বাংলা নিউজ
Wednesday, March 19, 2025
Home Blog Page 69

মির্জাপুরে নগ্ন ভিডিও ভাইরাল, লোকলজ্জায় কলেজ ছাত্রীর আতœহত্যা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
ধর্ষনের নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ায় লোকলজ্জায় সুইসাইড চিঠি লিখে কলেজ ছাত্রী তানিয়া আক্তার (১৯) আতœহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বখাটে সুজন মিয়া (২৬) এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তানিয়ার লাশ এবং সুইসাইড চিঠি উদ্ধার করেছে। গতকাল বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের সিংজুরি গ্রামে কলেজ ছাত্রীর অমানবিক এ আতœহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, তানিয়ার পিতার নাম হারুন অর রশিদ। তানিয়া আক্তার মির্জাপুর উপজেলা সদরের পৌরসভার মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। বখাটে সুজনের পিতার নাম আব্দুর রশিদ মিয়া, গ্রামের বাড়ি একই ইউনিয়নের বুড়িহাটি গ্রামে। তানিয়ার অসহায় পিতা হারুন মিয়া অভিযোগ করেন, কলেজে আসা যাওয়ার পথে বখাটে সুজন তানিয়াকে বিরক্ত করে আসছিল। এক পর্যায়ে নানা কৌশলে গোপন আস্তায় নিয়ে তানিয়াকে ধর্ষন এবং ব্লাক মেইল করে ধর্ষনের নগ্ন ভিডিও গোপনে ধারন করে। তানিয়া লোক লজ্জায় বিষয়টি তার পরিবারকে প্রথমে জানায়নি।
এদিকে ধর্ষনের নগ্ন ও আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে বখাটে সুজন ফেইজবুকে ছড়িয়ে দিবে এই হুমকি, ভয় ও ব্লাক মেইল করে তানিয়ার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। সুজনকে টাকা না দিলেই নগ্ন ছবি ফেইজবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতো। তারপরও বখাটে সুজন থেকে থাকেনি। গত এক সপ্তাহ পুর্বে সুজন লোকাল সাফি নামে একটি ফেইজবুক আইডি থেকে তানিয়ার ধর্ষনের নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় নানা সমালোচনা শুরু হয়। ভিডিও দেখে তানিয়া মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পরে। এক পর্যায়ে তানিয়া লোকলজ্জায় সুইসাইড চিটি লিখে গতাল বুধবার বিকেলে বাড়িতে ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তানিয়ার লাশ এবং চিঠি উদ্ধার করে।
আতœহত্যার আগে তানিয়া সুইসাইড চিঠিতে যা লিখে গেছে তা হুবহু তুলে ধরা হলো—–আমারে তুমরা সবাই মাফ কইরা দিও, আমার জন্য তুমাগো অনেক মান-সম্মান নষ্ট হইছে, আমি চাই না তুমাগো আরো মান-সম্মান নষ্ট হোক। তোমরা জানো না ঐতি কি কি করছে আমার সাথে। আমারে জোর কইরা ব্লাকমেইল কইরা আমার সাথে ধর্ষন করছে। তারপর আমার ছবি তুইলা সেই ছবি দিয়া আমার ব্লাকমেইল করেছে। আমার কাছ থাইকা দেড় লাখ টাকার জিনিস নিছে–।
এদিকে তানিয়ার সহপাঠী, শিক্ষক এবং এলাকাবাসি অমানবিক এই ঘটনার জন্য বখাটে সুজনকে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং ফাঁসির দাবী জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে তানিয়ার বাবা হারুন মিয়া ও তার ভাই আবু তালেব গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমরা অসহায় কার কাছে বিচার দিবু। তানিয়াকে হারিয়ে আমরা এখন মৃত্যুর মুখে। লোকলজ্জায় আমরাও এখন মরে যাবো। বখাটে সুজন ও তার সহযোগিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানাই।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন গনমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, কলেজ ছাত্রী তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। একটি সুইসাইড চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত সাপেকে।ষ আইনগত ব্যবস্তা নেওয়া হবে।

মির্জাপুরে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্জ সরবরাহের উদ্ধোধন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্জ সরবরাহের উদ্ধোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্তরে এর উদ্ধোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম ও মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার প্রমুখ।
এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ইউজিডিপি প্রকল্পের আওতায় মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মান এবং বেঞ্জ তৈরী করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা পরিচলন ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জাইকার) সহযোগিতায় স্বুল ভবন নির্মান ও বেঞ্জ সরবরাহ হচ্ছে।

