করে লাশ গুম করার জন্য ফেলে রাখেছিল গভীর জঙ্গলে। ঘটনার এক দিন পর পুলিশ মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা মজিদপুর এলাকার জঙ্গল থেকে লাশউদ্ধার করে।
আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) মির্জাপুর থানা পুলিশ সুত্র জানায়, নার্গিস কাওসার সাদিয়া পেশায় পোষাক শ্রমিক। তার পিতার নাম মতিউর রহমান। গ্রামের বাড়ি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার নতুন বান্দুরা মীরের ভাঙ্গী গ্রামে। পরিবারের অভাব মোচনের জন্য গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি আরামবাগ মিতালী ক্লাব এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে পোষাক কারখানায় কাজ করতেন। কারখানায় কাজ করার সময় পরিচয় হয় কাপড় ব্যবসায়ী হাসেমের সঙ্গে। হাসেমর পিতার নাম উজির আলী, গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর গ্রামে। নার্গিসের সঙ্গে পরিচয় এবং বিয়ের প্রলোভনে কাপড় ব্যবসার জন্য নার্গিগের নিকট থেকে ৮ লাখ টাকা ধার নেন হাসেম। এভাবে কেটে গেছে কয়েক বছর। ধার করার টাকাও দিচ্ছে না আবার নার্গিসকে বিয়েও করছে না হাসেম। ধারের টাকা চাওয়া এবং বিয়ের জন্য নার্গিস চাপ দিলে তাদের মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়। দ্বন্ধের জের ধরে হাসেম ও তার দুই ভাই হান্নান ও হাসান মিলে নার্গিসকে খুনের পরিকল্পনা নেয়। গত ১৮ নভেম্বর বিকেলে কৌশলে হাসেম বেড়ানোর কথা বলে নার্গিসকে কোনাবাড়ির বাসা থেকে নিয়ে মির্জাপুর উপজেলার আজগানা এলাকায় নিয়ে আসে। সেখানে দুই খুনি হান্নান ও হাসান এবং হাসেম মিলে নার্গিসকে নির্মম ভাবে খুন করে লাশ গুম করার জন্য জঙ্গলের ভিতরে ফেলে পালিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনার পরের দিন স্থানীয় লোকজন লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যানিটি ব্যাগ ও খুনের কিছু আলামত উদ্ধার করে। অজ্ঞাত ভেবে ময়না তদন্ত করে। পুলিশের কাছে খবর পেয়ে নার্গিসের মেয়ে জুইয়ারিয়া জান্নাতি কুমু মির্জাপুর থানায় এসে লাশ সনাক্ত করে। গত ২০ নভেম্বর কুমু বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং ১১, তাং-২০/১১/২০২৩.।
এদিকে মামলার সুত্র ও কিছু আলামত সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এটিএম জহিরুল হক ও আবুল বাশার মোল্লা নার্গিস খুনের রহস্য উৎঘাটনে মাঠে নামেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নার্গিস খুনের ৪৮ ঘটনার ব্যবধানে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে খুনের মুল হোতা হাসেম এবং তার ভাই হান্নানকে গ্রেফতার করেছে। অপর খুনি হাসেমের ভাই হাসান পলাতক। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এটিএম জহিরুল হক বলেন, হাসেমের নিকট পাওনা আট লাখ টাকা চাওয়ায় নার্গিসকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় ক্ষুব্দ হয়ে তিন ভাই মিলে পরিকল্পিত ভাবে নার্গিসকে খুন করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুই খুনি হান্নান ও হাসেম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
এদিকে মামলার বাদী ও নার্গিসের মেয়ে জুইয়ারিয়া জান্নাতি কুমু খুনিদের ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর-নাগরপুর) সার্কেল এএসএম আবু মনসুর মুসার সঠিক দিক নির্দেশনায় তথ্য প্রুক্তি ব্যবহার করে অল্প সময়ের মধ্যে নার্গিস খুনের রহস্য উৎঘাটন এবং খুনিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।

মির্জাপুরে নৌকা পেতে দলীয় মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এক নারীসহ ৯ জন এমপি প্রার্থী

মীর আনোয়ারর হোসেন টুটুল
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৩৬, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে নৌকার টিকেট পেতে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এক নারী নেত্রীসহ ৯ জন আওয়ামীলীগ নেতা। ৯ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। দলীয় টিকেট নিশ্চিত করতে হ্যাবিওয়েট প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্ধারে দ্ধারে ঘুরছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি এমপি প্রার্থীরা নিজ এলাকায় বিভিন্ন দলীয় ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড ছাড়াও কর্মীসভা, উঠান বৈঠক, খেলাধুলা, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গনসংযোগ করছেন। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলায় ৯ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে দলীয় সুত্র নিশ্চিত করেছেন। আগামী বৃহস্পতিবার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করা হবে বলে দলীয় সুত্র জানিয়েছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৩৬, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে নৌকার মাঝি হতে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত ও সাবেক গণপরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুকের পুত্র বর্তমান সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আহমেদ শুভ, মির্জাপুর উপজেলা আওায়ামীলীগের সভাপতি, মা ফাতেমা স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক ভিপি মীর