বাংলা নিউজ
Tuesday, March 18, 2025
Home Blog Page 64

মির্জাপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি আহবায়ক কমিটিতে নতুন সংযোজন ওরা ১৬ জন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি আহবায়ক কমিটিতে নতুন সংযোজন ওরা ১৬ জন স্থান পেয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের দিক নির্দেশনায় দলকে শক্তিশালী করার লক্ষে আজ বুধবার টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মীর্জা আনোয়ার হোসেন বাবুল এবং সাধারন সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখন পুর্বের সম্মেলন প্রস্তুতি আহবায়ক কমিটির সঙ্গে সমন্ময় করে নতুন ১৭ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন।
যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে খান্দকার রাসেল, মো. মোবারক হোসেন ও একাব্বর মিয়াকে। সদস্য রাখা হয়েছে জাহাঙ্গীর আলম, রেজাউল করিম রেজা, মো. নাজমুল আলম, এড. সাহাদত হোসেন, মারুফ মিয়া, আবু সাইদ, দিদারুল ইসলাম, কাইয়ুম খান, রাসেল সিকদার, ফারুক হোসেন, ফরিদ হোসেন, আলামীন দেওয়ান ও মো. হাকিম। নতুন সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন খান আহমেদ শুভ এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

মির্জাপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিশেষ কর্মী সমাবেশ

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিশেষ কর্মী সভা ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসুচী উপলক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে এ কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল-০৭ মির্জাপুর নির্বাচনী এলাকার মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মীর্জা আনোয়ার হোসেন বাবুল, সাধারন সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখন, কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামল, আজিজুল হক এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

মির্জাপুরে গোড়াইল কেন্দ্রীয় গোরস্থান থেকে লাশের কঙ্কাল চুরি

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের কেন্দ্রীয় গোরস্থান থেকে দুইটি লাশের কঙ্কাল চুরি হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার (২৬ অক্টোবর) গোড়াইল গ্রামরে বাসিন্দা দেওয়ান শিপুল ও সজিব হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে সংঘবদ্ধ চোরের দল গোরস্থানে হানা দিয়ে আইয়ুব মিয়া (৫৬)সহ দুইটি লাশের কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে। সকালে স্থানীয় লোকজন গোরস্থানে এসে লাশের কঙ্কাল চুরির ঘটনা দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। এর আগেও একই কায়দায় এই গোরস্থান থেকে তিন-চারটি লাশের কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগও করা হয়েছিল। আজ পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে কেউ গ্রেফতার হয়নি। একের পর এক লাশের কঙ্কাল চুরির ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরেছে।
অপর দিকে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগেও উপজেলার জামুর্কি ইউনিয়নের বানিয়ারা সামাজিক কবরস্থান, ফতেপুর ইউনিয়নের শুভুল্যা সামাজিক কবরস্থান এবং গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া সামাজিক কবরস্থান থেকে ১২-১৩ লামের কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গতকাল গোড়াইল গ্রামের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে লাশের কঙ্কাল চুরির বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এর আগে লাশের কঙ্কাল চুরির অভিযোগ এসেছিল। ঐ সব অভিযোগের তদন্ত চলছে।

