মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহেড়া পুলিশ টেনিং সেন্টারে (পিটিসিতে) ৫২ তম ব্যাচ টিআরসির প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়িার) সকাল দশটায় মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের প্যাডেট গ্রাউন্ডে উৎসব মুখর পরিবেশে এ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫২ তম ব্যাচ টিআরসির প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে ৯৪০ জন কনস্টবল মৌলিশ প্রশিক্ষণ সমাপন করেছেন।
সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অভিবাদন গ্রহন করেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার এর এডিশনাল এআইজি (এডমিনিস্টেশন) মো. কামরুল হাসান বিপিএম। এ সময় মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ডার (ডিআইজি) মো. মইনুল ইসলাম এনডিসি, পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো, আব্দুর রহীম শাহ চৌধুরী এবং টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারসহ পুলিশ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। কুচকাওয়াজ শেষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করায় তিনজন কনস্টবলকে পুরষ্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডিশনাল এআইজি (এডমিনিস্টেশন) মো. কামরুল হাসান বিপিএম বলেন, পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে জনগনের সেবক হিসেবে ন্যায়, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মাট বাংলাদেশ গড়তে পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করায় প্রধান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
মির্জাপুরে পিটিসিতে ৫২ তম ব্যাচ টিআরসি প্রশিক্ষন সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
মির্জাপুরে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসার এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উৎসব মুখর পরিবেশে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসার এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ এ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সহযোগিতায় ক এবং খ গ্রুপে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগতায় অংশ নেয়। আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) মির্জাপুর সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে উৎসব মুখর পরিবেশে এ এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে বেলুন উড়িয়ে এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে চ্যাম্পিয়ন ও বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন খান আহমেদ শুভ এমপি, সদস্য ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার জানান, এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগতায় মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করে। অতিথিদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা আওযামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সারমা আক্তার শিমুল, মির্জাপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাহমিনা জাহান, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা ও মো. আজাহারুল ইসলাম, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জাপুরে মাধ্যমিক শিক্ষার মানউন্নয়নে শিক্ষকদের সঙ্গে এমপির মতবিনিময় সভা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাধ্যমিক শিক্ষার মানউন্নয়নে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি। আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সুপারগন উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খান আহমেদ শুভ এমপি, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিসের উপপরিচালক আবু নুর মো. আমিনুর ইসলাম চৌধুরী , মা ফাতেমা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিসেস আজিজা সুলতানা, মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান উদ্দিন, এমপির একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক ও বাঁশতৈল মো. মনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমরান হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খান আহমেদ শুভ এমপি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে আমুল পরিবর্তনসহ শিক্ষকদের বেতন ভাত বৃদ্ধি ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা সরকারী সরকন এখন মাত্র সময়ের ব্যাপার। যে কোন সময় ঘোষনা আসতে পারে। এ জন্য শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদানে মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান। মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ শিক্ষার মানউন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাবেন বলে উল্লেখ করেন।
এর আগে এমপি নতুন ক্যারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের বিষয় ভিক্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিদর্শন করেন।