মির্জাপুরে সামাজিক সম্প্রতির সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সামাজিক সম্প্রতির সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা এগাটায় মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, অসম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্শীয় ও সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে ধর্মীয় উগ্রবাদ, সহিংসতা ও সাম্প্রদায়িক প্রতিহত এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অপব্যবহার রোধকল্পে আজকের এই সম্প্রতির সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, গরমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, ইমাম, পুরোহিতসহ সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম ও মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, বানিয়ারা দুরল উলুম বাবুল সিনিয়র দাকিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ তালুকদার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু উত্তম কুমার সেন লালু, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সুরঞ্জন শেঠ তাপস প্রমুখ।

মির্জাপুরে ২৫৯ মন্ডপে দূর্গা পূজার প্রস্তুতি, কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় চলতি বছর শারদীয়া দূর্গা পূজায় সর্বাধিক ২৫৯ মন্ডপে দুর্গা পুঁজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরীর ধুম। প্রতিটি মন্ডপে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় এমপি খান আহমেদ শুভ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। মির্জাপুরে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মন্ডপে মন্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা তথা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মন্ডপ তৈরী হচ্ছে মির্জাপুরে। এ জন্য আইন-শৃঙ্গলার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সনাতন ধর্মের লোকজন যাতে নির্বিগ্নে পূজা উদযাপান করতে পারেন সে জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মির্জাপুর শাখার আহবায়ক সুরঞ্জন শেঠ তাপস ও সদস্য সচিব সুশিল সরকার জানান, মন্ডপে মন্ডপে কারীগরগন নিপুন হাতে গনেশ, স্বরসতি, কার্তিক, অসুর, সিংহ, পেঁচা, ইদুর, হাঁস, ময়ুর, সাপ, লক্ষি, মহাদেব ও লক্ষি কটেইকে তৈরী করছেন। প্রতিমা তৈরী এবং প্রতিমায় রং তুলির আচর দুই এক দিন পরেই শেষ হবে। প্রতিমা তৈরীল কারীগরগন জানিয়েছেন নানা প্রতিকুলতার মধ্যে তাদের এই পেশা টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে। যে মজুরী পাওয়া যাচ্ছে তাতে তাদের সংসার চালানো খুবই কষ্টকর।
এদিকে ২শ বছরের ঐতিহ্য শহীদ দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার দৃষ্টি নন্দন পুজা মন্ডপ দেখতে মন্ত্রী-এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশী কুটনৈতিকসহ জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন কুমুদিনী কমপ্লেক্্র ও দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার গ্রামের বাড়ি পরিদর্শনে আসবেন বলে জানা গেছে। কুমুদিনী কমপ্লেক্্ের এবং আরপি সাহার গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর সাহাপাড়া নানা সাজে সজ্জিত করা হচ্ছে।
মির্জাপুর থানা পুলিশ সুত্র জানায়, এ বছর মির্জাপুর পৌরসভা ও উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ২৫৯ মন্ডপে শারদীয়া দুর্গা পুঁজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারী নির্দেশনায় প্রতিটি মন্ডপে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুজা উদযাপন হবে এবং থাকবে নানা আনুষ্ঠানিকতা। সবচেয়ে বেশী মন্ডপ তৈরী হচ্ছে মির্জাপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে। এখানে ৫২ মন্ডবে অনুষ্ঠিত হবে পূজা দুর্গা পূজা। এছাড়া মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, ভাতগ্রাম, ভাওড়া, বহুরিয়া, লতিফপুর, গোড়াই, আজাগানা, তরফপুর এবং বাঁশতৈল ইউনিয়নে উৎসব মুখর এবং আনন্দঘন পরিবেশে দূগা পূজার প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া, ৩০ সেপ্টেম্বর শুভ পঞ্চমী, ১ অক্টোবর মহা ষষ্ঠী, ২ অক্টোম্বর মহা সপ্তমী, ৩ অক্টোবর মহা অষ্টমী, ৪ অক্টোবর মহা নবমী এবং ৫ অক্টোবর মহা দশমীর মধ্য দিয়ে পুজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। এ বছর জেলার মধ্যে মির্জাপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশী ২৫৯ মন্ডপে শারদীয়া দুর্গা পুঁজা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, প্রতিটি মন্ডপে সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন ভাবে পুজা উদযাপনের লক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য প্রস্তুত রয়েছে। পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা তথা বাংলাদেমের মধ্যে এ বছর সর্বোচ্চ ২৫৯ টি মন্ডপে পূঁজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে মির্জাপুরে। এ জন্য জেলা পুলিশ সুপার, ডিসিসহ উপজেলা প্রশাসন এবং থানা পুলিশ প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রস্তুত রয়েছে।