শরীফ মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও প্রয়াত চার বারের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. একাব্বর হোসেনের পুত্র ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, উপজেলা আওায়ামীলীগের সহসভাপতি ও হংকং শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি শিল্পপতি আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ লিটন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য ও মধুমতি ব্যাংকের স্পন্সর ডাইরেক্টর এবং ইবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, আওয়ামীলীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মেজর (অব.) ড. খন্দকার এ হাফিজ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবা শাহরীন।
টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের মধ্যে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপর নির্বাচনী এলাকা একটি গুরুত্বপুর্ন আসন। এখানে এক সময় জাতীয় পার্টি ও পরে বিএনপি দখলে নিয়ে শাসন চালিয়েছেন। জাপা ও বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এ্ই আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে ্আসে। টানা চার বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. একাব্বর হোসেন। তিনি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্রিজ-কালভার্ট, রাস্তা-ঘাটসহ প্রতিটি ক্ষেত্র্ইে সুষম উন্নয়ন করেছিলেন। ২০২১ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে নৌকার টিকেটে এমপি নির্বাচিত হন খান আহমেদ শুভ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে গত দুই বছরে তিনি প্রতিটি এরাকায় সুষম উন্নয় অব্যহৃত রেখেছেন। দিন রাত জনগন সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাওয়ার দৃর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারের বর্তমান সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার বাবা ফজললুর রহমান কান ফারুক জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক গনপরিষদ সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত। টাঙ্গাইলের আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে তিনিই টিকিয়ে রেখেছেন। এ দলের মধ্যে নেতাকর্মীদের মত বিরোধ থাকলেও ভোটের সময় কারও মতবিরোধ নেই। বর্তমান সরকারের আমলে গত দুই বছরে মির্জাপুরে যে উন্ননয়ন হয়েছে, দেশ স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও তা হয়নি। আমার বিশ্বাস আগামীতে আমি মনোয়ন পেলে মির্জাপুরকে একটি আদর্শ ও মডেল হিসেবে উপহার দিতে পারবো।
মীর শরীফ মাহমুদ বলেন, আমার পরিবারটি মুলত আওয়ামীলীগের। বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের রাজনীতিরি সঙ্গে ৪৪ বছর পার করেছি। কলেজের ভিপি, বিআরডিবির চেয়ারম্যান, দীর্ঘ দিন দলের সাধারন সম্পাদক ও বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। তৃণমুলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অত্যান্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। আমার বিশ^াস এ বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ নেত্রী এবং দল আমার কাজের মুল্যায়ন করবেন।
ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, আমার বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ একাব্বর হোসেন এই আসনের চার বারের এমপি ছিলেন। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে তিনি অনেক ত্যাগ ও সংগ্রাম করে নেত্রীকে এই আসনটি উপহার দিয়েছিলেন। এলাকায় তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। উপজেলা আওয়ামীলীগকে তিনিই সুসংগঠিত করেছেন। বাবার আদর্শকে ধরে রাখতে ও তরুণ হিসেবে দলীয় নেতাকর্মী, সাধারন জনগন এবং ভোটারগন আমাকেই এমপি হিসেবে যাচ্ছেন। আশা করছি দল ও প্রধানমন্ত্রী আমাকেই নৌকার টিকেট দিবেন। দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে শতভাগ আশা করেছেন শিল্পপতি আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ লিটন, রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, মেজর (অব.) ড. খন্দকার এ হাফিজ, সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল এবং মাহবুবা শাহরীন।

মির্জাপুরে অবৈধ চায়না দোয়ারি ক্যারেন্ট জাল পুড়িয়ে দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অভিযান চালিয়ে অবৈধ চায়না দোয়ারি ক্যারেন্ট জাল উদ্ধারের পর পুড়িয়ে দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান। আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পারদিঘি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় এক হাজার মিটার অবৈধ চায়না দোয়ারি ক্যারেন্ট পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিস জানিয়েছেন।
মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিস ও মৎস অফিস জানায়, একটি অসাধু চক্র প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন খাল বিল ও পুকুরে অবৈধ চায়না দোয়ারি ক্যারেন্ট জাল ফেলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করছেন। গোপন সংবাদ পেয়ে আজ সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশানর (ভুমি) মাসুদুর রহমান ফতেপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন খাল বিলে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের খবর পেয়ে অসাধূ চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় প্রায় এক হাজার মিটার অবৈধ চায়না দোয়ারি ক্যারেন্ট জাল উদ্ধারের পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ আটক হয়নি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদুর রহমান বলেন, অবৈধ চায়না দোয়ারি ক্যারেন্ট জাল ফেলে যারা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করছেন তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলমান থাকবে।

আরপি সাহার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কুমুদিনীতে আলোচনা সভা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শহীদ দানবীর আরপি সাহার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) কুমুদিনী কমপ্লেক্্েরর ভারতেশ^রী হোমসের প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ও সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আতাউর রহমান। কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অভ বেঙ্গল বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাজিব প্রসাদ সাহা, কুমুদিনী ইউমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. এম হালিম, ভারতেশ^রী হোমসের প্রিন্সিপাল মিসেস মন্দিরা চৌধরী এবং কুমুদিনী নার্সিং করেজের প্রিন্সিপাল সিস্টার রীনা ম্যাগডালিন ক্রুস প্রমুখ।
কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিমেশ ভৌমিক লিটন জানান, গতকাল শুক্রবার ছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আরপি সাহার) ১২৭ তম জন্মজয়ন্তী এবং কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর প্রতিষ্ঠা দিবস। এ উপলক্ষে তার নিজ গ্রাম মির্জাপুর, তার সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান কুমুদিনী কমপ্লেক্্র, নারী জাগরণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও বিএসসি নার্সিং কলেজ এবং তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ঢাকা ও নারানগঞ্জে দিন ব্যাপি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভারতেশ^রী হোমসের সবুজ চত্তরে আয়োজন করা হয় শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার উপর এবং কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর উপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন। সন্ধ্যায় ভারতেশ^রী হোমসের ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন হয়। আজ শনিবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় কুমুদিনী কমপ্লেক্্েরর ভারতেশ।বরী হোমসের প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুস্ঠানে উপজেলা প্রমাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
উরেøখ্য যে, ১৯৭১ সালের ৭ মে রাজাকার আল বদর বাহিনী ও পাকিস্তানী দোষররা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে ধরে নিয়ে যায়। আজও তাদের কোন খোঁজ মিলেনি।

শ্রদ্ধা-ভালবাসায় আরপি সাহাকে স্মরণ ও কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় ১২৭ তম জন্মজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহাকে (আরপি সাহাকে) স্মরণ এবং কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর প্রতিষ্ঠা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) তার নিজ গ্রাম টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, তার সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান কুমুদিনী কমপ্লেক্্র, নারী জাগরণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও বিএসসি নার্সিং কলেজ এবং তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ঢাকা ও নারানগঞ্জে দিন ব্যাপি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দানবীরের ১২৭ তম জন্ম জয়ন্তীতে কুমুদিনী পরিবার এবং মির্জাপুর গ্রামবাসি কুমুদিনী কমপ্লেক্্ের তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভারতেশ^রী হোমসের সবুজ চত্তরে আয়োজন করা হয় শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার উপর এবং কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর উপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন। সন্ধ্যায় ভারতেশ^রী হোমসের ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন হয়। কুমুদিনী পরিবারের সদসস্য ও সুধীজনের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জলনের আয়োজন ছিল মনোমুগ্ধকর। আলোচনা সভায় কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শ্রী রাজিব প্রসাদ সাহা শহীদ দানবীর আরপি সাহার কর্মময় জীবন এবং কুমুদিনী ট্রাস্টের উপর বিস্তারিত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর শিক্ষা পরিচালক ভাষা সৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পরিচালক শ্রীমতি সাহা, সম্পা সাহা, কুমুদিনী হাসপাতালেল পরিচারক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, ও কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এম এ হালিম, কুমুদিনী হাসপাতালেল চিকিৎসক, ভারতেশ^রী