মির্জাপুরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষে মতবিনিময় সভা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নাটাবের উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আবস্তবায়নের লক্ষে মতনিবিয়ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে নাটাব টাঙ্গাইল জেলা শাখা এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। নাটাবের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সুপারভাইজার মো. শাহিনুল ইসলামের উপস্থিতিতে এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মীর আনোয়ার হোসেন টুটুলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, নিউজ পোর্টাল মির্জাপুরপ্রতিদিন ডটকমের সম্পাদক মো. রায়হান সরকার রবিন, সাপ্তাহিক বারবেলা ও মাসিক চন্দ্র বিন্দু এবং নিউজ পোর্টাল দৈনিক নিউজ ডটনেট এর সম্পাদক মো. হোসনী যুবাইরী, দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধ মো. সাজ্জাত হোসেন, মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল হালিম ও বেসরকারী সংস্থা আত্নকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অমলেশ সরকার প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক ও সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ করলে বড় ধরনের ক্ষতি মির্জাপুরে ফসলি জমি ধ্বংস করে অবৈধ রাস্তা নির্মান মাটি কাটার ধুম
বারবেলা ডেস্ক ঃ
সিন্ডিকেট চক্রের সমন্বয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বহুরিয়া ইউনিয়নের পাতিলাপাড়া এলাকায় অবৈধ ভাবে প্রকাশ্যে দিবালোকে ভেকু দিয়ে ৩ ফসলি জমি ও লৌহজং নদীর পারের মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে
প্রায় দের কিলোমিটার ফসলী জমি ধ্বংস করে রাস্তা নির্মান করেছে মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট-চক্র। প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। এতে দিন দিন ফসলের উৎপাদন কমছে, বেকার হচ্ছে কৃষক, পরিবেশ হচ্ছে দূষিত, তিন ফসলী কৃষি জমি পরিনত হচ্ছে পুকুর-ডোবা ও নদীতে।
মাটি পরিবহনে ভারী ট্রাক ব্যবহারে ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়ক হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ। আইন অমান্য করে এই অবৈধ কর্মকান্ড চলছে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে বহুরিয়া ইউনিয়নের পাতিলাপাড়া এলাকায়। ইউনিয়নের এই এলাকায় ৫ টি ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক দিয়ে সাপ্লাই হচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চল ও ইট ভাটায়। ট্রাক চলাচলে ধুলার ডেকে গেছে গোটা এলাকা ও ফসলাদি।
ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যাক্তি বলেন, অবৈধ মাটি কাটা বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ করেলে বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয় এলাকার নিরীহ লোকদের। এদের সামনে কেউ কথা বলতে সাহস করেনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের পাতিলাপাড়া এলাকায় প্রায় দের কিলোমিটার ফসলী জমি ধ্বংস করে রাস্তা নির্মাণ করেছে মাটি ব্যবসায়ী ইলিয়াস, ফরিদসহ আরও কয়েকজন। লৌহজং নদীর পার ও ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করার চিত্র মিলল ঘটনাস্থলে। ধুলা-বালুতে আচ্ছন্ন হয়ে আছে আশেপাশের সরিষা ক্ষেতের ফসল, যাতায়াতে নানা শ্রেণির মানুষের শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে জনমনে ক্ষোভ।
এ অবস্থায় দিশেহারা ও অসহায় জীবন যাপন করছে এবং স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পরছে হাজার হাজার মানুষ।
উপজেলা প্রশাসনিক দপ্তর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটারের মধ্যে দিনরাত ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত প্রকাশ্যে দিবালোকে অবৈধ ভাবে ফসলি জমির মাটি কাটছে দেখলে মনে হয় সরকার থেকে অনুমতি নিয়ে পুকুর বা নদী খনন করছে উপজেলার পাতিলাপাড়া এলাকায়।
বহুরিয়া লৌহজংনদী এলাকায় ৫ টি ভেকু দিয়ে মাটি কাটতেছে দেওহাটা এলাকার ইলিয়াস তার সাথে জড়িত আছে তার নিজেস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী । ভূমিদস্যুদের নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী আছে ভয়ে সেখানে যেতে সাহস করেনা।
এলাকাবাসী জানান, আমরা অসুস্থ্য হয়ে পরছি। কর্তৃপক্ষ কিছুই দেখছে না। ভূমিদস্যুদের এই মাটি কাটা থেকে আমাদের ফসলি জমি ও পরিবেশকে রক্ষা ও রোগ বালাই থেকে বাচতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ডিসি, পুলিশ সুপারসহ সকলে সরকারি কর্মকর্তার নিকট সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমারা আবেদন জানাচ্ছি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার ট্রাক অবৈধ ভাবে লৌহজং নদীর পার ও ফসলি জমির মাটিকাটা হচ্ছে। এসব মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইট ভাটা গুলোতে যাচ্ছে। মাটি বিক্রি করে প্রতিদিন প্রাায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা আয় করছে প্রভাবশালী মহল। র্দীঘদিন যাবত চলছে এ মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ। স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা জড়িত রয়েছে অভিযোগ এলাকাবাসির।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগি জমির মালিকগন জানান, উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের বাইমাইল সংলগ্ন পাতিলাপাড়া এলাকায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়। ভূমিদস্যুরা জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে ১০/১২ ফুট গভীর করে খাড়াভাবে কাটে, যাতে করে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে পার্শ্ববতী জমির মাটি ভেঙে পরে যায়।
