মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১৩ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষে আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক প্রস্তুতি মুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ এবং মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাও একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। সভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক দলেল নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, এসিল্যান্ড মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মেয়র মো. শহিদুর রহমান শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক দুর্লভ বিশ^াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক সিদ্দিকী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম, ওয়ার্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল আলম আলশ মল্লিক হুরমহল, গোড়াই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ হুমায়ুন কবীর ও হাইওয়ে থানার ওসি মোল্লা মো. টুটুল প্রমুখ। তিনটি দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
মির্জাপুরে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত
মির্জাপুরে অসুস্থ্য শিশুপুত্রের জীবন বাঁচাতে দরিদ্র বাবা-মায়ের মানবিক আবেদন
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য প্রতিবন্ধি শিশু পুত্রের জীবন বাঁচাতে হত দরিদ্র বাবা-মা মানবিক আবেদন জানিয়েছেন। রিকসা চালক বাবা মাইদুল এবং অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করা মাতা সাহেবা বেগম অসুস্থ্য ও প্রতিবন্ধি শিশুপুত্র সোহেল রানা (৯)সহ চার সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের পৌরসভার বংশাই রোড সংলগ্ন সেলুঘাট এলাকায় একটি ভাঙ্গা ঝুপড়িঘর (ছাপড়া ঘরে) অসহায় মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) অসুস্থ্য ও প্রতিবন্ধি শিশুপুত্র সোহেল রানার পিতা মাইদুল জানান, পেশায় তিনি রিকসা চালক। তার স্ত্রী সাহেবা বেগম বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ইটালুকান্দা গ্রামে। দুমুঠো ভাতের আশায় পরিবার পরিজন নিয়ে এসে দীর্ঘ দিন ধরে মির্জাপুর পৌরসভায় রিকসা চালান। মাইদুল জানায়, তার শিশুপুত্র সোহেল ৬ বছরের পর থেকে শরীরে অজানা রোগ দেখা দেয়। ঠিকমত হাটতে পারে না, দাড়াতে পারে না, কথা বলতে পারে না এবং শরীর দিন দিন ফুলে যাচ্ছে। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য কুড়িগ্রাম ও রংপুর হাসপাতাল, মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল এবং সাভারের সিআরপিতে চিকিৎসার জন্য ছুটাছুটি করেছেন। চিকিৎসকগন ছেলের রোগের সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেনি। চিকিৎসকগন উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। ১০-১২ লাখ টাকা হলে তার চিকিৎসা সম্ভব বলেও চিকিৎসকগন জানিয়েছেন। অর্থের ভাবে শিশুপুত্র সোহেল রানার চিকিৎসা এখন বন্ধ। চিকিৎসার অভাবে দিন দিন মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে। সন্তানের জীবন বাঁচাতে অন্যের কাছ থেকে ধার দেনা করে পরিবারটি এখন সর্বশান্ত। ছয় সদস্যের পরিবার নিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পরেছে। অসুস্থ্য ও প্রতিবন্ধি শিশুপুত্রকে চিকিৎসার জন্য অর্থসহ মানবিক সাহায়্যের আবেদন জানিয়েছেন হত দরিদ্র রিকসা চালক মাইদুল ও তার স্ত্রী সাহেবা বেগম। সাহায্য পাঠানো এবং যোগাযোগের ঠিকানা, মির্জাপুর পৌরসভার বংশাই রোডের সেলুঘাট। মোবাইল ও তার ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর ০১৯০৬-৬২৮৩০৪ ।
মির্জাপুরে আট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭১৮ জন
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
২০২২ সালের এসএসসি, দাখিল এবং কারিগরী (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঐতিহ্যবাহী নারী জাগরনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতেশ^রী হোমসসহ আট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাশ করেছে। গড় পাশের হার ৯১ দশমিক ৩৩। শতভাগ পাশ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, ভারতেশ^রী হোমস, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, কররা কাওয়ালজানি দাখিল মাদ্রাসা, পাথরঘাটা দাখিল মাদ্রাসা, তরফপুর দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, তেলিনা দক্ষিণপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ভাবখন্ড দাখিল মাদ্রাসা এবং দরানীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়। এসএসসি, দাখিল এবং কারিগরী (ভোকেশনাল) মিলে উপজেলার ৭৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গোল্ডেনসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭১৮ জন শিক্ষার্থী। গড় পাশের হার ৯১ দশমিক ৩৩। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষায় এ বছরের ফলাফল সন্তোষ হয়েছে। আগামীতে মির্জাপুর উপজেলার ফলাফল যাতে আরও ভাল হয় সে জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, চলতি বছর মির্জাপুর উপজেলায় এসএসসি (সাধারণ) শাখা থেকে ৫২ প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৫ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থী। পাশ করেছে ৪ হাজার ৯৯৪ জন। শতকরা পাশের হার ৮৭ দশমিক ৭১। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩০ জন। শতভাগ পাশ করেছে ভারতেশ^রী হোমস ও মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ। ভারতেশ^রী হোমস থেকে ১০৮ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে ৪৮ জন জিপিএ-৫সহ শতভাগ পাশ এবং মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ৫০ জন ক্যাডেট পরীক্ষা দিয়ে ৫০ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। ১৪ দাখিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষার্থী ছিল ৩৪৭ জন। পাশ করেছে ৩২৯ জন। পাশের হার ৯৫ শতাংশ। ৬ টি জিপিএ-৫সহ ৫ টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাশ করেছে। শতভাগ পাশ করা মাদ্রাসা হচ্ছে কররা কাওয়ালজানি দাখিল মাদ্রাসা, পাথরঘাটা দাখিল মাদ্রাসা, তরফপুর দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, তেলিনা দক্ষিণপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা এবং ভাবখন্ড দাখিল মাদ্রাসা। ৭ টি কারিগরী (ভোকেশনাল) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থী ছিল ৩৪৪ জন। পাশ করেছে ৩১৪ জন। পাশের হার ৯১ দশমিক ২৮। একটি জিপিএ-৫সহ দরানীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় শতভাগ পাশ করেছে।
অপর দিকে মির্জাপুর পাইলট উচ্চ বালিকা থেকে ২২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৪ জন, রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯ জন, মির্জাপুর সরকারী এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৪ জন, দেওহাটা এ জে উচ্ বিদ্যালয় থেকে ১৮৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন, সিয়াম একাডেমি থেকে ৭৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ জন, উত্তর পেকুয়া জাগরণী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৬ জন পরীক্ষার্থীল মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, বরাটি নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জনসহ মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭১৮ জন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান এবং উপজেলা শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, দুই বছর করোনার মহামারীর পর ২০২২ সালের এসএসসি, দাখিল ও ভোকশনাল শাখায় পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মির্জাপুর উপজেলায় সন্তোষ জনক ফলাফল অর্জিত হয়েছে। আগামীতে সকল পরীক্ষার ফলাফল আরও ভাল হবে বলে তারা আশা করছেন।
এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, নানা প্রতিকুলতার মাঝেও উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের আন্তরিকতায় এ বছর মির্জাপুর উপজেলায় পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল অনেক ভাল হয়েছে। যারা কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ন হয়েছে তাদের সকলকেই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এসএসসিতে ইংরেজী ভার্ষনে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজই সেরা, জিপিএ-৫ শতভাগ
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজী ভার্ষনে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ সেরা ফলাফল অর্জন করেছে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৫০ জন ক্যাডেট এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজী ভার্ষনে অংশ গ্রহন করে সকলেই জিপিএ-৫ পেয়েছে। শতভাগ জিপিএ-৫ পাওয়ায় এবং সেরা ফলাফল অর্জন করায় ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আনন্দ দেখা দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা উৎসাহ উদ্দীপনা। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধারাবাহিক ভাবে সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন কারয় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞা ও সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান।
আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের এ্যাডজুট্যান্ট মেজর মো. ইয়া-হিয়াসহ শিক্ষকগন জানান, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ একটি অনন্য ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬২ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন মনোরম পরিবেশে বিশাল এলাকা নিয়ে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি দেশ প্রেমের উদ্ধুদ্ব হয়ে ক্যাডেটদের নিয়ম-শৃঙ্খলা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চাসহ আদর্শ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। ক্যাডেট কলেজের পরিচালনা পরিষদ, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবক এবং ক্যাডেটদের অক্লান্ত শ্রমের ফলেই প্রতি বছর জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ইংরেজী ভার্ষনে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ মেধা তালিকায় স্থান দখল করে আসছে। এ বছরও ফলাফল সন্তোষ জনক হয়েছে।
