মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মো. কবির বিন আনোয়ার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আর্তমানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী কমপ্লেকসহ সেবাধর্মী বিভিন্ন স্তাপনা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং তার পরিবারের সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) মি. অনিমেশ ভৌমিক লিটন জানান, গতকাল রবিবার (২০ নভেম্বর) পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র মো. কবির বিন আনোয়ারসহ তার পরিবারের সদস্যসহ মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাগন কুমুদিনী কমপ্লেক্্ের পরিদর্শনে আসেন। কুমুদিনী পরিবার এবং মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচিব মহোদয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়সহ কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজে, নার্সিং স্কুল এন্ড বিএসসি কলেজ এবং ভারতেশ^রী হোমসের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তাগন কুমুদিনী কমপ্লেক্্েরর বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন। এখানকার চিকিৎসা সেবার মান, শিক্ষার পরিবেশ, নিয়মানুবর্তিতা ও সাংস্কৃতিক চর্চার সুষ্ঠু পরিবেশ দেখে প্রশংসা করেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিবের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতাল পরিদর্শন
মির্জাপুরে ইট ভাটার মালিকরা প্রতিকুলতার মাঝে চরম ঝুঁকিতে॥ ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে দিশেহারা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ইট ভাটার মালিকরা নানা প্রতিকুলতার মাঝে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভরা মৌসুমেও ভাটা চালু করতে না পারায় ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে দিশেহারা। মাালিকগন এখন উদ্বেক ও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন। ক্ষতির পরিমান কয়েক শত কোটি টাকা। অপর দিকে কয়লার দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারনে শতাধিক ইট ভাটার মালিকগন পথে বসার উপক্রম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। বিপুল অংকের টাকা বিনিযোগ করেও কয়লার অভাবে ইট ভাটা চালু করতে পারছেন না বলে মালিকগন অভিযোগ করেছেন। উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন এক দিকে কয়লার দাম টন প্রতি ১৮-১৯ হাজার টাকা বৃদ্ধিতে প্রস্তুতকৃত ইট নষ্ট হয়ে বিপুল অংকের টাকা ক্ষতির মুখে পরেছেন । এ যেন মরার উপর খরার ঘাঁ। কিছু কিছু ইট ভাটায় কাঠ বা লাকড়ির পরিবর্তে সরকারী নিয়ম মেনে পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে ইট পোড়ানো হচ্ছে। কোন ইট ভাটায় লাকড়ি বা কাঠ পোড়ানো হচ্ছে না।
আজ রবিবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার বাইমহাটি, সোহাগপুড়া, গোড়াই, সৈয়দপুর, হাটুভাঙ্গা, নয়াপাড়া, তরফপুর, আজগানা ও বাঁশতৈল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ইট ভাটায় কাঁচা ইট নষ্ট হচ্ছে। উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি সুত্র জানায়, মির্জাপুর উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে পরিবেশ বান্ধব শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটায় সরকারী নিয়ম মেনেই কয়লা দিয়ে ইট প্রস্তুত করা হয়। কয়লা মুলত ইন্দোনেশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড ও মলেশিয়া থেকে আমদানী করতে হয়। এ বছর কয়লা আমদানী নিয়ে নানা সমস্যা হয়েছে। ৮ হাজার টাকার কয়লা দাম বেড়ে হয়েছে ২৮-২৯ হাজার টাকা। ভাটা থেকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পেয়ে আসছেন। গত ৩০ বছরের ব্যবধানে ব্যক্তি মালিকাধীন জমি ও ভাড়া জমি নিয়ে এসব ইটভাটা গড়ে উঠলেও নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে এসব ইটভাটা এখন গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। মির্জাপুর উপজেলায় ইটভাটায় লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বাইমহাটি, মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, ভাওড়া, ভাদগ্রাম, গোড়াই. লতিফপুর, আজগানা, তরফপুর ও বাঁশতৈল ইউনিয়নে এসব ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে।
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সদস্য মো. আতিকুল ইসলাম সিকদার, হাজী মোক্তার আলী সিদ্দিকী, ইব্রাহীম মিয়া, আওলাদ হোসেনসহ ২০-২৫ জন মালিক জানায়, ইটভাটা একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। গত ৩০ বছরের ব্যবধানে পরিবেশ অধিপ্তরের ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসনের ইট পোড়ানোর লাইসেন্স গ্রহন করে ইট ভাটা স্থাপন করা হয়েছে। প্রথমে টিন চিমনি, পরবর্তীতে ১২০ ফুট উচু ফিক্্রড চিমনি ও ২০১৩ এর ২(ঘ) জালানি সাশ্রয়ী উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন হাইব্রিড, হফম্যান, কিলন, জিগজ্যাগ, ভ্যাটিক্যাল স্যাফট ফিলনসহ সরকারী ভাবে ইট ভাটা আইন জারি হলে ১২০ ফুট চিমনি ভেঙ্গে পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা স্থাপন করা হয়। এখন এসব ভাটায় কাঠ, বাঁশ ব্যবহার হচ্ছে না এবং পরিবেশেরও কোন ক্ষতি হচ্ছে না। লাখ লাখ টাকা খরচ করে চিমনি পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব ইটভাটা এখন পরিবেশেরও কোন ক্ষতি করছে না। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ২০১৯ এর (নিয়ন্ত্রন) (সংসেধন) শিথিল হলেও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় মির্জাপুরে ইটভাটা মালিকরা এখন চরম বিপাকে পরেছেন। এই শিল্পের সঙ্গে সরকার ও দেশের অনেক উন্নয়ন চিত্র জড়িত।