মির্জাপুরে ৩০ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরন, পাবেন জমিসহ ঘর

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে শিল্পপার্ক স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহনের ক্ষতিপুরন না পেলেও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় মমিননগর এরাকার ভূমিহীন ৩০ অসহায় পরিবারকে নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। পাবেন বিনামুল্যে জমি বরাদ্ধসহ ঘর। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (২০সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেওহাটা আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি। এ সময় আরডিসি ফারজানা ইসলাম, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, এসিল্যান্ড মো. আমিনুর ইসলাম বুলবুল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান, গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. হুমায়ুন কবীর, স্থানীয় গরমাধ্যমকর্মী, ইউপি মেম্বার কামরুজ্জামান, আদিল খান, উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মেম্বারগন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা ভূমি অফিস জানায়, কর্মসংস্থানের লক্ষে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের মমিননগর মৌজায় ৪৯ দশমিক ৩৫ একর জমির উপর বিসিক শিল্প পার্ক (শিল্প নগরী) স্থাপনের জন্য ২০১৬ সালে জমি অধিগ্রহন শুরু করে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়। জমি অধিগ্রহন, ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারকে ক্ষতিপুরন দেওয়া হয়। যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই তাদরে মধ্যে ৩০ পরিবারকে সরকার ভাবে পুর্নবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৩০ পরিবার গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা এলাকায় বিনামুল্যে জমিসহ ঘর পাবেন। পুর্নবাসনের ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ৩০ পরিবারকে প্রাথমিক ভাবে নগদ ১০ হাজার করে টাকা তুলে দেওয়া গয়। এদের নামে খাস জমি বরাদ্ধ প্রক্রিয়াধীন। কিছু দিনের মধ্যেই জমির কাগজপত্র এবং বসবাসরে জন্য ঘর তৈরী করে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় গোড়াই শিল্পাঞ্চলের মমিননগর এলাকায় বিসিক শিল্পপার্ক নির্মান হচ্ছে। এটির নির্মান কাজ শেষ হলে এলাকায় নতুন দিগন্তের সুচনা হবে। যাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে তারা ক্ষতিপুরন পাচ্ছেন। যারা ক্ষতিপুরন পাচ্ছেন না তাদের জমির বৈধ কাগজপত্র নেই। পরিবারগুলো দরিদ্র তাদের উচ্ছদ করা হলেও জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন দেওহাটা এলাকায় বিনামুল্যে জমিসহ ঘর পাচ্ছেন।

মির্জাপুরে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ সোমবার মির্জাপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বেলা এগাটায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা পরিষদের সাবকে ভাইস চেয়ারম্যান ও বিলুপ্ত সাবেক আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক এবং সাবেক সদস্য সচিব জিএস বিপ্লব কুমার সাহা। তারা বলেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত গত ২২ আগস্ট ২৫ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি আহবায়ক কমিটি দেন মির্জাপুর উপজেলায়। এই আহবায়ক কমিটি ইতিমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে সুন্দর ও শান্তিপুর্ন ভাবে নতুন কমিটি দিয়েছেন। জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক আমাদের কিছু না জানিয়ে ৯০ দিনের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত (বাতিল) করেছেন যা গঠনতন্ত্র বিরোধী। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সুরঞ্জন শেঠ তাপসকে আহবায়ক ও সুশিল সরকারকে সদস্য সচিব করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট্য মির্জাপুর উপজেলায় অপর একটি পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটি দিয়েছেন। তাদের আহবায়ক কমিটি বাতিল করার কোন একতিয়ার নেই। পুর্বের আহবায়ক কমিটি এখনও বলবত আছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে আমরা জেলা কমিটির সভাাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে এবং সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন (ঝন্টুর) প্রত্যাহার দাবী করা হয়। এ সময় পিযুষ কান্তি সাহা নন্দ, স্বপন মন্ডল, সুবীর কুমার দত্তসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্্রস মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে এবং সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন (ঝন্টু) বলেন, ২২ আগস্ট যে আহবায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের অনুমোদন ও কোন পরামর্শ না নিয়ে তারা এলাকায় গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় সনাতনী (হিন্দু) দের মধ্যে ক্ষোভ, বিভেধ ও মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা সুন্দর রাখার লক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় ও জেলার নেতৃবৃন্দের পরামর্শে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ঐ কমিটি বিলুপ্তি (বাতিল) করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা কমিটি এবং মির্জাপুর এলাকার বিভিন্ন সনাতনী (হিন্দু) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে তাদের মতামত নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সুরঞ্জন শেঠ তাপসকে আহবায়ক এবং সুশিল সরকারকে সদস্য সচিব করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট্য মির্জাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নতুন আহবায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এই কমিটি সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