মির্জাপুরে যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগিদের হামলায় অটোরিকসা চালক গুরুতর আহত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
গাড়ি সাইড দিতে দেরী হওয়ায় এবং হর্ন দেওয়ার অপরাধে জেলা যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা মীর মঈন হোসেন রাজিব ও তার সহযোগিদের হাতে হামলার শিকার হয়েছে অটোরিকসা চালক অসহায় রুবেল খান (২৫)। হামলার শিকার রুবেল খান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ব্যাপারে রুবেল খান বাদী হয়ে অভিযুক্তদের নামে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। আজ বুধবার (২৬ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের নাজিরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার হামলাকারীরা রুবেল খানকে নানা ভাবে হুমকি ও চাপ সৃষ্টি করায় সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ করেন।
মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, আজ বুধবার সকাল সারে দশটার দিকে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের নাজিরপাড়া রোডে অটোরিকসা নিয়ে আসার পথে টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগ নেতা মীর মঈন হোসেন রাজিবের গাড়িকে সাইড দিতে দেরী হওয়ায় এবং অটো রিকসায় হর্ন দেওয়ার অপরাধে তার সহযোগিরা রুবেল খানকে ধরে নিয়ে লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলাকারীরা হচেছ গোড়াই এলাকার নজরুল, মোনায়েম, জলক, সেলিম, বাহার, সান, ফারুক, মনির ও শুক্কর খানসহ আর ৪-৫ জন। স্থানীয় লোকজন রুবেলকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে জামুর্কি সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।
এ ব্যাপারে হামলার শিকার রিকসা চালক রুবেল খান বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুর্ব সত্রুতার জের ধরে তারা আমার উপর অমানুষিক ভাবে হামলা চালিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগ নেতা মীর মঈন হোসেন রাজিব বলেন, ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এলাকার কিছু ছেলেদের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনায় অটেরিকসা চালক রুবেল খানের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। ঘটনা মিমাংশার চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, অটোরিকসা চালকের উপর হামলার ঘটনায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ অফিসার সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করছেন।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর এলাকায় পরিদর্শন করা হয়েছে। যাদের নামে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তাদের এলাকায় পাওয়া যায়নি। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।

মির্জাপুরে বিদু্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দেড় লাখ গ্রহক চরম বিপাকে

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঘুর্নিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সঞ্চালন লাইনের খুঁটি ভেঙ্গে এবং খুঁটির তার ছিড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় প্রায় দেড় লাখ পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক চরম বিপাকে পরেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কবে নাগাত লাইন পুরোপুরি চালু হবে তার অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তাগন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, লাইন মেরামতের কাজ চলছে এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চালু করার জন্য তারা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। লাইন চালু হতে সময় লাগবে বলে তারা উল্লেখ করেন।
আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) মির্জাপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা এবং উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হয়নি। ভুক্তভোগিদের মধ্যে বাঁশতৈল ইউনিয়নের ফরিদা ইয়াসমিন (৪৮) ও ফারুক হোসেন (৫৬), পৌরসভার মোকলেছ মিয়া (৬০) এবং ফতেপুর ইউনিয়নের কলেজ ছাত্র মাসুদ করিম (২২) অভিযোগ করেন, সিত্রাংয়ের কারনে গতকাল সোমবার (২৪ অক্টোবর) গভীর রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি এবং সাথে হালকা বাতাস শুরু হয় হয়। সকাল সাতটার পর থেকে শুরু হয় প্রচুর বৃষ্টি এবং ঝড়। বৃষ্টি ও ঝড়ের তান্ডবে এলাকায় বিভিন্ন ফসল ও গাছপালার ক্ষতি হয়। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগে নেমে আসে বিপর্যয়। অধিকাংশ এলাকা পুরোপুরি অন্ধকার হয়েছে। মির্জাপুর পৌরসভা, মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, বাতগ্রাম, ভাওড়া, বহুরিয়া, গোড়াই, লতিফপুর, আজাগানা, তরফপুর এবং বাঁশতৈল ইউনিয়নে বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় প্রায় দেড় লাখ পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক চরম বিপাকে পরেছেন বলে ভুক্তভোড়ি এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন। বিদ্যুতের অভাবে বিভিন্ন বাসাবাড়ির পাশাপাশি সরকারী বেসরকারী হাসপাতাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা এবং অফিস আদালতেও কাজকর্ম মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সারে পাঁচটার দিকে দেওহাটা ও ধেরুয়া এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধিনে ৩৩ কেবি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ১২-১৩ টি খুঁটি ভেঙ্গে রাস্তার দক্ষিন পাশে পরে আছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খুঁটি ও লাইন মেরামত করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মির্জাপুর ও গোড়াই জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জাকির হোসেন এবং মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘুনিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবের কারনে, মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটি ভেঙ্গে পরে ও খুঁটির তার ছিড়ে পরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুন লাইন বন্ধ রয়েছে। তারা আরও বলেন, মির্জাপুর একটি বৃহৎ এলাকা ও শিল্পাঞ্চল রয়েছে। গ্রাহক রয়েছে প্রায় দেড় লাখ। বিদ্যুৎ বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং লাইন ম্যানগন দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিদ্যুতের লাইন সচল করার জন্য। লাইন পুরোপুরি সচল তহতে সময় লাগবে বলে এই দুই কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।