একাধিক ইটভাটার মালিক অভিযোগ করেন, মির্জাপুর উপজেলায় সরকারী বিধি অনুযায়ী পরিবেশ বান্ধব জিকজ্যাক ইটভাটায় উন্নত মানের ইট পোড়োনো হয়। নানা প্রতিকুলতার মাঝে একজন ইটভাটা মালিক জীবনের কষ্ঠার্জিত সমস্ত অর্থ ও ব্যাংক ঋণ নিয়ে একটি ইটভাটা স্থাপন করলেও তাদের হয়নারীর শিকার হতে হচ্ছে। ২০১৩ সালের আইন বাস্তবায়ন না করে পরিবেশ অধিদপ্তর এখন তাদের ছাড়পত্র দিচ্ছে না। গত বছর কয়লার দাম ছিল প্রতি টন ৯-১১ হাজার টাকা। চলতি বছর এক টন কয়লার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮-২৯ হাজার টাকা। গত বছর এক হাজার ইটের দাম ছিল ৬-৭ হাজার টাকা। কয়লাসহ জালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় ভরা মৌসুম শুরু হলেও নানা প্রতিকুলতার মাঝে ইটভাটা চালু করা যাচ্ছে না। ইট নষ্ট হয়ে চরম বিপাকে এবং কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন।
এ ব্যাপারে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মির্জাপুর উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির আহবায়ক মো. মঞ্জুরুল কাদের বাবুল বলেন, মির্জাপুর উপজেলায় প্রতিটি ইট ভাটায় পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিকে ইট পোড়ানো হয় এবং কোন কাঠ পোড়ানো হয় না। একটি চক্র নানা ভাবে তাদের হয়রানী করে যাচ্ছে। তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, কয়লার দামসহ বিভিন্ন উপকরনের দাম বৃদ্ধির কারনে উপজেলার ইটভাটা মালিক ঋনে জর্জরিত হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। দফায় দফায় জালানির দাম বৃদ্ধি ও পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র না দেওয়ায় ইটভাটা চালু করা যাচ্ছে না। ব্যাংক ঋনের চাপে তারা মরার উপক্রম হয়েছে। তাদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা রয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে কর্মরত লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে যাচ্ছে। সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে তারা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী, সচিব, পরিবেশ অধিপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। ইটভাটা চালু ও ছাড়পত্রসহ লাইসেন্স প্রদানের জন্য তিনি সরকারের সেঙ্গ জোর দাবী জানিয়েছেন। ইতি মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ্য ভাটা মালিকগন উচ্চ আধালতে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে রিট করেছেন। রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসন থেকে ভাটা মারিকদের হয়রানী না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের কর্মকর্তাগন বলেন, মির্জাপুর উপজেলায় বেশ কিছু ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরেরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স রয়েছে। যাদের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স নেই তারা সরকার ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে তাদের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
১৯৭১ সালের মহান মুক্তি যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সমাধীস্থলে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সমাধীতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
এ সময় আওয়ামীলীগ নেতা মেজর (অব.) খন্দকার এ হাফিজ, সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, মো. তৌফিকুর রহমান তালুকদার রাজিব, মো. আমিনুর রহমান আকন্দ, মো. শামীম আল মামুন, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মো. রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানিসহ মির্জাপুর পৌরসভা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় প্রথম স্থান মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় ১২ উপজেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে পুরষ্কার পেয়েছেন মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার এবং রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর দেওয়ান মোজাম্মেল হোসেন। আজ রবিবার (১৯ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত ডিজিটার উদ্ভাবনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় টাঙ্গাইলের ১২ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে স্টল সাজানো হয়। বিচারক মন্ডলীর সদস্যগন সার্বিক দিক দেখে মির্জাপুর উপজেলা ডিজিটার উদ্ভাবনী স্টলকে প্রথম নির্বাচিত করেন। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়।
মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার প্রবীর কুমার চৌধূরী জানান, বিকেলে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইলের স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ পরিচালক শামীম আরা রিনি। এ সময় টাঙ্গাইল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিসেস লায়লা খানমসহ বিভিন্ন উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে টাঙ্গাইলে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় মির্জাপুর উপজেলা প্রথম স্থান অর্জন করায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার এবং রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর দেওয়ান মোজাম্মেল হোসেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল, এসিল্যান্ড মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও মির্জাপুর থানার অপিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম।
মির্জাপুরে মাদক মুক্ত করার জন্য মুসুল্লিদের সহায়তা চাইলেন এমপি শুভ
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি তিন দিন ব্যাপি ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠানে মির্জাপুর থেকে মাদক মুক্ত করার জন্য মাহফিলে আসা ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিসহ মা-বোন এবং সকল অভিভাবকদের সহায়তা চেয়েছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ইসলামী যুব কল্যাণ পরিষদ ও দারুল উলুম মাদরাসার ব্যবস্থাপনায় গতকাল শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) থেকে মির্জাপুর ক্রীড়া সংস্থা ভবন সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে তিন দিন ব্যাপি ঐতিহাসকি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল শুরু হয়েছে। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ। টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব আলহাজ¦ হাফেজ মাওলানা শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন দেশ বরেন্য তরুন মোটিভেশনাল ইসলামিক আলোচক আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান। বিশেষ বক্তা ছিলেন হযরত মাওলানা মনোয়ার হোসাইণ মনির ও হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার প্রধান বক্তা সারা বাংলাদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রাপ্ত হাফেজ মাওলানা সাইদুল ইসলাম আসাদ ঢাকা। প্রধান অতিথি থাকবেন সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। শেষের দিন আগামীকাল রবিবার প্রধান বক্তা থাকবেন হাফেজ মাওলনা হাসান জামিল, প্রিন্সিপাল দারুল উলুম রাহমানিয়া মাদ্রাসা ও খতিব বাইতুস মামুর জামে মসজিদ, নিউমার্কেট, ঢাকা। প্রধান অতিথি থাকবেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খান আহমেদ শুভ এমপি আরও বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের দীন ইসলাম, কোরআন, হাদিস ও সুন্নাহর আলোকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ নজন্য সকল মুসুল্লি, মা বোন ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, সমাজে আজ মাদকে ছেয়ে গেছে। মাদেকর ছোবলে পরে যুব ও ছাত্র সমাজ আজ ধ্বংসের পথে। সমাজ থেকে মাদক, ইভটিজিং, দুর্নীতি ও অনিয়ম দুর করার জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। মির্জাপুরকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে উপহার দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন। এ সময় মির্জাপুরে ইসলামী যুব কল্যাণ পরিষদ ও দারুল উলুম মাদরাসার ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা ফরিদ হোসাইন, মুহতাতিম হযরত মাওলনা বদিউজ্জামান এবং সাধারন সম্পাদক মাওলানা সাজেদুল ইসলাম শামীম উপস্থিত ছিলেন। তিন দিন ব্যাপি ইসলামী ঐতিহাসিক এই মাহফিলে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্য ওলামায়ে আলেমগন দীন ও ইসলামের উপর ওয়াজ করবেন। আগামীকাল রবিবার মাহফিল শেষ হবে বলে আয়োজকগন জানিয়েছেন।
মির্জাপুরে কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ফাউন্ডেশন ডেতে আরপি সাহাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর ৯১ তম ফাউন্ডেশন দিবস নানা এায়াজনে পালিত হয়েছে। আজ শুক্রবার ( ১৯ নভেম্বর)উত্থান একাদশী ও তিথি অনুযায়ী উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা শহীদ দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা (আরপি সাহার) ১২৬ তম জন্ম জয়ন্তীতে তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে তার সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান কুমুদিনী কমপ্লেক্্র, নারী জাগরণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও বিএসসি নার্সিং কলেজ এবং তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ঢাকা ও নারানগঞ্জ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মুল অনুষ্ঠান ছিল কুমুদিনী কমপ্লেক্্েরর