বাংলা নিউজ
Friday, March 21, 2025
Home Blog Page 53

মির্জাপুরে বরাটী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ তম বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মির্জাপুর উপজেলার বরাটী নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ তম বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান উৎসব মুখর পরিবেশে আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জুলহাস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আমেরিকা প্রবাসি ও খান এগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান এবং সিইও মো. জাহিদুল ইসলাম বাছেদ। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ গ্রহন করে। এ সময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীগন উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সফলতার সাথে দুই বছর

মোঃ সাজজাত হোসেন

সততা দক্ষতা ও নিরপক্ষতা বজায় রেখে দলমত এর উর্ধে থেকে বিভিন্ন সফলতার মধ্য দিয়ে মো.হাফিজুর রহমান সফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন ও মির্জাপুর মানুষের নজর কেড়েছেন।

উপজেলা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সন্ত্রাসদমন, বাল্য বিবাহ রোধ, শিক্ষার উন্নয়ন, দারিদ্রতা বিমচন, রাস্তা ঘাটের সংস্কার ও উন্নয়নের বলিষ্ট ভৃমিকা রেখেছেন। সরকারের নির্দেশনার পাশাপাশি আপন তাগিদে অনাহারী, কর্মহীন ও দুস্থদের পাশে দাড়িয়েছেন।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও নিয়মিত বাজার মনিটরিং থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তার সরব উপস্থিতি জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

তিনি মাননীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়ে গৃহহীনদের ঘরের ব্যবস্থা , মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, পৌরসভাসহ ১৪ ইউনিয়নে শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণ, রাত জেগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান, যেকোনো বিষয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ ইত্যাদি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.হাফিজুর রহমান ২ বছর পূর্ণ করলেন।

ইতিমধ্যে তার সততা ,কর্মদক্ষতা ও পরিশ্রম দিয়ে মির্জাপুর মানুষের কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন।
দুই বছর সফল ভাবে অতিক্রম করায় তাকে অভিন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন মাননীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক , উপজেলা চেয়ারম্যান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, উপজেলার সকল সাংবাদিকবৃন্দসহ উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, ইউএনও মো.হাফিজুর রহমান গত ২০২১ সালে মির্জাপুর উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।

মির্জাপুরে ইমামের উপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা আসাদ ও তার ভাই কদম আলী গ্রেফতার

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ফতেপুর ইউনিয়নের হাতকুড়া জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার পেশ ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার আসামী যুবলীগ নেতা ও হাতকুড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ আলীর ছেলে আসাদুল্লাহ আসাদ এবং তার ভাই কদম আলী অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতারে হয়েছে। তৌহিদী জনতা এবং আমরা মির্জাপুরবাসী নামে একটি সংগঠনের মুসুল্লিগন গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) আসামীদের ধরতে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। আলটিমেটামের ১০ ঘন্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার হরতকীতলা থেকে আসামীদের গ্রেফতার করা হয় বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক এ টি এম জহিরুল ইসলম জহির নিশ্চিত করেছেন।
আজ সোমবার ( ৬ ফেব্রুয়ারী) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ টি এম জহিরুল ইসলাম জানান, হাতকুড়া গ্রামের সামাজিক মসজিদ ও মাদ্রাসার বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জানুয়ারি যুবলীগ নেতা আসাদুল্লাহ আসাদ ও তার ভাই কদম আলীসহ কতিপয় সন্ত্রাসী মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে এবং তার মুখের দাড়ি কেটে নেয়। এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২০ জানুয়ারী আসাদ ও তার ভাই কদম আলীসহ ৪-৫ জনকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামীরা আত্নগোপনে চলে যায়।
এদিকে গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তৌহিদী জনতা এবং আমরা মির্জাপুরবাসী নামে একটি সংগঠনের মুসুল্লিগন কুরনী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে আসামীদের গ্রেফতারে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রতিবাদ সমাবেশে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দেন। এই সময়ের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন আসামীদের গ্রেফতার না করলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসুচী ঘোষনা দেন। উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মুফতি আব্দুর রহমান, মুফতি এরশাদুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাফেজ মাওলানা আব্দুর মামুন, জাকির হোসেন, মোহাম্মদ আলী, আব্দুর রহীম ও হাবিুল্লাহ প্রমুখ।
অপর দিকে সমাবেশের পর টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর-নাগরপুর) সার্কেল এ এস এম আবু মনসুর মুসা এবং মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিমের নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পলাতক আসামী আসাদ ও তার ভাই কদম আলীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম এবং সেকেন্ড অফিসার মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আসামীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।

