মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে চলতি বছর টাঙ্গাইল জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন কবিতা রায়। এর আগে তিনি মির্জাপুর উপজেলায়ও শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। তিনি মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। আজ বৃহস্পতিবার মির্জাপুর উপজেরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, কবিতা রায় জাতীয় প্রাথমিক পদক প্রতিযোগিতায় টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা কমিটির মুল্যায়নে জেলা পর্যায়ে (মহিলা) ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। জানা গেছে, কবিতা রায় একজন ভাল কাব স্কাউটস। শিক্ষা বিস্তারের জন্য কবিতা রায় নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক, আইসিটি আইকন এবং বিদ্যালয় প্রেমী শিক্ষক। তার অক্লান্ত শ্রমের ফলেই গোড়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পরারোধ, অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ এবং শিক্ষার ব্যাপক পরিবর্তনসহ উন্নয়ন হয়েছে।
এদিকে টাঙ্গাইল জেলা পর্যায়ে কবিতা রায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ নুরুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও পৌরসভার প্রশাসক মাসুদুর রহমান, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার শর্মিষ্ঠ রানী মজুমদার, বাংলাদেশ স্কাউটস মির্জাপুর উপজেলা শাখার কমিশনার ও দেওহাটা এ জে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলমসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
টাঙ্গাইল জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা মির্জাপুরের কবিতা রায়
রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকগন নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের কারীগর — আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেছেন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের কারীগর হচ্ছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকগন।
পেশাদারিত্ব সাংবাদিক বলতে যা বোঝায় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের মধ্যে সব গুনাবলীয় রয়েছে। ভয় ও বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ করার জন্য তারা নিরলস ভাবে কাজ করে থাকেন এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। আমি আশা করবো সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে তাদের এই ধারাবাহিকতা অব্যহৃত থাকবে। তাদের নিকট থেকে নতুন প্রজন্ম ও সাধারণ মানুষ অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে। তিনি আরও বলেন বিএনপি সাংবাদিক বান্ধব। বিগত আওয়ামীলীগ সরকার তাদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে গনমাধ্যমকে কোনঠাসা করে রেখেছিল। সাংবাদিকরা তাদের সঠিক মত প্রকাশ করতে পারেনি। সঠিক সংবাদ প্রকাশ করলে তাদের মামলা দিয়ে হয়রানী করা হতো। তাদের অত্যাচারে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে শৈ^রাচার আওয়ামীলীগ সরকারকে বিতারিড় করেছে। তারা আর কখানো দেশের মাটিতে সোজা হয়ে দাড়াতে পারবে না। তিনি মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিককদের পেশাগত দক্ষতা, যোগ্যতা এবং লেখার মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সার্বিক উন্নয়নসহ সাংবাদিকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশা¦স দেন। তিনি আজ বুধবার মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপপতিত্ব করেন মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এবং দৈনিক ইত্তেফাক ও মোহনা টেলিভিশনের সাংবাদিক মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সহসভাপতি ও দৈনিক ভোরের ডাকের সাংবাদিক মো. খায়রুল করিম পাপন, সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক নাজমুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মহসীন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আব্দুল কাদের মিয়া, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এ জি এস ডি এম শফিকুল ইসলাম ফরিদ, সহসভাপতি ও জামুর্কি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ মিয়া এবং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। এসময় মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সাংবাদিক ছাড়াও তরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আজিজ রেজা, যুবদলের আহবায়ক গোলাম মোস্তফা জীবন, বিএনপি, শ্রমিকদল, যুবদল, সাইবারদল ও ছাত্রদলসহ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
মির্জাপুরে মাদ্রাসায় ঢুকে সুপারের উপর সন্ত্রাসী হামলা নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