সরকারি গেজেটে প্রকাশিত মাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসকরণ ২০১৩ সালের ৫৯ নং আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে কৃষি জমি হতে মাটি কাটা বা সংগ্রহ করে ইটের কাচাঁমাল হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তি আইনের এই ধারা লঙ্ঘন করেন তা হলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদন্ড বা ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ড দন্ডিত হইবেন।
অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত বা ইউনিয়ন বা গ্রামীন সড়ক ব্যবহার করিয়া কোন ব্যক্তি ভারি যানবাহন দ্বারা ইট বা ইটের কাচাঁমাল পরিবহন করিতে পারিবেন না। যদি কোন ব্যক্তি আইনের এই ধারা লঙ্ঘন করেন তা হইলে তিনি ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন। এসব আইন থাকার পরও ভূমিদস্যুরা আইনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসন চোখের সামনে এসব কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার পরও প্রশাসনের এই নিরব ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এলাকাবাসীর মনে।
অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী ইলিয়াসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন মাটি কাটলে আপনার সমস্যা কি। এই বলে ফোন কেটে দেয়।
অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়া সাথে মোবাইলে যোগাযোগে তিনি বলেন,এ বিষয়ে ফোনে কথা বলা যাবে না। সামনা সামনি কথা বলবো।
বহুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু সাইদের নিকট প্রকাশ্যে মাটি কাটার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্বন্ধে আমার জানা নাই।
মির্জাপুর থানার ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জাানান, ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়টি ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন। মাটি কাটার বিষয়ে প্রশাসন সহযোগীতা চাইলে আমরা সব সময় প্রস্তুত। কেউ যদি অন্যোর জমির মাটি জোড় করে কাটে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমি পাতিলাপাড়া থেকে একাট ট্রাক ধরে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি। এদেরকে কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না। দেখি দুই এক দিনের মধ্যে ঘটনাস্থলে যাব।
মির্জাপুরে নারীকে হত্যা চেষ্টা মামলায় তিন আসামীর জেল
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধে এক নারীকে ধারালো অস্্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলায় তিন আসামিকে জেল দিয়েছেন টাঙ্গাইলের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাউদ আল হাসান। গতকাল রোববার (২২ জানুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন। প্রায় ৬ বছর পর আদালতের ন্যায় বিচার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নিরীহ ও অসহায় সাজ্জাদ হোসেন ও তার পিতা দেলোয়ার হোসেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, মির্জাপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পুষ্টকামুরী গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে মো.বাচ্চু মিয়া (৫৬), বাচ্চু মিয়ার ছেলে পারভেজ (২৮) এবং সামছু মিয়ার ছেলে ময়না মিয়া (৩৫)। এদের মধ্যে বাচ্চু মিয়াকে চার বছর, ময়না মিয়াকে তিন বছর এবং পারভেজকে এক বছর করে জেল দেওয়া হয়েছে। আসামী বাচ্চু ও ময়নাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাচ্চু মিয়ার পুত্র আসামী পারভেজ পলাতক রয়েছে বলে আদালত সুত্র জানিয়েছেন।
আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) মামলার বাদী ও আদালতে এজাহার সুত্রে থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৮ জুলাই বাদী পক্ষ পৌরসভার অনুমোদনক্রমে তাদের বসত বাড়িতে নির্মান কাজ শুরু করেন। জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনার দিন আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাদীর পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। হামলায় বাদীর পরিবারের সদস্য সাহিদা বেগম গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় আহতের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। মামলার প্রায় ৬ বছর পর ৮ জনের সাক্ষ্য শেষে বিচারক গতকাল রবিবার এ রায় প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্র পক্ষের এপিপি মো. আব্দুল মোত্তালিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, বাদী পক্ষের সকল তথ্য প্রমান পর্যালোচনা শেষে এবং সাক্ষ্য শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে যুগান্তকারী এ রায় প্রদান করেছেন। পলাতক আসামী পারভেজের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী অসহায় নিরীহ সাজ্জাদ হোসেন ওতার পিতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন পর আদালতের রায় পেয়ে আমরা খুঁশি। দেশে এখনও যে ন্যায় বিচার হয় এই রায়ই তার প্রমান। তারা পলাতক আসামী পারভেজকে গ্রেফতার ও রায় কার্যকর করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।