মির্জাপুরে মসজিদের ইমামের উপর সন্ত্রাসী হামলার আসামীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ফতেপুর ইউনিয়নের হাতকুড়া জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার পেশ ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার আসামীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে তৌহিদী জনতা এবং আমরা মির্জাপুরবাসী নামে একটি সংগঠন। আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কুরনী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগন আসামীদের গ্রেফারে এ আলটিমেটাম দিয়েছেন। আসামীরা হচ্ছে যুবলীগ নেতা ও হাতকুড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ আলীর ছেলে আসাদুল্লাহ আসাদ এবং তার ভাই কদম আলী।
প্রতিবাত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মুফতি আব্দুর রহমান, মুফতি এরশাদুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাফেজ মাওলানা আব্দুর মামুন, জাকির হোসেন, মোহাম্মদ আলী, আব্দুর রহীম ও হাবিুল্লাহ প্রমুখ। উল্লেখ্য যে, হাতকুড়া গ্রামের সামাজিক মসজিদ ও মাদ্রাসার জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত গত ১৮ জানুয়ারি যুবলীগ নেতা আসাদ ও তার ভাই কদম আলীসহ কতিপয় সন্ত্রাসী মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে এবং তার মুখের দাড়ি কেটে নেয়। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা হলেও ঘটনার ১৫ দিনেও আসামীরা গ্রেফতার হয়নি। আসামীদের দ্রুত গ্রেফাতরের দাবীতে আজ শনিবার তৌহিদী জনতা এবং আমরা মির্জাপুরবাসী নামে একটি সংগঠন এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রতিবাদ সমাবেশে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। এই সময়ে@র মধ্যে আইন –শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন আসামীদের গ্রেফতার না করলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসুচী ঘোষনা দিবেন বলে বক্তব্য দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাুপর থানার সেকেন্ড অফিসার মো. মোশারফ হোসেন বলেন, মামলার পর আসামীরা আত্নগোপনে চলে গেছে। আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

ঢাকায় সমাবেশ সফল করতে মির্জাপুরে বিএনপির প্রস্তুতি মুলক সভা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
আগামীকাল শনিবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ সফল করতে আজ শুক্রবার টাঙ্গাইলে বিএনপি প্রস্তুতি মুলক সভা হয়েছে। বিকেলে মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে পৌর বিএনপি এবং এর সহযোগি সংগঠন এ প্রস্তুতি মুলক সভার আয়োজন করে। বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ভিপি মো. হযরত আলী মিঞা, বিএনপি নেতা কোব্বত আলী মৃধা, যুবলদের নেতা জাঙ্গাইীর মৃধা, হামিদুল ইসলাম টিঠু এবং আলী আজম উথান প্রমুখ।

মির্জাপুরে এপিএল ক্রীকেট লীগে হাফসা গ্লাডিয়েটরস একাদশ চ্যাম্পিয়ন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এপিএল ক্রীকেট লীগে হাফসা গ্লাডিয়েটস মৌচাক একাদশ ২০ অভারে ২৫৯ রানে এপি স্পোটিং ক্লাব টঙ্গী একাদশকে ১৮ অভাবে ১৪৫ রানের ব্যবধানে হাড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের গেড়ামারা গোহাইল বাড়ি স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে উৎসব মুখর পরিবেশে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় এপিএল ক্রীকট লীগ এ টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিলেন।
ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি। উদ্ধোধক ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হংকং শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও আমনবতায় আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শিল্পপতি মো. আবুল কালাম আজাদ লিটন, গেড়ামারা গোহাইল বাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শিল্পপতি রেজাউল করিম বাবলু, বহুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাইদ মিয়া ছাদু, সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম খোকন, ভাওড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন, মো. আবজাল হোসেন খান, মো. আব্দুল মান্না খান, এপিএল ক্রীকেট লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারন সম্পাদক সোহেল আমীর এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. জুলহাস তালুকদার প্রমুখ। পরে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে অতিথিবৃন্দ পুরষ্কার তুলে দেন।

মির্জাপুরে ভারতেশ^রী হোমসের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রীর আত্নহত্যাসহ তিন অস্বাভাবিক মৃত্যু