মির্জাপুরে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ হলেন শিক্ষকসহ ছয় ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠান

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ সালের প্রাথমিক বিদ্যালয় শাখায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় দুই জন প্রধান শিক্ষক, দুই জন সহকারী শিক্ষক, দুইটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একজন অফিস সহকারী এবং একজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন। গতকাল রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলা শিক্ষা অফিস শ্রেষ্ঠদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, ২০২২ সালে মির্জাপুর উপজেলায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন বরটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুর রহমান জুয়েল, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা গোড়াই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবি ও সাহিত্যক মিসেস কবিতা রায়, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মস্তমাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এস এম রাকিবুল হাসান, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা মহেড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আঞ্জুমান আরা, শ্রেষ্ঠ স্কুল বরাটি হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝড়েপরা রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখায় শ্রেষ্ঠ স্কুল সিবিএ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আতিকুজ্জামান সরকার এবং শ্রেষ্ঠ অফিস সহকারী নির্বাচিত হয়েছেন মো. মনিরুজ্জামান।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের কার্যালয়ে বিচারক মন্ডলীদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষকদের স্বাক্ষাত নেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, এসিল্যান্ড মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ইউআরসির প্রশিক্ষক ড. মো. আব্দুর রহিম এবং সহকারী শিক্ষা অফিসারগন উপস্থিত ছিলেন। বিচারক মন্ডলী স্বাক্ষত গ্রহনের পর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুই জন প্রধান শিক্ষক, দুই জন সহকারী শিক্ষক, দুইটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একজন অফিস সহকারী এবং একজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করেন।
এদিকে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আমদ শুভ এমপি, উপজেলা শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম ও মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীল হোসেন এবং মির্জাপুর উপজেলা বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মঞ্জুর কাদের, সাধারন সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

 

মির্জাপুরে পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি গঠন, আহবায়ক তাপস সদস্য সচিব সুশিল

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটির আহবায়ক হলেন বাবু সুরঞ্জন শেঠ তাপস এবং সদস্য সচিব বাবু সুশিল সরকার। ২৫ সদস্য বিশিষ্ট্য মির্জাপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটি গতকাল শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে এবং সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন অনুমোদন দিয়েছেন। এই আহবায়ক কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নের বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি গঠন করে সম্মেলনের মাধ্যমে মির্জাপুর উপজেলা শাখার পুনাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে কমিটির আহবায়ক বাবু সুরঞ্জন শেঠ তাপস এবং সদস্য সচিব বাবু সুশিল সরকার জানিয়েছেন।
আহবায়ক কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, সুরঞ্জন সেঠ তাপস, সুশিল সরকার, দিলীপ কুমার, তাপস সাহা, চন্দনা দে, অনুপ কুমার, উত্তম কুমার সাহা, দীপক মিত্র, বিশ^জিৎ দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা অরুন রাজবংশী, পরেশ চন্দ্র বর্মন, রাজবংশী মঙ্গল চন্দ্র, সুনীল চন্দ্র বর্মন, অনুপ কুমার দত্ত, মন্তোষ কুমার ভৌমিক, এড, কালিপদ সরকার, প্রদীপ কুমার শীল, নিতাই পাল, মনীন্দ্র কুমার চৌধূরী,নারায়ন চন্দ্র, উৎপল কুমার সরকার এবং অলক কুমার দাস।
এ ব্যাপারে নতুন কমিটির আহবায়ক সুরঞ্জন সেঠ তাপস এবং সদস্য সচিব সুশিল সরকার বলেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাদের সকলের অভিভাবক একুশে পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারন সম্পাদক এড. জোয়াহেরুল ইসলাম জহের এমপি, ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাকার সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে, সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুনসহ সকলের দিক নির্দেশনায় মির্জাপুর উপজেলার প্রতিটি এলাকার সনাতন ধর্মের প্রতিটি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই হবে এই আহবায়ক কমিটির মুল দায়িত্ব ও কর্তব্য। কোন ভোদভেদ নয় সকলকে সঙ্গে নিয়ে মিলে মিশে কাজ করাই হবে আমাদের মুল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাকার সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দা মোহন দে বলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সাধারন সম্পাদক, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাদের গুরুজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারন সম্পাদক এড. জোয়াহেরুল ইসলাম জহের এমপি মহোদয়ের পরামর্শে সুরঞ্জন শেঠ তাপসকে আহবায়ক এবং সুশিল সরকারকে সদস্য সচিব করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট্য সুন্দর এবং সকলেল নিকট গ্রহন যোগ্য বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটিই একমাত্র বৈধ কমিটি।