একদল সন্ত্রাসী মাদ্রাসার ভিতরে ঢুকে মাদ্রাসা সুপারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সুপারকে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার শিকার মাদ্রাসার সুপার মো. আজমল হোসেন খান (৪৭) আশংকা জনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তা চেয়ে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর সাদ্রসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের বাংগুরি দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাদ্রাসা মো. আজমল হোসেন খান অভিযোগ করেন, তিনি দীর্ঘ দিন মান্দ্রাসায় সুনামের সঙ্গে সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছে। নিজেদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্তবিস্তার ও বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে মাদ্রাসায় অশান্তি সৃষ্টি করে আসছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তাদের মধ্যে বিরোধ আরও চরম আকার ধারন করে। এরই জের ধরে গতাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মাদ্রাসায় ক্লাস কলাকালিন সময় বাংগুরি গ্রামের মমির, কাফি, রফিক, মামুন, শহিনুর, লাল মিয়া, তানবীর ও রাজুর নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে তার কক্ষে প্রবেশ করে হামলা করে এবং তাকে টেনে ছিচরে রুম থেকে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপরও হামলার চেষ্টা চালায় বরে অভিযোগ করেন। পরে কোন রকমে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়ে জামুর্কি সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তির পরও ঐ সন্ত্রাসীরা তাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ফলে নিরাপত্তা চেয়ে তিনি মির্জাপুর থানায় সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি উপজেরা নির্বাহী অফিসার ও মাদ্রাসার সভাপতি শেখ নুরুল আলমকে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন। নিজের নিরাপত্তা ও মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য অভিযুক্তদের দ্রুত সময়ের মেধ্য গ্রেফতারের জোর দাবী জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের মধ্যে কাফীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাদ্রাসায় বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এ নিয়ে সুপার ও এলাকার কিছু লোকের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। কিছু লোকজন মাদ্রাসায় গিয়েছিল তার মধ্যে আমিও ছিলাম। এ নিয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ হয়েছে। সুপারকে মারপিট করা হয়নি বলে তিনি দাবীকরেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম বলেন, মাদ্রাসার সুপারকে হামলা ও অন্যান্য অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার আফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, লিখিতআভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসায় যাতে পড়াশোনার কোন অশান্তি সৃষ্টি না হয় তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলার আসামী পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলে মির্জাপুরে কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানা পোড়ানো ও কলেজ ছাত্র ইমন (১৮) হত্যা মামলার আসামী পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছে। চেয়ারম্যানগন পলাতক থাকায় ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নির্তে আসা শতশত লোকজন সেবা না পেয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই মামলায় আসামী সাবেক দুই মন্ত্রী ও সাত এমপিসহ আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী ৫০০শ নেতা পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামীরা হচ্ছেন ১০ নং গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গোড়াই ইউনিয়নের (পশ্চিম) সভাপতি হাজী হুমায়ুন কবীর, ১১ নং আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদের সিকদার, ০৩ নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আব্দুর রউফ মিয়া, ০৭ নং ওয়ার্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম মল্লিক হুরমহল এবং ০৬ নং আনাইতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল ময়নাল হক।
পাঁচ ইউনিয়নের ভুক্তভোগি অন্ততপক্ষে ১৫ জন নারী পুরুষ অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন পদ। নাগরিক সনদপত্র, জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশান সনদপত্র, গ্রাম্য বিচারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিদিন তারা পরিষদে আসছেন। কিন্ত চেয়ারম্যান অনুপন্থিত থাকায় কোন সেবাই তারা পাচ্ছেন না। চেয়ারম্যানগন পলাতক থাকায় দিনের পর দিন পরিষদে এসে তাদের চরম দুর্ভোগ ও হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। বিষয়টির দিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা জোর দাবী জানিয়েছেন।
মির্জাপুর থানায় দায়ের করা মামলার বিবরনে জানা গেছে, গোড়াই হাইওয়ে থানা পোড়া ও কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়াও সাবেক দুই মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও আহসানুল ইসলাম টিটু, সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভ, সাবেক এমপি তানভীর হাসান ছোট মনি, সাবেক এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন, সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও সাবেক এমপি অনুপম শাজাহান জয়, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তসহ ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামী আরও ৪০০/৫০০ জন রয়েছে। মামলার পর গ্রেফতার আতংকে পলাতক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