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতেশ^রী হোমসের আবাসিক হোস্টেলে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। ভারতেশ^রী হোমসের আবাসিক হোস্টেলের বাথরুম থেকে দুপুরে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার নাম মেহজাবিন সায়মা (১৭)। পিতার নাম কিরামত আলী সিকদার। গ্রামের বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার যোগানিয়া গ্রামে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় হোমসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। অপর দিকে হোমসের ছাত্রীর আত্নহত্যাসহ আরও দুই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-রাজশাহী রেল লাইনের মির্জাপুর বাইপাস এলাকা থেকে খন্ড বিখন্ড এক যুবকের লাশ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আঞ্চলিক সড়ক পাকুল্যা-লাউহাটী রোডের পাঁচ চামারী এলাকায় থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পৃথক এ অস্বাবাবিক তিন মৃত্যুর দুর্ঘটনা ঘটে।
মির্জাপুর থানা পুলিশ ও ভারতেশ^রী হোমস সুত্র জানায়, পারিবারিক সমস্যা নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী মেহজাবিন সয়মা মানষিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিল। হোমসের শিক্ষক ও ছাত্রীদের অগোচরে আজ সোমবার দুপুরে হোস্টেরেল বাথরুমে ফাঁস দিয়ে ঐ ছাত্রী আত্নহত্যা করেছে। মির্জাপুর থানার ডিউটি অপিসার মো. আবুর বাশার মোল্লা এ ব্যাপারে বলেণ, হোমসের পক্ষ থেকে মন্দিরা চৌধুরী মির্জাপুর থানায় ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় লিখিত াভিযোগ দিয়েছেন। উপ পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান ঘটনার তদন্ত করছেন।
এ দিকে মির্জাপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বংশাই রোডের রেল স্টেশনের পশ্চিম পাশের্^ রেলক্রসিং এলাকায় এক অজ্ঞাত ব্যাক্তি রাস্তা পারাপারের সময় ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার নিথর দেহের টুকরো টুকরো অংশ রেল লাইনের বেশ কয়েক স্থানে খ- খ-ে পরে থাকতে দেখা যায়। দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় পার হলেও লাশটি উদ্ধার করতে বিলম্ব করে রেল পুলিশ। পরে লাশটি দুপুরের দিকে উদ্ধার করা হয়। মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান বলেন, লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
অপরদিকে পাকুল্যা- লাউহাটি আঞ্চলিক সড়কে উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের পাঁছচামারী কবর স্থানের পাশে সিএনজি দুর্ঘটনায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঐ নারীর নাম নাছিমা আক্তার ওরফে বেগম (৫০)। তিনি মির্জাপুর উপজেলার আনাইতারার ইউনিয়নের পাছচামারী এলাকার ধলা মিয়ার স্ত্রী।
এলাকাবাসী জানান,নাছিমা আক্তার ও তার বড় জা পারভিন আক্তার লাউহাটির দিকে উল্টো রাস্তায় হাটতে ছিলেন। এ সময় ঘাতক সিএনজি লাউহাটি থেকে পাকুল্যার আসার পথে নাছিমা আক্তার ও তার বড় জা পারভিন আক্তার কে চাপা দিলে ঘটনা স্থলেই নাছিমার মৃত্যু হয় এবং তার বড় জা পারভিন আক্তার গুরুত্বর আহত হয়। পরে আহত পারভীন বেগমকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন মির্জাপুর কুমুদিনী হসপাতালে ভর্তি করেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা ময়নাল ও মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. মজিবুর রহমান ।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, পৃথক ভাবে তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো তাদরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মির্জাপুরে নদীর চর দখল করে ইটভাটা

মো.সাজজাত হোসেন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় প্রভাবশালী মহল নদী দখল করে অবৈধভাবে সাতটি ইটভাটা গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন ছাড়াও নদীর প্রশস্থতা ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। বছরের পর বছর এভাবে ইটভাটা চললেও প্রশাসন নির্বিকার । সেই সঙ্গে সরকার প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভাটাগুলো হলো এসবিএম, এইচবিএম, কেইউবি, , এবিএম, কেবিএম, এসবিসি ও হাজী ব্রিকস ।