২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজী ভার্ষনে শতভাগ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ক্যাডেটরা হচ্ছে, সাহিল, জ্যোতি, শবিন, নিয়াজ, তাহসিন, মুসফিক, সিকদার, রাতুল, আরাব, সাদ, নাহিয়ান, মোস্তাকিম, মারুফ, আরিয়ান, প্রত্যয়, শামিত, মাহির, ইসরাক, রিদওয়ান, রাহিক, মাহমুদ, রাকিন,মাহাদি, তৌরিক, সাদাত, ইসতিয়াক, সামিন, তালহা, আওলাদ, আরিফ,খ. মাহাতি, রায়হান, শুভ, ফাহমিত, নাফিজ, আদিল, আহনাফ, ইনতিজার, নিরব, নাফিউল, রাবিব, শোহান, আবির, রাকিব, পিয়াস, নেহাল, সিয়াম, তাহরাত, মাহফুজ এবং আবরার।
এ ব্যাপারে ক্যাডেট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান বলেন, জ্ঞানই শিক্ত, বিদ্যাই বল এই শ্লোগানে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত। সকলের সার্বিক সহযোগিতা ভাল ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সুনাম যেন দেশে ও বিদেশে ছড়িয়ে পরে সে জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
মির্জাপুরে কম্ফিট কম্পোজিট নীট লি. এ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে শতভাগ রপ্তানী মুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান কম্ফিট কম্পোজিট নীট লি. এ উৎসব মুখর পরিবেশে শ্রমিকদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কম্ফিট কম্পোজিট নীট লি. এ সকাল থেকে প্রতিষ্ঠানের চারটি ইউনিটে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন এবং শ্রমকিদরে সঙ্গে কথা বলেন কম্ফিট কম্পোজিট নীট লি. এর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আকবর হায়দার মুন্না। ভোটের পরিবেশ দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে কম্ফিট কম্পোজিট নীট লি. গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি ইউনিটে শ্রমিকরা সুন্দর ও সু-শৃঙ্খল পরিবেশে লাইনে দাড়িয়ে নিজেদের ভোট প্রদান করছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশানর এবং চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ইঞ্জিনিয়ার মো. কাউসার আলী এবং জেনারেল ম্যানেজার (আই আর এন কমপ্লাইনস) মো. ফারুক হোসেন জানান, কম্ফিট কম্পোজিট নীট লি. একটি শতভাগ রপ্তানী মুখী বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। মালিক ও শ্রমিকদের সমন্ময়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। শিল্প মালিকদের সংগঠন, বায়ার এবং সরকারী নীতিমালায় এখানে শ্রমিকদের নানা সুযোগ সুবিধা নিয়ে একটি সংগঠন রয়েছে। প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর সংগঠনের ১৫ টি পদের বিপরীতে ৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। মোট ভোটার ছিল ৭ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ছিল ২ হাজার ৯৯৮ জন এবং পুরুষ ভোটার ছিল ৪ হাজার ৪৯৮ জন। নিজেদের ভোট প্রয়োগ করে পছন্দের নেতা নির্বাচিত করে শ্রমকিরা বেশ খুঁশি। প্রার্থীদের মধ্যে আকতার হোসেন এবং ইতি আক্তার বলেন, ভোটারদের উপস্থিতিতে সুন্দর ও শান্তিপুর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হায়দার মুন্না, (সিওও) ইঞ্জিনিয়ার মো. কাউসার আলী, জেনারেল ম্যানেজার (আই আর এন কমপ্লাইনস) মো. ফারুক হোসেন, ব্যবস্থাপক প্রশাসন মো. আলীমুল কবির খান, ব্যবস্থাপক মো. মোর্শেদ আলম, ডিডিএম (গার্মেন্স প্রডাকশন) মো. ইয়ামিন কবীর এবং ডিজিএম মোল্লা মো. শাহাব আলীসহসহ কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
মির্জাপুরে মানবতায় আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৬ষ্ঠ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য এই প্রতিপাদ্য নিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে মানবতায় আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৬ষ্ঠ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) এ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার জমিদার বাড়ির অডিটোরিয়ামে দিন ব্যাপি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মানবতায় আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং হংকং শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শিল্পপতি আলহাজ¦ মো. আবুল কালাম আজাদ লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার মো. তাহরীম হোসেন সীমান্ত, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সুধীজন। মানবতায় আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৬ষ্ঠ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটা, আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দড়ানি পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘তরফপুর ইউনিয়ন বিজ্ঞান ক্লাব ও পাঠাগারের’ কুইজ প্রতিযোগিতা-২০২২ এর ১ম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল দড়ানি পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘তরফপুর ইউনিয়ন বিজ্ঞান ক্লাব ও পাঠাগারের’ কুইজ প্রতিযোগিতা-২০২২ এর ১ম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে।