মির্জাপুরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে কিশোরী উদ্ধার, গৃহবধুকে এক বছরের জেল

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে অচেতন অবস্থায় বন্ধিদশা থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত পাঁচ দিন ঐ কিশোরী বন্ধি দশায় ছিল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাহিদা বেগম (৪৩) নামে গৃহবধুকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে বিচার তাকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। কিশোরীকে তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মির্জাপুর থানা পুলিশ জানায়, আটক গৃহবধুর স্বামীর নাম বিল্লাল হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি উত্তর বঙ্গে হলেও মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলে কাজের সুবাদে আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করেন। উদ্ধারকৃত কিশোরীর বাড়িও একই এলাকায়। গত ১০ সেপ্টেম্বর ঐ কিশোরী সাহিদা বেগমের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সাহিদা বেগম কৌশলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। নানা প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে কোমল পানীয় জলের সাঙ্গ নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অচেতন করে বন্ধি রাখে। এভাবে কেটে যায় চার দিন।
আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের সিকদারসহ এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছেন, আটক সাহিদা বেগমের মুল পেশাই হচ্ছে তার বাড়িতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সের তরুনী ও কিশোরীদের এনে অনৈতিক ভাবে যৌন কাজ করা। ভয়ে এতদিন কেউ মুখ ভুলেনি। পুলিশ সাহিদা বেগমের বাড়ি থেকে যৌন উত্তেজক বিভিন্ন ঔষধের খোসা উদ্ধার করেছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাহিদা বেগমের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল কয়েকজন শ্রমিক। কৌশলে কিশোরী বের হয়ে তাদের ঘটনা বলে। পরে শ্রমিকরা তার বাবাকে খবর দিলে তিনি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার এবং বাড়ির মালিক সাহিদা বেগমকে আটক করে। পরে সাহিদা বেগমকে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুলেল আদালতে হাজির করেন। ঘটনার সতত্যা পেয়ে বিচারক তাকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, কিশোরীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত গৃহবধু সাহিদা বেগমকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মির্জাপুরে আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হলেন রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হলেন বিশিষ্ট্য সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি। তিনি মধূমতি ব্যাংকের স্পন্সর ডাইরেক্টর ও ই বি এস গ্রুপের চেয়ারম্যান। আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত স্বাক্ষরিত ২৯ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন। এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারন সম্পাদক এড. জোয়াহেরুল ইসলাম জহের এমপি স্বাক্ষরিত ৭১ সদস্য বিশিষ্ট মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নতুন কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে রাফিউর রহমান খান ইউমসুফজাই সানি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাকে বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিক নেতারা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অপর দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অপর সদস্যরা হলেন, সাবেক মেয়র এড. মোশারফ হোসেন মনি, মীর আব্দুল ওয়াদুদ, মো. মইনুল হক, মো. মাহফুজুর রহমান কনক, মো. ফরহাদ উদ্দিন আছু, মো. রাফিউর রহমান ইউসুফজাই সানি, এম সুলাইমান খান, কাজী আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ, মো. আরিফ খান, আবু সাইদ মিয়া (সাবে ভিপি), মো. রাইজুদ্দিন ডিলার, মো. আতিকুল ইসলাম সিকদার, মো. সুরুজ দেওয়ান, এ কে এম আলম সরোয়ার, আবুল কাশেম সরকার, কাজী নুরুল্লাহ শহিদ, মো. রফিকুল ইসলাম, খন্দকার রাহাদ হোসেন তুষার, মীর রাজিউর রহমান বকুল, মোশারফ হোসেন রাজু, মো. ফজলুল হক মাষ্টার, নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী, মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, মো. আবু তাহের, মো. সাদেকুর রহমান, মো. শফিকুল ইসলাম এবং মো. খালেদ হোসেন লিটু।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। মাননীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরামর্শ করেই দলের নবীন ও প্রবীন নেতাদের নিয়েই নবনির্বাচিত মুল কমিটি, কার্যকরী কমিটি এবং উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। সকল নেতাকর্মীদের ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।