জানা গেছে, উপজেলার আজাগানা ইউনিয়নের বংশাই নদীর বেলতৈল ও চিতেশ্বরী এলাকায় বংশাই নদীর চর জেগে উঠলে গত প্রায় এক যুগ ধরে সেখানে সাতটি ইটভাটা স্থাপন করে বহাল তবিয়তে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বংশাই নদীর ওপর নির্মিত হাটুভাঙ্গা ব্রিজের পশ্চিম পাশে এবং পূর্বপাশে নদীর উপর ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। হাটুভাঙ্গা ব্রিজের পশ্চিম পাশে স্থাপিত হাজী ব্রিকস ও এবিএম ইটভাটা দু’টির চিমনি রেকর্ডিয় জমিতে নির্মিত হলেও ইট তৈরি, শুকানো, মাটির স্তুপ নদীর চর দখল করে রাখা হচ্ছে।

এইসব ভাটার নদীর চর দখল পরিচালনার নেতৃত্ব দিচ্ছে আজগানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোক্তার আলী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো.মঞ্জুরুল কাদের বাবুল ।

এতে সাতটি ভাটা আনুমানিক দশ একর নদীর চর দখল করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে ঐতিহ্যবাহী বংশাই নদীর ওই এলাকায় প্রশস্থতা কমে যাচ্ছে। এভাবে নদীর চর দখল হতে থাকলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাবে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো.মঞ্জুরুল কাদের বাবুল ও আজগানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোক্তার আলী জানান, ভাটার উত্তরপাশে নদীর কিছু জমি থাকতে পারে বলে তারা স্বীকার করেন। নদীগুলোতে পলি পড়ে এমনিতে ভরাট হয়ে গেছে। সেই মাটি কেটে ভাটায় নেওয়া হচ্ছে। নদীর পলি অপসারিত হচ্ছে। এতে বরং নদীতে পানির প্রবাহ বাড়ছে। ভাটার কাজে ট্রাক ব্যবহার করা হয়। সড়কের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না বলেও তারা দাবি করেন।

মির্জাপুর থানার ওসি মাসুদ করিম বলেন, ইটভাটা বন্ধ করার ক্ষমতা তাঁদের নেই। প্রশাসন ডাকলে অবশ্যই তাঁরা যাবেন।

মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, নদীর বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখে থাকেন । নদ-নদী এ দেশের জাতীয় সম্পদ। যারা নদী ও তার আশপাশ দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মির্জাপুরে পাহাড় কেটে ইটভাটায় মাটির পাহাড়

মো.সাজজাত হোসেন

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবাধে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। নির্বিচারে পাহাড় কেটে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন নামমাত্র অভিযান চালালেও থেমে নেই পাহাড় কাটা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু হলে পাহাড় কাটার উৎসব শুরু হয়। মূলত পাহাড় কেটে ইটভাটাগুলোতে মাটি বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা বলে বছরজুড়েই পাহাড় কাটছে একটি চক্র।

অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্নভাবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে কমিশনের বিনিময়ে এই চক্রকে সহায়তা দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দায়িত্বশীল নেতারা।

স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের অপরাধে লাখ লাখ জরিমানা করা হয়। অভিযান শেষে আবারও পাহাড় কাটায় ব্যস্ত হয়ে যায় পাহাড় খেকোরা।

এদিকে, দিনের পর দিন পাহাড় কাটায় জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পাশাপাশি পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা। অন্যদিকে পাহাড় কাটা বন্ধ না হওয়ায় প্রশাসনকে দোষারোপ করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মির্জাপুর উপজেলায় অন্তত ৭০টি পয়েন্টে ভেকু মেশিন দিয়ে পাহাড় ও ফসলি জমি কেটে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতার সহযোগিতায় পাহাড়-টিলা ধ্বংস করা হচ্ছে। রাস্তা তৈরি কিংবা মেরামতের অজুহাতসহ নানা কৌশলে কাটা হচ্ছে পাহাড় ও টিলা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার আজগানা,বাশঁতৈল,গোড়াই,ফতেপুর ও পৌরসভার ৭০টি পয়েন্টে ভেকু মেশিন দিয়ে পাহাড় ও ফসলি জমি কেটে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এইসব কাজের নেতৃত্ব দিছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. মনঞ্জুরুল কাদের বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ,আজগানা ইউনিয়নের সভাপতি হাজী মোক্তার আলী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষক বলেন, মির্জাপুর মহাসড়কসহ উপজেলার প্রতিটি অলিগলির রাস্তা এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ইটভাটায় ব্যবহারের জন্য ডাম্পার ও মিনি ট্রাকে পাহাড় কেটে মাটি নেওয়া হয়। এসব ট্রাক চলাচল করায় এবং মাটি পড়ে সব সড়কের অবস্থা বেহাল। এতে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রশাসনেরর নজরদারি নেই। যার জন্য অবাধে এসব পাহাড় কেটে পার পেয়ে যাচ্ছে তারা।