মির্জাপুরে অভিযান চালিয়ে কাঠ পুড়িয়ে অবৈধ কয়লা তৈরীর ১৩ চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারী বনাঞ্চলের আশপাশে অবৈধ কয়লার চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর ফলে একদিকে যেমন বনাঞ্চল ধ্বংস করে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে, তেমনি কয়লার চুল্লিতে কাঠ পোড়ানোর ফলে বিষাক্ত কাল ধোয়ায় এলাকার পুরিবেশ মারাত্বক হুমকির মুখে পরেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপন সংবাদ পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল গতকাল শনিবার (১ জানুয়ারি) আজগানা ইউনিয়নের মহিষপাথান এবং খালপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর অবৈধ ১৩ চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অভিযানের খবর পেয়ে চুল্লির মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আমিনুর ইসলাম বুলবুল বলেন, গতকাল শনিবার আজগানা ইউনিয়নের মহিষপাথান এবং খালপাড় এলাকায় ১৩ চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে একই ইউনিয়নের কুুড়িপাড়া জলকুটির ও তেলিনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০-১২টি কাঠ পুড়িয়ে অবৈধ কয়লার চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঐ অভিযানে সময় হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মির্জাপুর উপজেলা বনবিভাগ সুত্র জানায়, মির্জাপুর উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার ৮০০শ হেক্টর সরকারী বন ভুমি রয়েছে। বিশাল এই বন ভুমিতে গজারি, গর্জন, সেগুন, আকাশমনি, পিকরাশিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মুল্যবান গাছ রয়েছে। এছাড়া সমাজিক বনায়ন কর্মসুচীর আওতায় বনাঞ্চল ও এর আশাপাশে প্রচুর বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে।
আজগানা ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সরকারী বিধান মতে বনাঞ্চলের আশপাশের ১০ কি. মি. এর মধ্যে ইটভাটা, করাত কল এবং কয়লা তৈরীর চুল্লি স্থাপন নিষিদ্ধ ও দন্ডনীয় অপরাধ। স্থানীয় কিছু অসাধু চক্রের যোগসাজসে সিন্ডিকেট করেই চলছে কাঠ পুড়িয়ে চুল্লিতে কয়লা তৈরীর অবৈধ ব্যবসা। চুল্লিার কাল ধোয়ায় এলাকার পরিবেশ মারাত্বক ভাবে হুমকির মুখে পরেছে। চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে মির্জাপুর উপজেলার গায়রাবেতিল, নয়াপাড়া, পেকুয়া, মুচিরচালা, বাঁশতৈল, বংশীনগর, বালিয়াজান, আজগানা, কুড়িপাড়া, পাথরঘাটা, তরফপুর, খুইদারচালা, ঘাগড়াই কুড়াতলী ও খাটিয়ার হাটসহ বিভিন্ন এলাকার বনের আশপাশে অবৈধ ভাবে কয়লার চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরী করে আসছে। শতাধিক কয়লার চুল্লিতে প্রতি দিন ৫-৬ টন কয়লা তৈরী হচ্ছে। কাঠ পুড়িয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চোরাকারবারিরা। কয়লার তৈরীর ফরে বিষাক্ত কাল ধোয়ায় ঐ সব এলাকায় বসবাস করা হুমকির মুখে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে বনজ সম্পদ ধ্বংস ও পরিবেশ বিপর্যয় নেমে এসেছে এবং আশপাশের গ্রামের গাছপালা ও ফসলি জমি নষ্ট হয়ে লোকজনের মধ্যে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পরেছে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগ মির্জাপুর রেঞ্জ অফিসের রেঞ্জ অফিসার মো. আশরাফুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন সংরক্ষক এবং সহকারী বন রক্ষক মহোদয়ের নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গায়রাবেতিল, নয়াপাড়া, বাঁশতৈল, বংশীনগর, আজগানা, কুড়িপাড়া, পাথরঘাটা, তরফপুর ও খাটিয়ারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ইতিপুর্বে অভিযান চালিয়ে অবৈধ বেশ কিছু কয়লার চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আজগানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছেন। বন রক্ষার জন্য তাদের এ অভিযান পরিচালনার সময় বনবিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান এবং নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বনাঞ্চলের ভিতরে ও আশপাশে অবৈধ ভাবে কয়লার চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর কোন সুযোগ নেই। যখনই খবর পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল টিমের মাধ্যমে কয়লা তৈরীর অবৈধ চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তাদের অভিযান চলমান থাকবে বলে এই দুই কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
মির্জাপুর স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