মির্জাপুরে আনোয়ারা খুনের রহস্য উৎঘাটন গ্রেফতার, প্রথম স্বামীর স্বীকারোক্তি

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আজাগানা ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা এলাকার বেলতৈল গ্রামে ক্লুলেন্স চাঞ্চল্যকর আনোয়ারা বেগম খুনের ঘটনার নয় দিন পর রহস্য উৎঘাটন হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত মুল ঘাতক প্রথম স্বামী পলাশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করলে পলাশ তার সাবেক স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে হত্যার কথা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) মির্জাপুর থানায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম। এর আগে আনোয়ারা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী মুয়াজ মিয়াকে ঘাটাইল থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার পিতার নাম মৃত মফিজ মন্ডল। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) তাকে গ্রেফতারের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম জহির এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার মির্জাপুর থানাপুলিশ সুত্র জানায়, আনোয়ারা বেগমের তার পিতার নাম মো. মকবুল হোসেন। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার সৈয়দগ্রাম। গত ১১ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। আনোয়ারা বেগমের প্রথম স্বামীর নাম পলাশ মিয়া। তার পিতার নাম সেলিম মিয়া, গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার বাদেমাজিরা গ্রামে। ঐ ঘরে আসিফ নামে পুত্র সন্তান হলে পারিবারিক ঝামেলায় ছাড়াছাড়ি হয়। পুত্র আসিফের বয়স এখন (৭) বছর। পরিবারের অভাব অনটনের মধ্যে সন্তান নিয়ে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে পোষাক কারখানা এবং হাটুভাঙ্গা এলাকায় বিভিন্ন মিলে শ্রমিকের কাজ করতো। গত কোরবানী ঈদের সময় চিতেশ^রী এলাকার নুরজাহান বেগম নামে এক ঘটকের মাধ্যমে মুয়াজের সঙ্গে তার বোন আনোয়ারার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দ্বিতীয় বিয়ের পর হাটুভাঙ্গা বেলতৈল গ্রামে শহিদ মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো।
গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতের খাবার খেয়ে সন্তান নিয়ে বাসায় ঘুমিয়ে পরে। মোবাইলে যোগাযোগে করে প্রথম স্বামী পলাশ মিয়া আনোয়ারা বেগমের ভাড়া বাসায় এসে রাত্রী যাপন করে। পুর্ব সত্রুতা এবং ডিভোর্স দেওয়ার জের হিসেবে ক্ষোভের কারনে পলাশ আনোয়ারা বেগমকে খুনের পর লাশ ঘরের মেঝেতে রেখে পালিয়ে যায়। গত বুধবার সকালে শিশুর কাঁন্নার শব্দ পেয়ে বাড়ির মালিক শহিদের স্ত্রী সালেহা বেগম দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন মেঝেতে তার বোন আনোয়ারা বেগমের লাশ পড়ে আছে। আনোয়ারা বেগমের ভাই আবুল হোসেন বাদী হয়ে গত ১২ অক্টোবর মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্বিতীয় স্বামী মুয়াজকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলার পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ১৬ অক্টোবর আনোয়ারা বেগমের প্রথম স্বামী পলাশকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফারের পর আদালতে পলাশ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে, ডিভোর্স দেওয়ার কারনে প্রতিশোধ হিসেবে সাবেক স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে ঘটনার দিন রাতে গলাটিপে হত্যা করেছে। ঘটনার সুত্র হিসেবে দ্বিতীয় স্বামী মুয়াজও জেল হাজতে রয়েছে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) মির্জাপুর থানায় এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন কার হয়। সংবাদ সম্মেলনে ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আনোয়ারা বেগম হত্যা রহস্য উৎঘাটান হয়েছে। তাকে হত্যা করেছে তার প্রথম স্বামী পলাশ মিয়া। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তার দ্বিতীয় স্বামী মুয়াজও জেল হাজতে রয়েছে।