দলের নাম ভাঙিয়ে পাহাড় কাটার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও সধারণ সম্পাদক ব্যরিস্টার তাহরীম হোসেন বলেন, কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। যারা এই বেআইনি কাজে নিয়োজিত আছে তারা নিজ দায়িত্বে এসব করছে। দল এসবে সমর্থন বা সহযোগিতা দেয় না এবং দেবে না।

বাংলাদশে পরিবেশ অধিদফতরের টাঙ্গাইল অঞ্চলের পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, পাহাড় কাটা গুরুতর অপরাধ। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসক এবং ইউএনওকে জানানো হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সারা বছরই এসব মাটিখেকো তাদের অবৈধ মাটি বিক্রির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাটি খেকোদের উৎপীড়নে দিশাহারা হয়ে উঠেছে পাহাড়বাসী, ফসলি জমির মালিক ও কৃষি শ্রমিকরা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করলে প্রভাবশালীদের চাপের মুখে পড়তে হয় তাদের। বিভিন্ন স্পটগুলোতে গিয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে ফসলি জমির মাটি কাটার অনুমোদনের বিষয়টি জানতে চাইলে তারা অনুমোদনের কাগজ দেখাতে পারেননি।

উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. মনঞ্জুরুল কাদের বাবুল পাহাড় ও জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ইট তৈরির কথা অস্বীকার করে বলেন, পাহাড়ি মাটি ,কৃষি জমির মাটি ও বালি দিয়ে ইট তৈরি করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো.হাফিজুর রহমান বলেন, বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে গত কয়েক দিনে আমি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন পরিবেশ রক্ষার জন্য দলীয় ব্যক্তি হলেও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

মির্জাপুরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি

মো.সাজজাত হোসেন

মির্জাপুরে উপজেলায় উয়ার্শী নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় জনবসতিসহ গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। অবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের সাফর্তা, নাগরপাড়া, আরহাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মধ্য দিয়ে ধলেশ^রী নদীর শাখা প্রবাহিত হয়েছে। বালু উত্তোলন কারীরা এতটাই প্রভাবশালী যে জমি ভূমি ক্ষতি হওয়া সত্তে¦ও কেউ এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না। অনেক সময় প্রশাসনও নিশ্চুপ হয়ে যায়।

উয়ার্শী ব্রিজ থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় ৩০০ গজ দূরে সেখানে তিনটি পয়েন্টে তিনটি ড্রেজার মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ৩০০ গজের মধ্যে গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকলে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন নিষেধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সেখানে প্রায় ৫০/৬০ ফিট গভীর করে গত দুই মাস থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন করায় নদীর দুইপাড়ের রাস্তা, ব্রিজ, দুই পাড়ের গাছপালা, ফসলি জমি, বসতি ও রাস্তা বিলীন হওয়ার আশঙ্কা আছে। এলাকাবাসী বহুবার নিষেধ করা সত্বেও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। ইতোপূর্বে গ্রামবাসী এর প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি।

অবশেষে বালু উত্তোলন বন্ধ ও গুরত্বপূর্ন স্থাপনা রক্ষার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে মো.মহির উদ্দিন ও জলিল মিয়া একটি অভিযোগ গত ২২ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া হয়।

উয়ার্শী ইউপি চেয়ারম্যন মাহাবুব আলম মল্লিক বলেন, সেখানে যখন বালু উত্তোলনে ড্রেজার মেশিন স্থাপন করা হয় তখন অনেক বার তাদের নিষেধ করা হয়েছে। দিনরাত মেশিন চালিয়ে তারা বালু উত্তোলন করছেন। গভীর করে বালু উত্তোলনে ভূগর্ভে ধস নামলে সামনের বন্যায় নদীর পাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এতে করে রাস্তা ঘাট, বাড়ি ঘর, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হবে।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো.হাফিজুর রহমান বলেন, গুরত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো নিয়ম নাই। শিগগিরই বিষয়টি দেখব। বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।