চলবো মোরা একসাথে, জয় করবো মানবতাতে এই শ্লোগানে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মির্জাপুর স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) মির্জাপুর সরকারী কলেজের শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা রবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি। উদ্ধোধক ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান। মির্জাপুর সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাহমিনা জাহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসিল্যান্ড মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, মো. মাসুদ হোসেল ও আব্দুল আলীম।
মির্জাপুরে মসজিদ নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ইমামের উপর হামলা,দুই পাল্টা পাল্টি অভিযোগ
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
মসজিদ ও মাদ্রাসা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মসজিদের ইমাম এবং মাদ্রসার প্রিন্সিপালের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অবস্থায় মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি সাইফুল ইসলাম (৪০) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর দুই গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই গ্রুপের পক্ষ থেকে একে অপরকে দায়ী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তিন নং ফতেপুর ইউনিয়নের হাতকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) মির্জাপুর থানা পুলিশ সুত্র জানায়, মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের হাতকুড়া গ্রামের বাইতুল আমান জামে মসজিদ এবং নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং মসজিদের ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলামকে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) মসজিদের ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলাম এবং প্রতিপক্ষ যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাই আশরাফুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হামলার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ইমাম সাইফুল ইসলামের চোখ, মাথা এবং শারীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র শ্রিফলতলী হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে মসজিদের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, মাদ্রাসার সাধারন সম্পাদক যুবদলের নেতা সোহেল ও আহত ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আসাদ ও তার ভাই আশরাফুলসহ তাদের সহযোগিরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলার পর বিভিন্ন ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আহত ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় আসাদ ও আশরাফুলসহ তাদের সহযোগিদের দায়ী করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারা তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ মো. আসাদুজ্জামান আসাদ অভিযোগ করেন, মসজিদ কমিটির কতিপয় সদস্য ও ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকার উৎঘাতসহ ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনার নানা অভিযোগ রয়েছে। সরকারী বিরোধী সংগঠন সত্যের সন্ধানে নামে একটি সংগঠনের তিনি ফতেপুর ইউনিয়নে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপুর্বে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পর পুলিশ তাকে আটক করে। মসজিদে তার বিরুপ মন্তব্যের কারনে সমাজের ৫০-৬০ জন মুসুল্লি মসজিদে নামাজ আদায় না করে অন্যত্র নামাজ আদায় করে আসছে। গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ইমামের লেকজনের হামলায় তার চাচা আলী আজগরসহ তিনিও আহত হন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বাদী হয়ে মসজিদের ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম, সাদ্দাম ও শাহানুরকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপপরিদর্শক (এসআই) ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তিনি বলেন, মসজিদের জমি ও ইমামকে নিয়ে এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তদন্তের কাজ চলছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দিক নির্দেশনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এলাকায় শান্তির লক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মির্জাপুরে ভূমি অফিসের বার্ষিক বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের উদ্যোগে বার্ষিক বনভোজন এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বেসরকারী সংস্থা বাসা এনজিওর রিসোর্ট সেন্টার মিলনায়তনে বিকেল থেকে গভীল রাত পর্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে এ বনভোজন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান।
আজ শুক্রবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আমিনুর ইসলাম বুলবুল জানান, মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস, মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নের ভূমি অফিসের উদ্যোহে প্রতি বছরের মত এ বছরও উৎসব মুখর পরিবেশে বার্ষিক বনভোজন এবং মনোজ্হ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম, মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জহিরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, গনমাধ্যমকর্মীসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।