হোমসের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক মন্ডলী, মির্জাপুর গ্রামবাসি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভারতেশ^রী হোমসের সিনিয়র শিক্ষক কবি ও সাহিত্যিক হেনা সুলতানা জানান, রনদা প্রসাদ সাহা ১৮৯৬ সালে মির্জাপুর গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্র পোদ্দার এবং মায়ের নাম কুমুদিনী দেবী। অভাব আর দারিদ্রের মাঝে বড় হয়ে তিনি দ্বিতীয় বিশ^ যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। যুদ্ধের সময় ভারতের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সুবাদে তিনি ভারতে চলে যান। তার সাহস আর সততার জন্য ঐ ব্যবসায়ী রনদা প্রসাদ সাহাকে তার সম্পত্তির দেখা শোনার দায়িত্ব দেন। এভাবেই তিনি প্রচুর অর্থের মালিক হন। প্রচুর অর্থের মালিক হলেও তিনি সে টাকা নিজের কাজে ব্যয় করেননি। তার সমুদয় সহায় সম্পদ দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য দান করে যান। তিনি সেবার ব্রত নিয়ে দেশ দেশের কল্যাণের জন্য নিজেকে আন্তনিয়োগ করেন। তিনি আর্তমানবতার সেবায় গড়ে তুলেন কুমুদিনী হাসপাতাল, নারী শিক্ষার জন্য ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা বিশ^বিদ্যালয়, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজ, নারায়নগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রে কলেজ, টাঙ্গাইল কুমুদিনী মহিলা কলেজ, মির্জাপুর মহাবিদ্যালয় বর্তমানে মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারী কলেজ, মির্জাপুর এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় বর্তমানে মির্জাপুর এস কে পাইলট মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিভিন্ন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠান করেন।
১৯৭১ সালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রীয় ভাবে অংশ নিয়ে দেশ মার্তৃকার জন্য ঝাপিয়ে পরেন। যুদ্ধের সময় তার সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে বহু নারী পুরুষ আশ্রয় নিয়ে চিকিৎসা সেবা পান। ১৯৭১ সালের ৭ মে এ দেশের কিছু রাজাকার আল বদর বাহিনী ও পাকিস্তানী দোষররা মহান এই মানুষ দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে ধরে নিয়ে যায়। আজও তাদের কোন খোঁজ মিলেনি। তার সেবাকর্মের তিনি যুগ যুগ ধরে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। মহান এই ব্যক্তির ১২৭ তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী।
শ্রদ্ধা-ভালবাসায় আরপি সাহাকে স্মরণ ও কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় ১২৭ তম জন্মজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহাকে (আরপি সাহাকে) স্মরণ এবং কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর প্রতিষ্ঠা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) তার নিজ গ্রাম টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, তার সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান কুমুদিনী কমপ্লেক্্র, নারী জাগরণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও বিএসসি নার্সিং কলেজ এবং তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ঢাকা ও নারানগঞ্জে দিন ব্যাপি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দানবীরের ১২৭ তম জন্ম জয়ন্তীতে কুমুদিনী পরিবার এবং মির্জাপুর গ্রামবাসি কুমুদিনী কমপ্লেক্্ের তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভারতেশ^রী হোমসের সবুজ চত্তরে আয়োজন করা হয় শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার উপর এবং কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর উপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন। সন্ধ্যায় ভারতেশ^রী হোমসের ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন হয়। কুমুদিনী পরিবারের সদসস্য ও সুধীজনের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জলনের আয়োজন ছিল মনোমুগ্ধকর। আলোচনা সভায় কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শ্রী রাজিব প্রসাদ সাহা শহীদ দানবীর আরপি সাহার কর্মময় জীবন এবং কুমুদিনী ট্রাস্টের উপর বিস্তারিত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর শিক্ষা পরিচালক ভাষা সৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পরিচালক শ্রীমতি সাহা, সম্পা সাহা, কুমুদিনী হাসপাতালেল পরিচারক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, ও কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এম এ হালিম, কুমুদিনী হাসপাতালেল চিকিৎসক, ভারতেশ^রী হোমসের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক মন্ডলী, মির্জাপুর গ্রামবাসি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভারতেশ^রী হোমসের সিনিয়র শিক্ষক কবি ও সাহিত্যিক হেনা সুলতানা জানান, রনদা প্রসাদ সাহা ১৮৯৬ সালে মির্জাপুর গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্র পোদ্দার এবং মায়ের নাম কুমুদিনী দেবী। অভাব আর দারিদ্রের মাঝে বড় হয়ে তিনি দ্বিতীয় বিশ^ যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। যুদ্ধের সময় ভারতের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সুবাদে