 

মির্জাপুরে চালককে হত্যার পর অটোরিকসা ছিনতাই

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাহাবুব আলম মাহিন (৪০) নামে অটো রিকসা চালককে হত্যার পর অটোরিকসা ছিনতাই হয়েছে। তার পিতার নাম মিনহাজ উদ্দিন। গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর উপজেরা সদরের পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানি গ্রামে। ঘটনার সাত দিন পর পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাড়কের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কি ইউনিয়নের আছিমতলা নামক এলাকা থেকে তার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার মাহাবুবের পরিবার জানায়, সে পেশায় অটো রিকসা চালক। নিজ বাড়িতে কাজ কর্ম করার পর বেশীর ভাগ সময় সে রাতের বেলা অটো রিকসা চালাতো। গত বুধবার সন্ধ্যার পর অটো রিকসা নিয়ে পৌরসভার বিভিন্ন রোড এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিকল্প রাস্তায় অটো রিকসা চালায়। গত বুধবার থেকে তার কোন সন্ধার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের ধারনা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা অটো রিকসা ছিনতাই করে মাহাবুবকে হত্যার পর লাশ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আছিমতলা নামক স্থানে ফেলে যায়। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় লোকজন লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক মো. মজিবর রহমান বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আছিমতলা এলাকা থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় অটো রিকসা চালক মাহবুবের লাম উদ্ধার করা হয। লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের মাঠে নেমেছে পুলিশ।

মির্জাপুরে নবাগত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বরণ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নবাগত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দারকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বুধবার (১৯ অক্টোবর) বেলা এগারটায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস মিলনায়তনে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা, কলেজের প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ এবং সুপারদের নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়ে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিক্ষকদের পক্ষ থেকে নবাগত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ফুলের তোরা দিয়ে বরণ করে নেন। পরে শিক্ষার মান উন্নয়নে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নবাগত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার,একাডেমিক সুপারভাইজার মি. প্রবীর কুমার চৌধুরী, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. এমরান হোসেন, সাধারন সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান, প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম, মো. মোশারফ হোসেন এবং মো. রফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

মির্জাপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতে টাঙ্গাইল জেলা শাখার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মির্জা আনোয়ার হোসেন বাবুল ও সাধারন মাতিনুজ্জামান খান সুখন এক মাসের জন্য ১৭ সদস্য বিশিষ্ট্য সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যরা হলেন, তারিফ আহমেদ সোহাগ, শরিফুল ইসরাম শরিফ, অপু শেখ, শিশির আহম্মেদ বিপ্লব, সজিব হোসেন, মীর হাসিব রেজা, লিপু আরমান, সাদিকুর রহমান আবিদ, শহিনুর সিকদার, সোহেল হাসান, মো. আব্দুল হালিম গাজী, মো. সুজাউর রহমান সেলিম, সুজন আহম্মেদ, কালাম মিয়া, মো. জাহুদুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম এবং মো. শরিফুল ইসলাম।
এদিকে কমিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন, ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি ও তার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিকসহ আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বগি লাইনচ্যুত, টাঙ্গাইল-ঢাকা ও উত্তর বঙ্গের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
একটি মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় টাঙ্গাইল-ঢাকা এবং উত্তর বঙ্গের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনের মাষ্টার মো. কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
মির্জাপুর ট্রেন স্টেশন সুত্র জানায়, ঢাকা থেকে উত্তর বঙ্গগামী একটি মালবাহী ট্রেন গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে কালিয়াকৈর ও মির্জাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী টালাবহ নামক স্থানে একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পরে যায়। এ সময় কোন প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। মির্জাপুর, মহেড়া, টাঙ্গাইল এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পুর্বপ্রান্ত ট্রেন স্টেশনে সিল্কসিটি, নীলসাগর ও কমিউটার টেন্রসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পরেছে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধারের কাজ চলছে।