ভারতেশ^রী হোমসের সবুজ চত্তরে। কুমুদিনী কমপ্লেক্্র বর্নিল সাজে সজ্জিত করা হয়। সন্ধায় ভারতেশ^রী হোমসের সবুজ চত্তরে আয়োজন করা হয় দৃষ্টি নন্দন ডিস প্লে, মোমবাতি প্রজ্জলণ করে আর পি সাহা ও তার পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা এবং কুমুদিনী পরিবারের নিহতদের আবেগঘন পরিবেশে স্মরন করা হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে ধরেন কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা। অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল, ভুটান, অস্টেলিয়াসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের ভিসি, বিচারপতি, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ কয়েক শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন। অতিথিদের পদচারনায় অনুষ্ঠান স্থল ও কুমুদিনী কমপ্লেক্্ের এক মিলন মেলায় পরিনত হয়।
অনুষ্ঠান শেষে ভারতেশ^রী হোমসের সবুজ চত্তরে হোমসের ছাত্রী ও অতিথিদের প্রদীপ প্রজ্জলন অনুষ্ঠানে ছাত্রীরা গাইতে থাকে ও আলোর পথ যাত্রী, এ যে রাত্রি এখানে থেমোনা, আগুনের পরশ মনি ছোয়াও প্রাণে এ জীবন পুর্ন কর এবং আনন্দ লোকে মঙ্গোলো আলোকে বিরাজ— এ সময় অতিেিদর মধ্যে এক ্আবেগঘণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যায় আরপি সাহার ১২৬ তম জন্মজয়ন্তী এবং কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ফাউডেশন ডে উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা ১৮৯৬ সালে মির্জাপুর গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্র পোদ্দার এবং মায়ের নাম কুমুদিনী দেবী। দরিদ্র পরিবারের জন্মের পর অভাব আর দারিদ্রের মাঝে বড় হয়ে তিনি দ্বিতীয় বিশ^ যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। যুদ্ধের সময় ভারতের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সুবাদে তিনি ভারতে চলে যান। তার সাহস আর সততার জন্য ঐ ব্যবসায়ী রনদা প্রসাদ সাহাকে তার সম্পত্তির দেখা শোনার দায়িত্ব দেন। এভাবেই তিনি প্রচুর অর্থের মালিক হন।
এ দিকে প্রচুর অর্থের মালিক হলেও তিনি সে টাকা নিজের কাজে ব্যয় করেননি। তার সমুদয় সহায় সম্পদ দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য দান করে যান। তিনি সেবার ব্রত নিয়ে দেশ দেশের কল্যাণের জন্য নিজেকে আত্ব নিয়োগ করেন। তিনি মির্জাপুর ও দেশের জনসাধারনের সেবার জন্য গড়ে তুলেন কুমুদিনী হাসপাতাল, নারী শিক্ষার জন্য ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা বিশ^বিদ্যালয়, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজ, নারায়নগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রে কলেজ, টাঙ্গাইল কুমুদিনী মহিলা কলেজ, মির্জাপুর মহাবিদ্যালয় বর্তমানে মির্জাপুর সরকারী কলেজ, মির্জাপুর এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় বর্তমানে মির্জাপুর এস কে পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করেন। তার সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রদান করা হয় যা দেশে ও বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে।
১৯৭১ সালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রীয় ভাবে অংশ নিয়ে দেশ মার্তৃকার জন্য ঝাপিয়ে পরেন। যুদ্ধের সময় তার সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে বহু নারী পুরুষ আশ্রয় নিয়ে চিকিৎসা সেবা পান। ১৯৭১ সালের ৭ মে এদেশের কিছু রাজাকার আল বদর বাহিনী ও পাকিস্তানী দোষররা মহান এই মানুষ দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে ধরে নিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে। আজও তাদের কোন খোঁজ মিলেনি। কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. বা কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ৯০ তম প্রতিষ্ঠা দিবস ও দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার ১২৫ তম জন্ম জয়ন্তীকে ঘিরে এ বছরও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কুমুদিনী পরিবার ও মির্জাপুর গ্রামবাসি।
এ দিকে এ বছর কুমুদিনী ওয়েল ট্রাস্ট অব বেঙ্গল বিডি লি. বা কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ৯১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দানবীরের ১২৬ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে তার তীর্থ স্থান কুমুদিনী কমপ্লেক্্র, ভারতেশ^রী হোমস, নার্সিং স্কুল ও কলেজ, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এবং মির্জাপুর গ্রামে নানা সাজে সজিজত করা হয়েছিল। প্রার্থনা সভা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচী, কাঙ্গালী ভোজ, হাসপাতালের রোগীদের মাঝে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়। ভারতেশ^রী হোমসে অনুষ্ঠিত হবে তার কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে প্রশাসনের বিভিন্ন অধিপ্তরের কর্মকর্তা, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্র অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, পরিচালক (শিক্ষা) ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পরিচালক শ্রী মতি সাহা, পরিচালক সম্পা সাহা, মহাবীর পতি, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, এজিএম (অপারেশন) অনিমেশ ভৌমিক লিটন, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এম এ হালিম, ভারতেশ^রী হোমসের প্রিন্সিপাল ত্রয়ী বড়–য়া, কুমুদিনী নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল সিন্টার রীনা ক্রুস ও মেট্রন সিসন্টার দিপালী পেরেরাসহ শিক্ষক এবং কুমুদিনী পরিবারের কর্মকর্তাগন।