গত ২০ নভেম্বর-২০২২ রবিবার তরফপুর ইউনিয়ন বিজ্ঞান ক্লাব ও পাঠাগারের প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে তরফপুর ইউনিয়নের সকল মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত একযোগে ‘কুইজ প্রতিযোগিতা-২০২২’ এর প্রথম ধাপ শ্রেণিভিত্তিক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতা শেষে সকল স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষাকমন্ডলী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হয় ক্রেস্ট, জ্যামিতি বক্স, ন্যাশনাল/ওয়ার্ল্ড ম্যাপ ও সাধারণ জ্ঞানের বই। এছাড়াও প্রতিযোগী ও শিক্ষকমণ্ডলী সবাইকে বিজ্ঞান ক্লাবের নাম সংযুক্ত কলম প্রদান করা হয়।
প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ ১৩৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ইউনিয়নভিত্তিক চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতা চলাকালীন বিভন্ন স্কুলের পরীক্ষা পরিদর্শন করেন তরফপুর ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব আজিজ রেজা, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (BHBFC) মোঃ কামাল হোসেন, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি অফিসার জহিরুল ইসলাম সামি এবং বিজ্ঞান ক্লাবের প্রধান উদ্যোক্তা অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান। এছাড়াও ক্লাবের সদস্যবৃন্দ প্রতিটি স্কুলের প্রতিযোগিতা বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করেন।
তরফপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পেশাজীবীদের সম্মিলিত সংগঠন ‘আমরা তরফপুরবাসী’র উদ্যোগে অত্র ইউনিয়নের শিক্ষা উন্নয়নে “জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক গ্রামীণ জনপদ” শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘তরফপুর ইউনিয়ন বিজ্ঞান ক্লাব ও পাঠাগার’।
‘তরফপুর ইউনিয়ন বিজ্ঞান ক্লাব ও পাঠাগার’ ইউনিয়নব্যাপী শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, গণিত চর্চা এবং সুপ্ত মেধা বিকাশে কাজ করবে। এটি সম্পূর্ণ ধুমপানমুক্ত, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও সৃজনশীল সংগঠন। ক্লাবটির অন্যতম উদ্যোক্তা ও পৃষ্ঠপোষক হলেন অস্ট্রেলিয়ার Enlighten Finance Pty Ltd & Rubel Investment Pty Ltd. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব আব্দুল্লাহ রুবেল।
মির্জাপুরে পুলিশের অভিযানে বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের ছয় নেতা গ্রেফতার
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির রাজধানী ঢাকায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলেল ছয় নেতা গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে মির্জাপুর থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদে;র গ্রেফতার করেছে বলে মির্জাপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মো. মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন। এদিকে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হওয়ার খবরে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগি নেতাকর্মীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আলী হোসেন খোকন, উপজেলা বিএনপির সদস্য ও বাঁশতৈল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহবায়ক মো. মাসুদ পারভেজ, জামুর্কি ইউনিয়নের চার নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তাপস, গোড়াই ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মো. আলমাছ হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা হাফিজুর রহমান এবং বিএনপি নেতা মো. ইমারত হোসেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী এবং সাধারন সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ বলেন, ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারের মদদে পুলিশ অন্যায় ভাবে তাদের দলীয় নিরীহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে হয়রানী করছে। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রেফতারকৃত বিএনপির নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, নাশকতার আশংকায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নামে পুর্বেও নাশকতার অভিযোগ রয়েছে। অন্যায় ভাবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মির্জাপুরে উৎসব মুখর পরিবেশে শীতের পিঠা উৎসব
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
পিঠা খাই, পুরষ্কার পাই, শীতের পিঠা, ভারি মিঠা এই শ্লোগানে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উৎসব মুখর পরিবেশে ব্যতিক্রমধর্মী শীতের পিঠা উৎসব হয়েছে। পিঠা উৎসবে হরেক রকমের পিঠার আয়োজন ছিল। আজ মঙ্গলবার মির্জাপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মির্জাপুর উপজেলা শাখা শাহীন শিক্ষা পরিবার এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি।
পিঠা উৎসবের উদ্ধোধন করেন মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল। শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান ও কর্নধার মোহাম্মদ মাছুদুল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে পিঠা উৎসবে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মির্জাুপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জহির, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও টাঙ্গাইল জেরা পরিষদের সদস্য মো. তাহেরুল ইসলাম তাহের। দিন ব্যাপি এই পিঠা উৎসবের মেলায় দর্শনার্থীদের উপচেপরা ভিড় ছিল। মেলা শেষে লটারির মাধ্যমে বিজয়ীদের মধ্যে অতিথিবৃন্দ পুরষ্কার তুলে দেন।