তিনি ভারতে চলে যান। তার সাহস আর সততার জন্য ঐ ব্যবসায়ী রনদা প্রসাদ সাহাকে তার সম্পত্তির দেখা শোনার দায়িত্ব দেন। এভাবেই তিনি প্রচুর অর্থের মালিক হন। প্রচুর অর্থের মালিক হলেও তিনি সে টাকা নিজের কাজে ব্যয় করেননি। তার সমুদয় সহায় সম্পদ দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য দান করে যান। তিনি সেবার ব্রত নিয়ে দেশ দেশের কল্যাণের জন্য নিজেকে আন্তনিয়োগ করেন। তিনি আর্তমানবতার সেবায় গড়ে তুলেন কুমুদিনী হাসপাতাল, নারী শিক্ষার জন্য ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা বিশ^বিদ্যালয়, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজ, নারায়নগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রে কলেজ, টাঙ্গাইল কুমুদিনী মহিলা কলেজ, মির্জাপুর মহাবিদ্যালয় বর্তমানে মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারী কলেজ, মির্জাপুর এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় বর্তমানে মির্জাপুর এস কে পাইলট মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিভিন্ন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠান করেন।
১৯৭১ সালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রীয় ভাবে অংশ নিয়ে দেশ মার্তৃকার জন্য ঝাপিয়ে পরেন। যুদ্ধের সময় তার সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে বহু নারী পুরুষ আশ্রয় নিয়ে চিকিৎসা সেবা পান। ১৯৭১ সালের ৭ মে এ দেশের কিছু রাজাকার আল বদর বাহিনী ও পাকিস্তানী দোষররা মহান এই মানুষ দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে ধরে নিয়ে যায়। আজও তাদের কোন খোঁজ মিলেনি। তার সেবাকর্মের তিনি যুগ যুগ ধরে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। মহান এই ব্যক্তির ১২৭ তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী।

মির্জাপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু গোল্ডকাপ ফুটবল ফাইনালে লতিফপুর চাঁনপুর চ্যাম্পিয়ন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আওয়ামীলীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনাযেত হোসেন মন্টু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে লতিফপুর চাঁনপুর একাদশ স্পোটিং ক্লাব (১-০) গোলে মিয়াবাড়ি একাদশ স্পোটিং ক্লাবকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খেলার প্রধান পৃষ্টপোষক ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সাবেক সহসম্পাদক মীর মইন হোসেন রাজিব। আজ শুক্রবার গোড়াই জমিদারবাড়ি মাঠ প্রাঙ্গনে বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে উৎসব মুখর আনন্দে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
গোড়াই ইউনিয়ন (পুর্ব) আওয়ামীরীগের সভাপতি মো. আশরাফ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা ও মো. আজাহারুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সদস্য মো. তাহেরুল ইসলাম, গোড়াই ইউনিয়ন (পুর্ব) আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ভুইয়া ঠান্ডু, আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সিকদার, বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ হেলাল উদ্দিন দেওয়ান, লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন রনি, উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাইম হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মিজু আহমেদ, গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের এক নং মেম্বার আদিল খান ও টাঙ্গাইল জেলা রেফারি সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান ওমর খান পন্নী প্রমুখ। পরে অতিথিবৃন্দ বিজয়ী দল ও রানার্স আপ দলের খেলোয়াড়দের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।

মির্জাপুরে টানা চার বারের সাবেক এমপি একাব্বর হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী পালন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি ও ১৩৬, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর সংসদীয় আসনের টানা চার বারের সাবেক মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. একাব্বর হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সাবেক এমপির পরিবার শোক সভা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। শোক সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক ও প্রয়াত এমপি একাব্বর হোসেনের পুত্র ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত এবং উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শামীম আল মামুনসহ উপজেলা আওয়ামীলীগও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘ দিনের সভাপতি ছিলেন।