মির্জাপুরে ৭ম অলিম্পিয়াড সেমিনার ও পুরষ্কার বিরণ
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুই দিন ব্যাপি উৎসব মুখর পরিবেশে ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা এবং ৭ম অলিম্পিয়াড সেমিনারে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ গ্রহনকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে এ পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। মেলার মুল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল বিদ্যুৎ ও পানির অপচয় রোধ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান। এ সময় সহকারী কমিশানর (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা ও মো. আজাহারুল ইসলাম, একাডেমিক সুপার ভাইজার প্রবীর কুমার চৌধুরী, দেওহাটা আলহাজ¦ জোনাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম, মির্জাপুর এস কে পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম খান ও মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জাপুর থানার ডিএসবির উপপরিদর্শক রিজাউল টাঙ্গাইল জেলায় শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
পুলিশ বিভাগে জনকল্যাণে ন্যায়, নিষ্ঠা, সততা, আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় কর্মরত ডিএসবির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিজাউল কাজী টাঙ্গাইল জেলায় শ্রেষ্ঠ হয়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের পুলিশ লাইন দরবার হলে পুলিশ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এ পুরষ্কার তুলে দেন। আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) মির্জাপুর থানা পুলিশ সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মির্জাপুর থানা পুলিশ সুত্র জানায়, মো. রিজাউল কাজী ঢাকার শহীদ তিতুমীর কলেজ থেকে অনার্স পাশের পর ২০০২ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। কর্মজীবনে তিনি পুলিশ হেড কোয়াটার, গাজীপুর, র্যাব, জাতিসংঘ শান্তি মিশন পুর্ব তীমুর, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদি এবং বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানায় ডিএসসির উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত। গত অক্টোবর মাসের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক কল্যাণ সভায় গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে মো. রিজাউল কাজীকে টাঙ্গাইল জেলায় শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার নির্বাচিত করে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে পদন্মতি প্রাপ্ত মো. মনির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সরফুদ্দিন আহমেদসহ টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিনিয়র ও সহকারী পুলিশ সুপারগন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, মো. রিজাউল কাজী মির্জাপুর থানার একজন জন্য চৌকুস ও দক্ষ একজন পুলিশ অফিসার। তিনি পুরষ্কৃত হয়ে মির্জাপুর থানার মুখ উজ্জল করেছেন। তিনি আমাদের মির্জাপুর থানা তথা টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ বিভাগের জন্য গর্বের।
এ ব্যাপারে পুরষ্কারপ্রাপ্ত মির্জাপুর থানার ডিএসবির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিজাউল কাজী বলেন, বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে কর্মদক্ষতার জন্য ঢেলে সাজিয়ে নানা সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন জনগনের কল্যাণে কাজ করার জন্য। পুলিশ বাহিনীতে আমি একজন ক্ষুদ্র সদস্য। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি ন্যায়, নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতা দিয়ে দেশের মানুষকে সেবা প্রদানের জন্য। যত দিন জীবিত থাকবো ততদিন দেশ ও সমাজের জন্য সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবো।