পুলিশ জানায়, নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন মন্ডল বাড়ী এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে। তিনি অলোয়া মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন। ইমন গোড়াই এলাকায় একটি পোষাক কারখানায় কাজ করতেন। গত ৪ আগস্ট বিকেলে গোড়াই হাইওয়ে থানায় একদল দুস্কৃতিকারী হামলা করে। এসময় ওই স্থানে শান্তিপুর্ণ সমাবেশ করছিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। দুস্কৃতিকারীরা থানা ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের সাথে দুস্কৃতিকারীদের সংঘর্ষ বাধে। এসময় ইমন পেটে গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১৮ আগস্ট ভোরে সে মারা করেন।
মামলার অন্য উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল ইসলাম আলমগীর, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, সাইফুজ্জামান সোহেল সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভর ব্যক্তিগত সহকারী ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মীর আসিফ অনিক, হংকং প্রভাসি সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল মামুন, টাঙ্গাইল জেলা যুব লীগের সহসম্পাদক মঈন হোসেন রাজীব, মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সেতাব মাহমুদ।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত মো. মোশারফ হোসেন বলেন, গোড়াই হাইওয়ে থানা পোড়ানো ও নিহত কলেজ ছাত্র ইমনের ভাই সুমন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় ১৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর সাবেক চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া, পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুল জলিল ও আরিফ হোসেনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে উপজেরা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ নুরুল আলম বলেন, পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের নির্দেশক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মির্জাপুরে দূর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতনধর্মের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময়সভা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতনধর্মের নেতৃবৃব্দের সঙ্গে উপজেলা বিএনপি মতবিনিময়সভা করেছেন। আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাইপাস বংশাই রোডে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেল সাবেক সাংসদ ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী।
উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ মিয়ার সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ডি এম শওকত আকবর, আব্দুল কাদের মিয়া, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আলিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম শফিকুল ইসলাম ফরিদ, আলম মৃধা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মোহসীন, বিএনপি নেতা শহিদ সিদ্দিকী, রবিউল আলম সিদ্দিকী, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিকাশ গোষ্মামী, সাধারণ সম্পাদক প্রমথেস গোষ্মামী সংকর, কুমুদিনী হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার অনিমেশ ভৌমিক লিটন এবং স্বপন কুমার মন্ডল প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি সকল ধর্মের মানুষকে সমান চোখে দেখে। কোন ধর্মের মানুসের প্রতি বিদ্বেশ নেই। ধর্ম যার উৎসব তার। এ দেশে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলতে কোন কিছু নেই। প্রতিটি ধর্মের মানুষ তার অধিকার ভোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। আসন্ন দূর্গাপূজায় সনাতন ধর্মের সকল মানুষ যাতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় তাদের পূজা উদযাপন করতে পারেন সে জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মির্জাপুরে পৌরসভার সাহাপাড়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্বতায় ৩৫ পরিবারের চরম দুর্ভোগ
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পৌরসভার আট নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়া, বণিকপাড়া, সুত্রধরপাড়া ও ঘোষপাড়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ দিনের জলাবদ্ধতায় ৩০-৩৫ পরিবারের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারনে এ বছর শারদীয় দূর্গাপূজাও উদযাপন করতে পারছেন না বলে ভুক্তভোগি পরিবারগুলো অভিযোগ করেছেন। আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) মির্জাপুর পৌরসভার আট নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে জলাবদ্ধতার কারনে পরিবারগুলো বাসাবাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না।
আজ শনিবার সাহাপাড়া ও বণিকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ঔষধ ব্যবসায়ী সমির বণিক, রাজিব বণিক, গৌতম বণিক, গোপাল বণিক, দিলীপ চক্রবর্তী ও জয়দেব বণিকসহ ২০-২৫ জন নারী পুরুষ অভিযোগ করেন, পৌরসভার আট নং ওয়ার্ড দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত। প্রতি বছর পৌরসভার আয়কর বাড়ানো হলেও নাগরিক সুবিধা বলতে তেমন কিছুই হয়নি। সাহাপাড়া, বণিকপাড়া, সুত্রধরপাড়া ও ঘোষপাড়ায় পানি এবং পয়নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা আজও হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়ির উঠানে কখনো হাটুপানি ও কখনো কোমর পানি পর্যন্ত জমে যায়। মির্জাপুর সাহাপাড়া নদীর ঘাট থেকে সরিষাদাইর পর্যন্ত প্রধান রাস্তায় পাকা ড্রেন নির্মান করা হলেও বাসাবাড়ি থেকে ড্রেন উচু হওয়ায় ড্রেনের ময়লা এবং পানি এখন বাসা বাড়িতে প্রবেশ করছে। এতে করে চরম বিপাকে পরেছেন ৩০-৩৫ পরিবার। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রিপন চক্রবর্তী, তাপস সাহা, মহিলা কাউন্সিলর চন্দনা দে এবং পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুর রহমান সহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মোশারফ হোসেন মনি, সালমা আক্তার শিমুল ও প্রয়াত মেয়র সাহাদত হোসেন সুমনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। তাদের সে আবেদন আজও আলোর মুখ দেখেনি। আজ পর্যন্তও তাদের ড্রেন নির্মান করা হয়নি। আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজায় এ বছল এই কয়েকটি পাড়ায় আনন্দমীয় যুবসংঘ, ঘোষপাড়া যুবসংঘ, নেতাজি সংঘসহ ১০-১২ টি পূজামন্ডপ তৈরী করা হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারনে তাদের সকল আনন্দ উৎসব মাটি হতে চলছে। জলাবদ্ধতার কারনে তারা বাসবাড়ি থেকে বের হতেই পারছে না। ফলে তাদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। জিলাবদ্ধা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরসনের জন্য পৌরসভার প্রশসকসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট তারা জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে িেমর্জাপুর পৌরসভার প্রশাসক ও মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মাসুদুর রহমান বলেন, পৌরসভার আট নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়া, বণিকপাড়া, সুত্রধরপাড়া ও ঘোষপাড়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় ৩০-৩৫ পরিবার দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছেন বলে জানতে পেরেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মির্জাপুরে জাতীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৫ই অক্টোবর জাতীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্তরে র্যালি ও সমাবেশ মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগন অংশ গ্রহন করেন। মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির অন্তবর্তীকালিন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম। র্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্তর থেকে বের হয়ে পুরাতন রোড ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এসে উপজেলা কমপ্লেক্্েরর প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার প্রবীর কুমার চৌধুরী, প্রধান সহাকরী মো. খলিলুর রহমান, রানাশাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির অন্তবর্তীকালিন কমিটির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান, জামুর্কি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাদেক আলী মিয়া, মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান উদ্দিন, বরাটী নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মৈজদই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন, সাটিয়াচড়া শিবনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ হোসেন, বালিয়াজান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান মিজান, বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন, গায়রাবেতিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন এবং বংশীনগর সুর্য্য তরুণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ হোসেন মিয়াসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন। র্যালি শেষে সমাবেশে বক্তাগন দেশের সকল বেসরকারী মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা জাতীয়করনসহ শিক্ষকদের বিভিন্ন সুযোগ সবিধাসহ দীর্ঘ দিনের দাবী বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানানো হয়েছে।
মির্জাপুরে গ্রীষ্মকালিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে প্রস্তুতিমলক সভা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে গ্রীষ্মকালিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ প্রস্তুতি মুলক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ নুরুল আলম।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার প্রবীর কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্ত্য রাখেন, প্রধান অতিথি শেখ নুরুল আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, বানিয়ারা বাবুল উলুম সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ তালুকদার, মির্জাপুর এস কে পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম খান, রানাশাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির অন্তবর্তীকালিন কমিটির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান আতিক, মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান উদ্দিন, মৈজদই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন, গায়রাবেতিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন, ভাতগ্রাম কৈলাশ রাখাল শ্রী-ভাষ ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক দেওয়ান মহিউদ্দীন এবং সাটিয়াড়া শিবনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষখ মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।
মির্জাপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে দুই ভাইকে অপহরণ, হায়েচসহ ডাকাত দলের দুই সদস্য গ্রেফতার