মির্জাপুরে বাড়ির চারপাশে বেড়া দেওয়ায় এক নিরীহ পরিবার অবরুদ্ধ, ঝুঁলিয়ে দেওয়া হয়েছে সাইন বোর্ড
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
একদল সন্ত্রাসী মহড়া দিয়ে মোহাম্মদ মামুন সিকদার নামে এক নিরীহ পরিবারের বাড়ির চারপাশে বেড়া দেওয়ায় পুরো পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পরেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে দেশী অস্্র নিয়ে মহড়া দিয়ে আজ মঙ্গলবার ঝুঁলিয়ে দিয়েছে সাইন বোর্ড। গতকাল সোমবার কেটে দেওয়া হয়েছে বাসাবাড়ির পানির লাইন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ। সরকারী সেবা সংস্থা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়ায় পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা ঐ পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন। সন্ত্রাসীদের ভয়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা স্কুলে যেতে পারছে না এবং তার পুত্র এইচএসসি পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে যেতে পারছে না বলে জানিয়েছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের ১০ নং গোড়াই ইউনিয়নের গন্ধ্যবপাড়া গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে এ অমানবিক ঘটনা ঘটেছ।
আজ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছে। সোহাগপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সাদিয়া আক্তার জানান, গোড়াই মৌজার ৮৫৫ খতিয়ানের পাঁচ দশমিক ৬৬ শতাংশ জমির তারা বৈধ মালিক। সেলিম ও তার পরিবারের নিকট থেকে ক্রয় করে তারা এই জমির মালিক। সমস্ত বৈধ দলিলসহ কাগজপত্র রয়েছে। জমির উপর তাদের বহুতল ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যুগ যুগ ধরে এখানে বসবাস করে আসছেন। তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে গতকাল সোমবার এবং আজ মঙ্গলবার পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে একই এলাকার সেলিম সিকদার, লাবু, মজিদ, আনোয়ার, সকু মিয়া, আরিফ, পাপ্পু, মজিবর ও সুব্রতসহ ২৫-৩০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্্র নিয়ে বাড়ির চারপাশ ঘেরাও করে খুঁটি, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বেড়া দিয়ে তাদরে অবরুদ্ধ করে ফেলে। সন্ত্রাসী এই বাহিনী বাসার পানির সাপ্লাইয়ের লাইনে পাইপ কেটে ফেলে এবং বিদ্যুতের মিটার ভেঙ্গে লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আজ মঙ্গলবার আবার ঐ সন্ত্রাসী বাহিনী এসে বাড়ির সামনে সাইবোর্ড ঝুঁলিয়ে দিয়ে হুমকি দিয়ে গেছে। প্রাণ বাঁচাতে পরিবারটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরকারী জনসেবা সংস্থা ৯৯৯-এ পুলিশকে ফোন দিলে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। স্কুল শিক্ষিকা সাদিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে তিনি স্কুলে যেতে পারছেন না এবং তার ছেলে শিহাব এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতেও যেতে পারছে না। বাসা বাড়ির চারপাশে বেড়া দেওয়ায় গত দুই দিন ধরে তারা অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছে এবং সন্ত্রাসীদের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার বাড়ির মালিক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মামুন সিকদার বলেন, সন্ত্রাসীরা দীর্ঘ দিন ধরে তার পরিবারকে নির্যাতন করে আসছে। তিনি বাড়িতে না থাকায় এলাকার বিশেষ প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে সন্ত্রাসীরা বাসাবাড়ির চারপাশ বেড়া দিয়ে ঘেড়াও করে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। আজ মঙ্গলবার আবার স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রত্যক্ষ মদদে অস্্েরর মহড়া দিয়ে বাড়ির গেইটের সামনে সাইন বোর্ড ঝুঁলিয়ে রেখে হুমকি দিয়ে গেছে। পরিবারের নিরাপত্তা এবং ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য তিনি বিকেলে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ভেটমাটি রক্ষা এবং পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি দ্ধারে দ্ধারে ঘুরছেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিম সিকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেণ, আমরা স্থানীয় দেলোয়ারা, শোভা খাতুন ও উজালার নিকট থেকে তিন দশমিক ৬৬ শতাংশ জমি পাওয়ার করে নিয়েছি। তিনি সাইন বোর্ড দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। অভিযুক্ত লাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিন বলেন, মামুন সিকদার এবং এলাকার সেলিম সিকদার, মজিদ ও আনোয়ারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংশা করার জন্য। মামুনের বাসাবাড়ি বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে কেন প্রশ্ন করা হলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) এসআই মো. আইয়ুব হোসেন খান বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। তবে বাসাবাড়ির চারপাশে বেড়া দেওয়ার পর প্রধান গেইটের কিছু অংশ যাতায়াতের জন্য ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডাকা হয়েছে।