মির্জাপুরে ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলায় শিক্ষার্থী-দর্শনার্থীদের মিলন মেলা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা পরিষদ চত্তরে ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান মেলায় ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন স্টলে শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে দুই দিন ব্যাপি এই বিজ্ঞান মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্ধোধন করেন ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি। উপজেলা প্রশাসনের আয়োনে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের তত্বাবধানে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের প্রষ্টপোষকতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মুখী গড়ে তোলার লক্ষে দুই দিন ব্যাপি এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন। এ উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, এসিল্যান্ড মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, উপজেলা পরিষদের বাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম ও মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, উপজেলা মাদ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাহমীনা জাহান, দেওহাটা আলহাজ¦ জোনাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম এবং মির্জাপুর এস কে পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রফুল্ল কুমার সরকার বলেন, ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলায় শিক্ষার্থীরা উৎসাহ নিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিক্তিক বিভিন্ন উপকরন তৈরী করে স্টলে সাজিয়ে রেখেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং দর্শনার্থীদের প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে ধারনা দিচ্ছে যা বর্তমান সরকারের ডিজিটাল যুগের বিরাট মাইল ফলক সৃষ্টি করেছে। মেলায় আসতে পেরে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা দিতে পেরে কয়েকজন ক্ষুদে বিজ্ঞানী খুবই খুঁশি।
এ ব্যাপারে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, বর্তমান সরকার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও ডিজিটাল যুগের সরকার। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পুত্র ও উপদেষ্টা প্রযুক্তিবিদ ড. সজিব ওয়াজেদ জয় একজন দক্ষ ব্যক্তিত্ব। তার অক্লান্ত শ্রমের ফরেই আজ দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান মেলা তার উদাহারন।
মির্জাপুরে চার বারের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেনের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
মহান মুক্তিযুদ্ধোর অন্যতম সংগঠক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি ও টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর সংসদীয় আসনের টানা চার বারের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. একাব্বর হোসেনের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী আজ (১৬ নভেম্বর) বুধবার পালিত হয়েছে। প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বাদ জোহর তার নিজ গ্রাম টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুষ্টকামুরী গ্রামে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও এফবিআইসিসির পরিচালক খান আহমেদ শুভ এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, এসিল্যান্ড মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা এবং পৌর আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শারীফ মাহমুদ বলেন, একাব্বর হোসেন ১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই মির্জাপুর উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম মৃত মো. ওয়াজ উদ্দিন মিয়া এবং মাতার নাম রোজিনা বেগম। দুই ভাই ও ৬ বোনের তিনি চাতুর্থ সন্তান। তার স্ত্রী ঝরনা হোসনে, এক পুত্র ব্যারিষ্টার মো. তাহরীম হোসেন সীমান্ত ও দুই কন্যা বড় মেয়ে একতা ও ছোট মেয়ে ঈশিতা রয়েছে। একাব্বর হোসেন ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র। এসএসসি পাশ করার পর তিনি ঢাকা সরকারি তিতুমির কলেজে ভর্তি হন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার অগ্রনী ভুমিকা। ১৯৭৩ সালে সরকারি তিতুমির কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। এইচএসসি পাশের পর তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মহসীন হলের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এবং ১৯৭৮ সালে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১১ নং সেক্টর যুদ্ধ করেন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা বিআরডিরি চেয়ারম্যান, ১৯৯০ সালে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অষ্টম মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মির্জাপুরে বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। একজন সাধা মনের মানুষ এবং তার বিপুল জনপ্রিয়তার কারনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোয়ন পেয়ে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। টানা চার বারের এমপি হওয়ায় তিনি মির্জাপুর উপজেলাকে উন্নয়নের এক রোড মডেল হিসেবে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, বিদ্যুৎ, গ্যাস, শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল স্থাপন করে দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তার অক্লান্ত চেষ্টায় মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠন সুসংগঠিত ছিল।