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী মিজানুর ও আরিফ হোসেন নামে দুই ভাইকে অপহরনের পর পৌনে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা। ডাকাত দলের সদস্যরা দুই ভাইকে হাত পা বেঁধে বেদম মারপিট করে নগদ টাকা ও ০৫টি মোবাইল ফোন নিয়ে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়। থানায় মামলার পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হাইয়েচসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো সিরজগঞ্জ সদর উপজেলার গজারিয়া গ্রামের ইনসাব আলীর ছেলে সুমন মিয়া (৩২) এবং একই গ্রামের সোলাইমানের ছেলে শরীফুল হক )৩০)। পেশায় তারা গেরেজে থেকে যানবাহন মেরামতের শ্রমিক হলেও মুল পেশা তাদের ডাকাতি। আজ বৃহস্পতিবার মির্জাপুর থানা পুলিশ দুই ডাকাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
মির্জাপুর থানা পুলিশ সুত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে দেওহাটা বাজারে মোবাইল ব্যাংকি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও তার ভাই আরিফ হোসেন দোকান বন্ধ করে সারা দিনের ব্যবসার এক লাখ ৭৬ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশ দিয়ে কুমারজানি আসতেছিলেন। এ সময় পিছন ধেকে একটি হায়েচ এসে তাদরে গতিরোধ করে ৭-৮ জনের ডাকাত দল ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে জোরপুর্বক হায়েচে উঠান। হায়েচে উঠানোর পর তাদের হাত পা বেঁধে বেদম পারপিঠ ও চোখ বেঘে পৌনে দুই লাখ টাকা নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জামুর্কি এলাকায় ফেলে চম্পট দেয়। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল বুধবার মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাকাতির হাইয়েচসহ দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে। জিঞ্জাসাবাদে তারা ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করেছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল খায়ের বাশার জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. গিয়াস উদ্দিন এবং মির্জাপুর থানার এসআই মো. জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, ডাকাতির মামলার পর টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর নাগরপুর সার্কেল) এইচ এম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী এবং মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেনের দিক নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্অপ সময়ের মধ্যে দুই ডাকাতকে গ্রেফতার এবং ডাকাতির কাজে ব্যব্হৃত একটি হাইয়েচসহ ৫টি মোবাইল ফোনসহ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদরে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কি এবং পুষ্টকামুরি এলাকায় পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা হচ্ছে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার আনসার সিকদারের ছেলে রুবেল মিয়া (২৯), পটুয়াখালি জেলার গলাচিপা উপজেলার মোতালেব মৃধার ছেলে আলআমিন মৃধা (৩৮), একই জেলার পটুয়াখালি সদর কতোয়ালি থানার ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে হাসানুজ্জামন হাওলাদার(৫৪), বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার আব্দুল হাকিমের ছেলে আবুল আলাম আজাদ (৪৪), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা সদরের পৌরসভার পুষ্টকামুরী সওদাগর পাড়া গ্রামের সাত্তার সওদাগরের চেলে নাইম হোসেন (২৭), মফিজ উদ্দিনের ছেলে শাহজাদা (২৬) এবং আসান আলীর ছেলে স্বপন (২৯)।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাত দলের সক্রীয় সদস্য সুমন ও শরীফুল ব্যবসায়ী দুই ভাইকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে অপহরণ করে এক লাখ ৭৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। এ বিষয়ে মামলার পর দুই ডাকাত গ্রেফতারের পর মুল্য রহন্য উধঘাটন হয়েছে। এর আগে মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় জামুর্কি থেকে আন্তজেলা ডাকাত দলের চার জন এবং পুষ্টকামুরি এলাকা থেকে তিন ডাকাতসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রীয় সদস্য এবং এদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের টাঙ্গাইল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মির্জাপুরের পাকুল্যায় রাস্তা পারাপারের সময় ঘাতক বাস চাপায় বৃদ্ধ নিহত
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেরার পাকুল্যা বাস স্টেশনের সামনে ঘাতক বাস চাপায় এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতের তার আব্দুল মিয়া (৬৫)। গ্রামের বাড়ি পাকুল্যা পুর্বপাড়া গ্রামে।
পাকুল্যা গ্রামের বাসিন্দা শামীম আল মামুন ইমরান চৌধুরী রাতে জানান, বৃদ্ধ আব্দুল মিয়া সন্ধ্যায় পাকুল্যা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় রাস্তা পার হতে চাইলে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা গামী অজ্ঞাত একটি বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনার পর পরই ঘাতক বাসটি মুহর্তের মধ্যেই পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে গোড়াই হাইওয়ে থানায় যোগাযোগ করা হলে অফিসার ইনচার্জ মো. আদিল আহমেদ বলেন, লাশ উদ্ধারের পর আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘাতক বাসটি আটকের চেষ্টা চলছে।