জানা গেছে, একাব্বর হোসেন ১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই মির্জাপুর উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম মৃত মো. ওয়াজ উদ্দিন মিয়া এবং মাতার নাম রোজিনা বেগম। দুই ভাই ও ৬ বোনের তিনি চাতুর্থ সন্তান ছিলেন। তার স্ত্রী ঝরনা হোসনে, এক পুত্র ব্যারিষ্টার মো. তাহরীম হোসেন সীমান্ত ও দুই কন্যা বড় মেয়ে একতা ও ছোট মেয়ে ঈশিতা রয়েছেন। একাব্বর হোসেন ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র। এসএসসি পাশ করার পর তিনি ঢাকা সরকারি তিতুমির কলেজে ভর্তি হন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার অগ্রনী ভুমিকা। ১৯৭৩ সালে সরকারি তিতুমির কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। এইচএসসি পাশের পর তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মহসীন হলের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এবং ১৯৭৮ সালে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১১ নং সেক্টর যুদ্ধ করেন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা বিআরডিরি চেয়ারম্যান, ১৯৯০ সালে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অষ্টম মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মির্জাপুরে বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। একজন সাধা মনের মানুষ এবং তার বিপুল জনপ্রিয়তার কারনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোয়ন পেয়ে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। টানা চার বারের এমপি হওয়ায় তিনি মির্জাপুর উপজেলাকে উন্নয়নের এক রোল মডেল হিসেবে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, বিদ্যুৎ, গ্যাস, শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল স্থাপন করে দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তার অক্লান্ত চেষ্টায় মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠন সুসংগঠিত। ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর অসুস্থ্য জনিত কারনে রাজধানী ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

মির্জাপুরে ভিডিও কনফারেন্সে নবনির্মিত আটটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্ধোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবনির্মিত আটটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্ধোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী জনননেত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে নবনির্মিত এই আটটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুভ উদ্ধোধন করেন। বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- বন্ধ্য কাউলজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ নাজিরপাড়া মীর সাদত হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোগিরকোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গবড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাঝালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নতুন কহেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাথরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান জানান. ২৪ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি তিন লাখ টাকার ১৫৭ প্রকল্পের ১০ হাজার ৪১ টি অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরই ধারা বাহিকতায় টাঙ্গাইলেল মির্জাপুর উপজেলার পিইপিডি-৪, এনবিআইডিজিপিএস-১ এবং এনবিআইডিএনএনজিপিএস-১ এই তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মিত হয়েছে। আজ বুধবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আটটি নতুন ভবন উদ্ধোধন করেছেন।

মির্জাপুরে শিল্পকলা একাডেমির সংগীত শিক্ষক শিল্পী মিনহাজুল মারা গেছেন, সাংস্কৃতিক অংগনে শোকের ছায়া

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাকালিন সংগীত শিক্ষক শিল্পী মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ (৫৯) মারা গেছেন (ইন্না নিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন)। আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) ভোর রাতে মির্জাপুর উপজেলা সদরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে পৌর কাউন্সিলর মো. সুমন হক জানিয়েছেন। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি শারীরিক বাবে অসুস্থ্য ছিলেন। গুণী এই সংগীত শিল্পীর মৃত্যুতে মির্জাপুরে সাংস্কৃতিক অংগনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গেছে, মিনহাজুল ইসলামরে পিতার নাম মৃত আব্দুল ওহাব মিয়া। গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর পৌরসভার দুই নং ওয়ার্ডের বাইমহাটি গ্রামে। তার বড় বোন চিত্র নায়িকা জাহানারা ভুইয়া। মৃতুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে এক ছেলে, তিন বাই ও তিন বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ সোমবার বাদ জোহর বাইমহাটি গ্রামের মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে বাইমহাটি কেন্দ্রীয় কবরস্থা তাকে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে মির্জাপুর শিল্পকলা একাডেমির গুণী এই শিক্ষক ও শিল্পী মিনহাজুলের মৃত্যুতে স্থানীয় সাংসদ খান আহমেদ শুভ এমপি, মির্জাপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সবাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীামন্ত, বিশিষ্ট্য সংগীত ও চিত্র শিল্পী হুমায়ুন কবীর, কবি ও সাহিত্যিক আসাদুজ্জামান বাবুলসহ বিশিষ্ট্য জনেরা তার আত্তার মাগফেরাত কামনায় গভীর শোক ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।